ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৫ সন্তানের জননী ফের গর্ভবতী!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ২৭১ বার পড়া হয়েছে

বিস্ময় প্রতিবেদন
তিনি ১৫ সন্তানের জননী। ৩ মাস আগে তার সর্বশেষ সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আর এখন তিনি জানালেন তার গর্ভে এসেছে ১৬ তম শিশু! তিনি এ-ও বলছেন, ভবিষ্যতেও আরও শিশু নেয়ার কথা বিবেচনা করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লোটে বসবাস করেন প্যাটি হার্নান্দেজ (৩৮) নামে এই মহিলা। স্বামী কার্লোস হার্নান্দেজ সহ তিনি থাকেন ৫ বেডরুমের বিশাল অ্যাপার্টমেন্টে। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। খবরে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে বাচ্চাকাচ্চার খাবার আর ডায়পারের পেছনেই ৫০০ ডলার করে খরচ করেন এই দম্পত্তি। নতুন গাড়িও কিনতে যাচ্ছেন তারা। কারণ, তাদের ১৬ সিটের বাসে এখন পরিবারের নতুন সদস্যকে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। ১৫ সন্তানের মধ্যে ৫ জন ছেলে, ১০ জন মেয়ে। এদের মধ্যে ৬ জনই জমজ। কার্লোসের পরিবারের জমজ সন্তান হয়েছে অনেকেরই। পিতার নামের সঙ্গে মিল রেখে প্রত্যেক সন্তানের নামের আদ্যক্ষর ইংরেজি ‘সি’। তবে এতবড় পরিবার হলেও কার্লোস খুব ধনী কেউ নন। তিনি একজন ফ্লোর ক্লিনার! সবচেয়ে বড় সন্তান কার্লোস জুনিয়রের বয়স ১২। ক্রিস্টোফারের ১১। কার্লা, ক্যাটলিনের ৯। সেলেস্টে ৭। ক্রিস্টিনা ৬। ক্যালভিন ও ক্যাথেরিন ৫। ক্যারল ৪। ক্যালেব ও ক্যারোলাইন ৩। ক্যামিলিয়ার ২। চার্লির ১। ক্রিস্টালের মাত্র ৪ মাস। ২০২১ সালে জন্ম নেয়ার কথা নতুন সন্তানের। ২০১৯ সালেও প্যাটিকে নিয়ে সংবাদ হয়েছিল। এরই মাঝে তার আরও দু’টি সন্তান হয়েছে। ১৫ সন্তানের জননী স্বীকার করেছেন, এত বড় পরিবার সামলানো কঠিন। তবে তারপরও আরও সন্তান নিতে আপত্তি নেই তার। তিনি বলেন, ‘সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানকে সামলানো চাপের কাজ ও বেশ কঠিন। বাচ্চারা সবসময় কান্না করে। তাদের দেখাশোনা করতে হয় আমার। তবে এটি আশির্বাদও, কারণ এই কাজ আমরা উপভোগ করি।’ তার ভাষ্য, ‘আমরা সবকিছুই ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাই তিনি আমাদের যা দেন, তা নিয়েই আমরা খুশি থাকবো। আমরা কোনো জন্মপ্রতিরোধক ব্যবহার করি না।’ ২০০৮ সালের পর গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ১৫ সন্তান জন্ম দিতে সবসময়ই প্যাটির গর্ভে সন্তান ছিল। তবে তিনি বলছেন, ‘আমি যখন গর্ভবতী থাকি আমি খুবই খুশি থাকি। সন্তান জন্মদানের ৩ মাস পরই সাধারণত আমি ফের গর্ভবতী হই।’ তিনি বলেন, এত বেশি সন্তান থাকায় ঘরের কাজ হয়ে যায় অনেক। তবে তিনি বড় সন্তানদেরও এসব কাজে সাহায্য করতে অভ্যস্ত করে তুলছেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার হাজার খানেক জামাকাপড় ধুতে হবে। প্রতি দুই দিন পর পর এতগুলো আধোয়া জামার স্তুপ জমে। আমি সপ্তাহে অন্তত ৪ বার জামাকাপড় ধুই। বাচ্চারা যখন খেলে তারা ফ্লোরে খেলনা রেখে যায়, ফলে সেগুলোও পরিষ্কার করতে হয়।’ নিজেদের বড় পরিবার নিয়ে খুশি প্যাটি ও কার্লোস। মানুষের মনোযোগ পেয়ে তারা আরও আনন্দিত। প্যাটি বলেন, মানুষ সবসময় জিজ্ঞেস করে, এরা সবাই কি তোমার ছেলেমেয়ে? সবাই অবাক হয় যখন তারা দেখে আমার কত সন্তান। আমি কখনও ভাবিনি আমার এতগুলো বাচ্চা হবে!

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১৫ সন্তানের জননী ফের গর্ভবতী!

