ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হামলা সরকারের পরিকল্পনারই অংশ : খালেদা জিয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০২:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে

ঢাকায় ফেরার পথে খালেদা জিয়ার বহরের কাছে দুটি বাসে পেট্রল বোমা মেরেছে দুর্বৃত্তরা।

সমীকরণ ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ত্রাণ বিতরণ শেষে ফেরার পথে ফেনীর মহিপালে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে সন্ত্রাসীদের দ্বারা বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুন লাগিয়ে আবারো হামলার ঘটনায় ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ফেনীতে ফের তার গাড়িবহরে হামলা সরকারের পরিকল্পনারই অংশ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এক বিবৃতিতে গতকাল পুনরায় সন্ত্রাসীদের হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো আধুনিক রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসীদের আখড়া। এরা সব সময় রক্ততৃষ্ণায় কাতর থাকে। দলটি দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনিতে ভরিয়ে দিতে চাচ্ছে। এ দলটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবতার অবমাননার বিভিন্ন দিক। জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে এরা ভয়ঙ্কর নরপিশাচে পরিণত হয়েছে। দেশব্যাপী এ পিশাচদের দোর্দ- পদচারণার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে ফেনী জেলাকে। ফেনী শহর এখন বিবেকবর্জিত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। বেগম খালেদা জিয়া আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ে সহায়তা দিতে বাধা দানের উদ্দেশ্যে তারা আমার গাড়িবহরে চৈতন্যহীন বর্বর আক্রমণ চালাতে দ্বিধা করেনি। শুধু বহু গাড়ি কিংবা দলের নেতাকর্মীদের আঘাত করা নয়, তারা দায়িত্বরত গণমাধ্যম সাংবাদিকদের ওপরও নৃশংস আঘাত করেছে। তাদের যানবাহন ভাঙচুর করেছে। দেশে এখন জবাবদিহিহীন নির্মম দুঃশাসন বিরাজমান বলেই সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া বিস্তার ঘটেছে। গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান খালেদা জিয়ার।
অপর এক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তাৎণিকভাবে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক প্রতিবাদ মিছিল করে। এসময় ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হামলা সরকারের পরিকল্পনারই অংশ : খালেদা জিয়া

আপলোড টাইম : ০২:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ নভেম্বর ২০১৭

ঢাকায় ফেরার পথে খালেদা জিয়ার বহরের কাছে দুটি বাসে পেট্রল বোমা মেরেছে দুর্বৃত্তরা।

সমীকরণ ডেস্ক: বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ত্রাণ বিতরণ শেষে ফেরার পথে ফেনীর মহিপালে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে সন্ত্রাসীদের দ্বারা বাসে পেট্রলবোমা ছুড়ে আগুন লাগিয়ে আবারো হামলার ঘটনায় ধিক্কার ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। ফেনীতে ফের তার গাড়িবহরে হামলা সরকারের পরিকল্পনারই অংশ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
এক বিবৃতিতে গতকাল পুনরায় সন্ত্রাসীদের হামলাকে কাপুরুষোচিত আখ্যায়িত করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো আধুনিক রাজনৈতিক দল নয়, এটি সন্ত্রাসীদের আখড়া। এরা সব সময় রক্ততৃষ্ণায় কাতর থাকে। দলটি দেশকে হত্যা, দখল, হাঙ্গামা, রক্তারক্তি ও খুনোখুনিতে ভরিয়ে দিতে চাচ্ছে। এ দলটির পরতে পরতে জড়িয়ে আছে মানবতার অবমাননার বিভিন্ন দিক। জনগণের হাড়গোড় চিবিয়ে এরা ভয়ঙ্কর নরপিশাচে পরিণত হয়েছে। দেশব্যাপী এ পিশাচদের দোর্দ- পদচারণার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে ফেনী জেলাকে। ফেনী শহর এখন বিবেকবর্জিত সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। বেগম খালেদা জিয়া আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের মানবিক বিপর্যয়ে সহায়তা দিতে বাধা দানের উদ্দেশ্যে তারা আমার গাড়িবহরে চৈতন্যহীন বর্বর আক্রমণ চালাতে দ্বিধা করেনি। শুধু বহু গাড়ি কিংবা দলের নেতাকর্মীদের আঘাত করা নয়, তারা দায়িত্বরত গণমাধ্যম সাংবাদিকদের ওপরও নৃশংস আঘাত করেছে। তাদের যানবাহন ভাঙচুর করেছে। দেশে এখন জবাবদিহিহীন নির্মম দুঃশাসন বিরাজমান বলেই সন্ত্রাসীদের বেপরোয়া বিস্তার ঘটেছে। গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় জড়িত দুষ্কৃতকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আহ্বান খালেদা জিয়ার।
অপর এক বিবৃতিতে বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে তাৎণিকভাবে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এক প্রতিবাদ মিছিল করে। এসময় ১৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আটকের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।