ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হিজলগাড়ী এলাকার সরু রাস্তায় একাধিক ট্রলিযুক্ত কেরুর আখ বোঝায় ট্রাক্টরে ভোগান্তি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০
  • / ৮৯ বার পড়া হয়েছে

আরিফ হাসান, হিজলগাড়ী:
৮ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১২ ফুট রাস্তা দিয়ে যেখানে ইজিবাইক আসা-যাওয়ায় কষ্টসাধ্য, সেখানে মৌসুম শুরু হলেই একাধিক বগিযুক্ত কেরু অ্যান্ড কোম্পানির আখ বোঝায় দ্রুতগতির ট্রাক্টরগুলো মরণ ফাঁদ হয়ে দেখা দিয়েছে পথচারীদের কাছে। প্রায় প্রতিবছরই কেরুর ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ যায় পথচারীদের। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাস্তা প্রশস্তকরণের জোর দাবি কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কৃষি খামারগুলোর আওতাধীন এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনাতে অবস্থিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ১০টি কৃষি খামারের মধ্যে হিজলগাড়ী এলাকায় রয়েছে বৃহৎ আকারের ৮টি কৃষি খামার। এসব খামারের শত শত একর জমিতে প্রতিবছর আখচাষ করা হয়। সেই আখ জমি থেকে কর্তনের পর কেরু অ্যান্ড কোম্পানির জমি চাষের কাজে নিযোজিত ডিজেলচালিত ট্রাক্টরের পিছনে আলাদা বগিযুক্ত করে আখ পরিবহন করে মিলে নেওয়া হয়। মাড়াই মৌসুম শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রাত দিন ২৪ ঘণ্টা বিরামহীনভাবে ট্রাক্টর দিয়ে জমি থেকে আখ বহন করা হচ্ছে। এতে কৃষি খামার এলাকার সরু রাস্তাগুলো একপ্রকার কেরুর ট্রাক্টরের দখলে চলে যায়। ট্রাক্টরের উচ্চশব্দে যেমন পরিবেশ দূষিত হয়, তেমনিভাবে এই বিকট শব্দের কারণে ট্রাক্টর চালক বগির পাশে কিংবা পিছনে থাকা অন্য কোনো গাড়ির সংকেত শুনতে পারে না। ফলে এই ট্রাক্টর অতিক্রম করে যাওয়ায় অসম্ভব হয়ে দেখা দেয়। তা ছাড়া লোহার পাটাতনের সাহায্যে বগিগুলো ট্রাক্টরের সাথে লাগানো থাকায় এর নিয়ন্ত্রণ থাকে না চালকের হাতে। ফলে মোড় ঘুরতে গিয়ে প্রায়ই বগিগুলো এলোমেলো হয়ে পড়ে। পাশ কেটে যাওয়ার চেষ্টার ফলে সরু রাস্তার কারণে অনেক সময় মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য ছোট যানবহনগুলো কেরুর ট্রাক্টরের চাকায় কিংবা বগিতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। এই পর্যন্ত কেরুর ট্রাক্টরের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঠিক কত জন মানুষ মারা গেছে তার সঠিক হিসাব না থাকলেও প্রতি বছরই সেই হিসাবহীন তালিকা দীর্ঘ হয়। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হিজলগাড়ী এলাকার রাস্তাগুলো প্রশস্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পাশাপাশি ট্রাক্টরে একের অধিক বগি বহন না করার জন্য কেরু কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হিজলগাড়ী এলাকার সরু রাস্তায় একাধিক ট্রলিযুক্ত কেরুর আখ বোঝায় ট্রাক্টরে ভোগান্তি

আপলোড টাইম : ১০:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

আরিফ হাসান, হিজলগাড়ী:
৮ ফুট থেকে সর্বোচ্চ ১২ ফুট রাস্তা দিয়ে যেখানে ইজিবাইক আসা-যাওয়ায় কষ্টসাধ্য, সেখানে মৌসুম শুরু হলেই একাধিক বগিযুক্ত কেরু অ্যান্ড কোম্পানির আখ বোঝায় দ্রুতগতির ট্রাক্টরগুলো মরণ ফাঁদ হয়ে দেখা দিয়েছে পথচারীদের কাছে। প্রায় প্রতিবছরই কেরুর ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ যায় পথচারীদের। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাস্তা প্রশস্তকরণের জোর দাবি কেরু অ্যান্ড কোম্পানির কৃষি খামারগুলোর আওতাধীন এলাকাবাসীর।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দর্শনাতে অবস্থিত কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ১০টি কৃষি খামারের মধ্যে হিজলগাড়ী এলাকায় রয়েছে বৃহৎ আকারের ৮টি কৃষি খামার। এসব খামারের শত শত একর জমিতে প্রতিবছর আখচাষ করা হয়। সেই আখ জমি থেকে কর্তনের পর কেরু অ্যান্ড কোম্পানির জমি চাষের কাজে নিযোজিত ডিজেলচালিত ট্রাক্টরের পিছনে আলাদা বগিযুক্ত করে আখ পরিবহন করে মিলে নেওয়া হয়। মাড়াই মৌসুম শুরুর দিন থেকে শেষ দিন পর্যন্ত রাত দিন ২৪ ঘণ্টা বিরামহীনভাবে ট্রাক্টর দিয়ে জমি থেকে আখ বহন করা হচ্ছে। এতে কৃষি খামার এলাকার সরু রাস্তাগুলো একপ্রকার কেরুর ট্রাক্টরের দখলে চলে যায়। ট্রাক্টরের উচ্চশব্দে যেমন পরিবেশ দূষিত হয়, তেমনিভাবে এই বিকট শব্দের কারণে ট্রাক্টর চালক বগির পাশে কিংবা পিছনে থাকা অন্য কোনো গাড়ির সংকেত শুনতে পারে না। ফলে এই ট্রাক্টর অতিক্রম করে যাওয়ায় অসম্ভব হয়ে দেখা দেয়। তা ছাড়া লোহার পাটাতনের সাহায্যে বগিগুলো ট্রাক্টরের সাথে লাগানো থাকায় এর নিয়ন্ত্রণ থাকে না চালকের হাতে। ফলে মোড় ঘুরতে গিয়ে প্রায়ই বগিগুলো এলোমেলো হয়ে পড়ে। পাশ কেটে যাওয়ার চেষ্টার ফলে সরু রাস্তার কারণে অনেক সময় মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য ছোট যানবহনগুলো কেরুর ট্রাক্টরের চাকায় কিংবা বগিতে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হয়। এই পর্যন্ত কেরুর ট্রাক্টরের চাকায় পৃষ্ট হয়ে ঠিক কত জন মানুষ মারা গেছে তার সঠিক হিসাব না থাকলেও প্রতি বছরই সেই হিসাবহীন তালিকা দীর্ঘ হয়। সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে হিজলগাড়ী এলাকার রাস্তাগুলো প্রশস্তকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পাশাপাশি ট্রাক্টরে একের অধিক বগি বহন না করার জন্য কেরু কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।