ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ২৯৫ বার পড়া হয়েছে

geasrসমীকরণ ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতিমূলক সভা বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম। সভায় জানানো হয়, এবারও পাঁচ স্তরের র‌্যাব-পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবায় ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক ও ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমে তুরাগ নদের ওপর সাতটি পন্টুন ব্রিজ তৈরি করবে সেনাবাহিনী। ইজতেমায় আগত ব্যক্তিদের তিন স্তরে নিরাপত্তা দেবে র‌্যাব। এছাড়া মোটরসাইকেল টহল, নৌ টহল ও হেলিকপ্টারে টহলে থাকবেন র‌্যাবের সদস্যরা। বিপুলসংখ্যক র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে পুরোইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেবেন। র‌্যাবের নয়টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে ইজতেমা ময়দানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সভায় রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইজতেমার মোনাজাতের দিন ১১৫টি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে টঙ্গী স্টেশনে। মুসল্লিদের জন্য অজু, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার ও ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রি করা হবে। বিআরটিসির ৩৫০টি বাস মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া বিদেশি মেহমানদের কাকরাইল মসজিদ এবং বিমানবন্দর থেকে ইজতেমা ময়দানে আনার জন্য পর্যাপ্ত এসি বাস বরাদ্দ থাকবে। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার নতুন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, ইজতেমার আগের দিন থেকে ইজতেমা শেষ হওয়ার পরদিন পর্যন্ত পুলিশ মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা পার হয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে হবে সবাইকে। এছাড়া ইজতেমা শুরুর আগে ২০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ, বিলবোর্ড ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক এসএম আলম বলেন, বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস, চিকিৎসাসেবা বাস্তবায়ন এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন ও পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামী ইজতেমা শুরুর আগেই ইজতেমা সম্পর্কিত সব কর্মকা- সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আগামী ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব এবং ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

আপলোড টাইম : ১১:১৮:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

geasrসমীকরণ ডেস্ক: গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগতীরে আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রস্তুতিমূলক সভা বুধবার সকালে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম আলম। সভায় জানানো হয়, এবারও পাঁচ স্তরের র‌্যাব-পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে পুরো ইজতেমা ময়দান ও আশপাশের এলাকা। ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের চিকিৎসাসেবায় ১৪টি অ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে। মুসল্লিদের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক চিকিৎসক ও ওষুধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিমে তুরাগ নদের ওপর সাতটি পন্টুন ব্রিজ তৈরি করবে সেনাবাহিনী। ইজতেমায় আগত ব্যক্তিদের তিন স্তরে নিরাপত্তা দেবে র‌্যাব। এছাড়া মোটরসাইকেল টহল, নৌ টহল ও হেলিকপ্টারে টহলে থাকবেন র‌্যাবের সদস্যরা। বিপুলসংখ্যক র‌্যাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে পুরোইজতেমা ময়দানে অবস্থান নেবেন। র‌্যাবের নয়টি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার থেকে ইজতেমা ময়দানকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। সভায় রেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ইজতেমার মোনাজাতের দিন ১১৫টি ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে টঙ্গী স্টেশনে। মুসল্লিদের জন্য অজু, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, অতিরিক্ত টিকিট কাউন্টার ও ভ্রাম্যমাণ টিকিট বিক্রি করা হবে। বিআরটিসির ৩৫০টি বাস মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত থাকবে। এছাড়া বিদেশি মেহমানদের কাকরাইল মসজিদ এবং বিমানবন্দর থেকে ইজতেমা ময়দানে আনার জন্য পর্যাপ্ত এসি বাস বরাদ্দ থাকবে। ইজতেমা ময়দানের বিদেশি নিবাসে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার নতুন একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপন করা হবে।
গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম সবুর বলেন, ইজতেমার আগের দিন থেকে ইজতেমা শেষ হওয়ার পরদিন পর্যন্ত পুলিশ মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা পার হয়ে ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ করতে হবে সবাইকে। এছাড়া ইজতেমা শুরুর আগে ২০টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ইজতেমা ময়দানের আশপাশে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ, বিলবোর্ড ও ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হবে। যানজট নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে।
জেলা প্রশাসক এসএম আলম বলেন, বিশুদ্ধ খাবার নিশ্চিত, বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস, চিকিৎসাসেবা বাস্তবায়ন এবং সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসন ও পুলিশসহ বিভিন্ন দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। আগামী ইজতেমা শুরুর আগেই ইজতেমা সম্পর্কিত সব কর্মকা- সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রধানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
আগামী ১৩ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। আগামী ১৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে আখেরি মোনাজাত। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ২০ জানুয়ারি শুরু হবে দ্বিতীয় পর্ব এবং ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০১৭ সালের বিশ্ব ইজতেমা।