ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হাইকোর্টের রুল : প্রধান শিক্ষকদের বেতন কেন ১০ম গ্রেডে নয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ২৪৭ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সে অনুযায়ী বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তসহ সকল প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১ ও ১২ তম গ্রেড দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ও বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। জনপ্রশাসন, অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনসহ (পিএসসি) সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে। টাঙ্গাইলের আতাবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুনসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ জন প্রধান শিক্ষকের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার ও মো. জে আর খান রবিন। রিট আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে রাখা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদমর্যাদার কর্মচারিদের বেতন কাঠামো রাখা হয়েছে ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডে। একারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে রাখা অবৈধ, বেআইনি ও অসাংবিধানিক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হাইকোর্টের রুল : প্রধান শিক্ষকদের বেতন কেন ১০ম গ্রেডে নয়

আপলোড টাইম : ১০:৩৪:৫২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

সমীকরণ প্রতিবেদন:
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন কাঠামো ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে সে অনুযায়ী বেতন-ভাতা নির্ধারণ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তসহ সকল প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা তৃতীয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করে ১১ ও ১২ তম গ্রেড দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন বেআইনি ও বাতিল করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। জনপ্রশাসন, অর্থ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনসহ (পিএসসি) সংশ্লিষ্টদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলে জবাব দিতে বলা হয়েছে। টাঙ্গাইলের আতাবারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহানারা খাতুনসহ বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭৭ জন প্রধান শিক্ষকের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট শাম্মী আক্তার ও মো. জে আর খান রবিন। রিট আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৪ সালের ৯ মার্চ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকের পদমর্যাদা তৃতীয় শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়। একইসঙ্গে তাদের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে রাখা হয়। কিন্তু ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদমর্যাদার কর্মচারিদের বেতন কাঠামো রাখা হয়েছে ১১তম থেকে ২০তম গ্রেডে। একারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১১ ও ১২তম গ্রেডে রাখা অবৈধ, বেআইনি ও অসাংবিধানিক।