ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন পরিচালনাকারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক : অবৈধযানে কারো প্রাণ গেলে চালকের নামে হবে হত্যা মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭
  • / ৩১৬ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা রোধ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া ২৫ দফা নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা ও সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরাসহ এসকল অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে না চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, অবৈধ যানবাহনে সংঘটিত দুর্ঘটনায় যদি কেউ প্রাণ হারায় তাহলে সেটা হত্যা মামলা হিসেবে গন্য করা হয়।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। পরে সচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার সড়ক দুর্ঘটনা ও তার প্রতিকারসহ বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের উন্নত দেশের সড়ক, চালক, যাত্রী ও যানবাহনের পার্থক্য তুলে ধরা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটিএ’র পরিদর্শক এস এম সবুজ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ই¯্রাফিল হোসেন, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. আতিয়ার রহমান।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, অবৈধযান আলমসাধুর বেপরোয়া চলাচলের কারণে সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ আলমসাধু, লাটাহাম্বার, নছিমন, করিমন। এ ছাড়াও শহরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারী চালিত অটো চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সাথে সাথে শহীদ হাসান চত্ত্বরসহ আশপাশ এলাকায় বাস কাউন্টার থাকায় যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করাচ্ছে। অপরদিকে ট্রেন চলাচলের সময় রেলগেট বন্ধ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, শহরে যানজট নিরসনে কার্যকরী কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা শিঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। সড়কে চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধান সড়কের ৫টি রুটে অবৈধযান চলবে না। পৌর কতৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যাটারী চালিত অটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অটো চালকদের তালিকা তৈরী করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তিনি বলেন, পৌর শহরের মধ্যে বাস পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা করা যাবে না। টার্মিনাল এবং মাথাভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে দৌলতদিয়াড় এলাকায় বাসস্টান্ড করতে হবে। বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীদের দ্রুত ও নিরাপদ সেবা দিতে টাউন সার্ভিস চালু করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামন লেমন, সাধারন সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, যানবাহন পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীন, জেলা বাস ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, ট্রাক ট্যাংক লরি কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, থ্রী হুইলার সমিতির সভাপতি মোমিনসহ থ্রী হুইলার, ফোর হুইলার আলমসাধু, নসিমন, করিমন, লাটাহাম্বার ও অটো চালকগন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সড়ক নিরাপত্তা ও দুর্ঘটনা রোধে যানবাহন পরিচালনাকারীদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক : অবৈধযানে কারো প্রাণ গেলে চালকের নামে হবে হত্যা মামলা

আপলোড টাইম : ০৪:৫০:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক নিরাপত্তা, দুর্ঘটনা রোধ বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগের দেওয়া ২৫ দফা নির্দেশনা সম্পর্কে আলোচনা ও সড়ক দুর্ঘটনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরাসহ এসকল অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে না চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়ে জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, অবৈধ যানবাহনে সংঘটিত দুর্ঘটনায় যদি কেউ প্রাণ হারায় তাহলে সেটা হত্যা মামলা হিসেবে গন্য করা হয়।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন। পরে সচিত্র প্রদর্শনীর মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার সড়ক দুর্ঘটনা ও তার প্রতিকারসহ বাংলাদেশের সাথে বিশ্বের উন্নত দেশের সড়ক, চালক, যাত্রী ও যানবাহনের পার্থক্য তুলে ধরা হয়।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআরটিএ’র পরিদর্শক এস এম সবুজ। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার নিজাম উদ্দীন, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সরকারী মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর এস এম ই¯্রাফিল হোসেন, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক মো. আতিয়ার রহমান।
উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, অবৈধযান আলমসাধুর বেপরোয়া চলাচলের কারণে সড়কে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ আলমসাধু, লাটাহাম্বার, নছিমন, করিমন। এ ছাড়াও শহরের মধ্যে নিয়ন্ত্রণহীন ব্যাটারী চালিত অটো চলাচলের কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সাথে সাথে শহীদ হাসান চত্ত্বরসহ আশপাশ এলাকায় বাস কাউন্টার থাকায় যত্রতত্র বাস দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা করাচ্ছে। অপরদিকে ট্রেন চলাচলের সময় রেলগেট বন্ধ থাকায় যানজট সৃষ্টি হয়েও ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, শহরে যানজট নিরসনে কার্যকরী কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা শিঘ্রই বাস্তবায়ন করা হবে। সড়কে চলাচলে নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রধান সড়কের ৫টি রুটে অবৈধযান চলবে না। পৌর কতৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যাটারী চালিত অটো চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। অটো চালকদের তালিকা তৈরী করে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। তিনি বলেন, পৌর শহরের মধ্যে বাস পার্কিং করে যাত্রী উঠানামা করা যাবে না। টার্মিনাল এবং মাথাভাঙ্গা ব্রিজ পার হয়ে দৌলতদিয়াড় এলাকায় বাসস্টান্ড করতে হবে। বাস মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শহরের মধ্যে যাত্রীদের দ্রুত ও নিরাপদ সেবা দিতে টাউন সার্ভিস চালু করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামন লেমন, সাধারন সম্পাদক ইবরুল হাসান জোয়ার্দ্দার ইবু, যানবাহন পরিচালনাকারী নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ নাসির জোয়ার্দ্দার, জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মঈনুদ্দীন, জেলা বাস ট্রাক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি এম জেনারেল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রিপন মন্ডল, ট্রাক ট্যাংক লরি কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ইসলাম উদ্দিন, থ্রী হুইলার সমিতির সভাপতি মোমিনসহ থ্রী হুইলার, ফোর হুইলার আলমসাধু, নসিমন, করিমন, লাটাহাম্বার ও অটো চালকগন।