ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১০৪ বার পড়া হয়েছে

ডিসি-ইউএনও’র কাছে কালীগঞ্জের ১৩ পরিবারের অভিযোগ
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খানের বিরুদ্ধে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রাশেদুল ইসলামের যোগসাজসে চেয়ারম্যান হতদরিদ্র পরিবারগুলোর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ঘর না পেয়ে পরিবারগুলো টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন হতদরিদ্র ১৩টি পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন ওই ইউনিয়নের সাতগাছী গ্রামের তরিকুল ইসলাম, গোষ্টগোপাল, স্বপন, কিরন, মোস্তফা, বিকাশ, ধীরেন, শরিফুল, রাশেদা খাতুন, জীতেন, কুমারহাটি গ্রামের মতিয়ার, তেঁতলুবাড়ি গ্রামের বুদো ও রবিনের কাছ থেকে এক বছর আগে সরকারি জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প’র ঘর দেওয়ার কথা বলে মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন ঘর দেওয়া তো দূরের কথা, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছর আগে ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ঋণ নিয়ে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছি। বছর পার হয়ে গেলও আমার ঘর দেওয়ার নাম নেই। টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাদের গালি-গালাজ করে চেয়ারম্যান। আমার ঘর দরকার নেই, আমি টাক ফেরত চাই।’ অপরর এক ভুক্তভোগী গোষ্টগোপাল বলেন, ‘আমি সহজ-সরল গরীব মানুষ। কর্ম করে খাই, আমার কোনো জমি নাই, বাবার যেটুকু আছে তাতেই কোনো মতে আছি। চেয়ারম্যান আয়ুব আর মেম্বার রাশেদুল সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ঘর না পেয়ে আমি আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।’
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। রাশেদুল মেম্বর নাকি আমার নাম করে টাকা নিয়েছে। কয়েকজন আমার কাছে নালিশ করার কারণে আমি জানতে পেরেছি।’ এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্না রানী সাহা বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্তের ফলাফল এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

হতদরিদ্রদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাৎ!

আপলোড টাইম : ১০:০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জানুয়ারী ২০২১

ডিসি-ইউএনও’র কাছে কালীগঞ্জের ১৩ পরিবারের অভিযোগ
ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নে সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে হতদরিদ্র মানুষের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খানের বিরুদ্ধে। ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার রাশেদুল ইসলামের যোগসাজসে চেয়ারম্যান হতদরিদ্র পরিবারগুলোর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। ঘর না পেয়ে পরিবারগুলো টাকা ফেরত চাইতে গেলে উল্টো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ ও কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন হতদরিদ্র ১৩টি পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইউপি সদস্য রাশেদুল ইসলামের মাধ্যমে চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন ওই ইউনিয়নের সাতগাছী গ্রামের তরিকুল ইসলাম, গোষ্টগোপাল, স্বপন, কিরন, মোস্তফা, বিকাশ, ধীরেন, শরিফুল, রাশেদা খাতুন, জীতেন, কুমারহাটি গ্রামের মতিয়ার, তেঁতলুবাড়ি গ্রামের বুদো ও রবিনের কাছ থেকে এক বছর আগে সরকারি জমি আছে ঘর নেই প্রকল্প’র ঘর দেওয়ার কথা বলে মোট ১ লাখ ৬৯ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এখন ঘর দেওয়া তো দূরের কথা, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
ভুক্তভোগী তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘এক বছর আগে ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা দাবি করে। আমি ঋণ নিয়ে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছি। বছর পার হয়ে গেলও আমার ঘর দেওয়ার নাম নেই। টাকা ফেরত চাইতে গেলে আমাদের গালি-গালাজ করে চেয়ারম্যান। আমার ঘর দরকার নেই, আমি টাক ফেরত চাই।’ অপরর এক ভুক্তভোগী গোষ্টগোপাল বলেন, ‘আমি সহজ-সরল গরীব মানুষ। কর্ম করে খাই, আমার কোনো জমি নাই, বাবার যেটুকু আছে তাতেই কোনো মতে আছি। চেয়ারম্যান আয়ুব আর মেম্বার রাশেদুল সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। ঘর না পেয়ে আমি আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাকা না দিয়ে উল্টো ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছেন।’
অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন খান বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নিইনি। এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। রাশেদুল মেম্বর নাকি আমার নাম করে টাকা নিয়েছে। কয়েকজন আমার কাছে নালিশ করার কারণে আমি জানতে পেরেছি।’ এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুবর্না রানী সাহা বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তদন্তের ফলাফল এলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।