আপলোড টাইম : ০৮:৩২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

বিস্ময় প্রতিবেদন
তিনি ১৫ সন্তানের জননী। ৩ মাস আগে তার সর্বশেষ সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। আর এখন তিনি জানালেন তার গর্ভে এসেছে ১৬ তম শিশু! তিনি এ-ও বলছেন, ভবিষ্যতেও আরও শিশু নেয়ার কথা বিবেচনা করবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লোটে বসবাস করেন প্যাটি হার্নান্দেজ (৩৮) নামে এই মহিলা। স্বামী কার্লোস হার্নান্দেজ সহ তিনি থাকেন ৫ বেডরুমের বিশাল অ্যাপার্টমেন্টে। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। খবরে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে বাচ্চাকাচ্চার খাবার আর ডায়পারের পেছনেই ৫০০ ডলার করে খরচ করেন এই দম্পত্তি। নতুন গাড়িও কিনতে যাচ্ছেন তারা। কারণ, তাদের ১৬ সিটের বাসে এখন পরিবারের নতুন সদস্যকে জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। ১৫ সন্তানের মধ্যে ৫ জন ছেলে, ১০ জন মেয়ে। এদের মধ্যে ৬ জনই জমজ। কার্লোসের পরিবারের জমজ সন্তান হয়েছে অনেকেরই। পিতার নামের সঙ্গে মিল রেখে প্রত্যেক সন্তানের নামের আদ্যক্ষর ইংরেজি ‘সি’। তবে এতবড় পরিবার হলেও কার্লোস খুব ধনী কেউ নন। তিনি একজন ফ্লোর ক্লিনার! সবচেয়ে বড় সন্তান কার্লোস জুনিয়রের বয়স ১২। ক্রিস্টোফারের ১১। কার্লা, ক্যাটলিনের ৯। সেলেস্টে ৭। ক্রিস্টিনা ৬। ক্যালভিন ও ক্যাথেরিন ৫। ক্যারল ৪। ক্যালেব ও ক্যারোলাইন ৩। ক্যামিলিয়ার ২। চার্লির ১। ক্রিস্টালের মাত্র ৪ মাস। ২০২১ সালে জন্ম নেয়ার কথা নতুন সন্তানের। ২০১৯ সালেও প্যাটিকে নিয়ে সংবাদ হয়েছিল। এরই মাঝে তার আরও দু’টি সন্তান হয়েছে। ১৫ সন্তানের জননী স্বীকার করেছেন, এত বড় পরিবার সামলানো কঠিন। তবে তারপরও আরও সন্তান নিতে আপত্তি নেই তার। তিনি বলেন, ‘সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানকে সামলানো চাপের কাজ ও বেশ কঠিন। বাচ্চারা সবসময় কান্না করে। তাদের দেখাশোনা করতে হয় আমার। তবে এটি আশির্বাদও, কারণ এই কাজ আমরা উপভোগ করি।’ তার ভাষ্য, ‘আমরা সবকিছুই ঈশ্বরের ওপর ছেড়ে দিয়েছি। তাই তিনি আমাদের যা দেন, তা নিয়েই আমরা খুশি থাকবো। আমরা কোনো জন্মপ্রতিরোধক ব্যবহার করি না।’ ২০০৮ সালের পর গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ১৫ সন্তান জন্ম দিতে সবসময়ই প্যাটির গর্ভে সন্তান ছিল। তবে তিনি বলছেন, ‘আমি যখন গর্ভবতী থাকি আমি খুবই খুশি থাকি। সন্তান জন্মদানের ৩ মাস পরই সাধারণত আমি ফের গর্ভবতী হই।’ তিনি বলেন, এত বেশি সন্তান থাকায় ঘরের কাজ হয়ে যায় অনেক। তবে তিনি বড় সন্তানদেরও এসব কাজে সাহায্য করতে অভ্যস্ত করে তুলছেন। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার হাজার খানেক জামাকাপড় ধুতে হবে। প্রতি দুই দিন পর পর এতগুলো আধোয়া জামার স্তুপ জমে। আমি সপ্তাহে অন্তত ৪ বার জামাকাপড় ধুই। বাচ্চারা যখন খেলে তারা ফ্লোরে খেলনা রেখে যায়, ফলে সেগুলোও পরিষ্কার করতে হয়।’ নিজেদের বড় পরিবার নিয়ে খুশি প্যাটি ও কার্লোস। মানুষের মনোযোগ পেয়ে তারা আরও আনন্দিত। প্যাটি বলেন, মানুষ সবসময় জিজ্ঞেস করে, এরা সবাই কি তোমার ছেলেমেয়ে? সবাই অবাক হয় যখন তারা দেখে আমার কত সন্তান। আমি কখনও ভাবিনি আমার এতগুলো বাচ্চা হবে!