ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সড়ক দুর্ঘটনায় সারা দেশে নিহত ২৩ : নাটোরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত ১৫

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: নাটোরের লালপুর উপজেলায় বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ জন নিহতসহ সারা দেশে গতকাল শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন। অন্যান্য দুর্ঘটনার মধ্যে কুমিল্লায় ও ফরিদপুরে দুজন করে, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর ও মৌলভীবাজারে একজন করে নিহত হন। এ ছাড়া অপর ব্যক্তি নাটোরের বড়াইগ্রামে আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
জানা গেছে, নাটোরের লালপুর উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কের এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শামসুন নুর ঘটনাস্থল থেকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনা তদন্তে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও এডিএম রেজাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল হাসনাত ও বিআরটিএ নাটোরের সহকারী পরিচালক আশরাফুজ্জামান। একই সাথে দুর্ঘটনায় নিহত প্রতিজনের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজ্জাক মোড় এলাকায় দুপুরে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম বাবু হোসেন (৩০)। হাইওয়ে থানার এসআই তরিকুল ইসলাম ও নাটোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, বিকেল ৪টার দিকে পাবনা থেকে বগুড়াগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস কদিমচিলান এলাকায় বিপরিত দিক থেকে আসা একটি লেগুনাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে লেগুনার সকল যাত্রী ছিটকে পড়লে চাপা পড়ে দুই শিশু, ছয় নারীসহ ১০ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে হাসপাতালে তিনজন ও এরপর আরও একজন মারা যান। তারা জানান, এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে বাসের অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বনপাড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের লেগুনা চালক আব্দুর রহিম (৩০), নারায়নপুর গ্রামের রাপচাঁদ প্রামাণিকের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৫), তাহের উদ্দিনের স্ত্রী রজুফা বেগম (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নওফেল হোসেনের স্ত্রী লাগেনা বিবি (৫৫), রাজশাহীর চারঘাট থানার মীরকামারি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শাপলা খাতুন (২০), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা সদরের রোকনুজ্জামান (৫৫), পাবনার ঈশ্বরদি থানার মুলাডুলি গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী আদরী বেগম (৩৫), তার ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২) ও মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস (১৫), পাকশি এলাকার সোবহান আলী (৭৫)। অন্যদের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সড়ক দুর্ঘটনায় সারা দেশে নিহত ২৩ : নাটোরে বাস-লেগুনা সংঘর্ষে নিহত ১৫

আপলোড টাইম : ০৯:৪৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অগাস্ট ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট: নাটোরের লালপুর উপজেলায় বাস ও লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ জন নিহতসহ সারা দেশে গতকাল শনিবার সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ২৩ জন। অন্যান্য দুর্ঘটনার মধ্যে কুমিল্লায় ও ফরিদপুরে দুজন করে, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর ও মৌলভীবাজারে একজন করে নিহত হন। এ ছাড়া অপর ব্যক্তি নাটোরের বড়াইগ্রামে আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।
জানা গেছে, নাটোরের লালপুর উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে লেগুনার সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হয়। গতকাল শনিবার বিকেলে উপজেলার কদিমচিলান কিলিক মোড় এলাকায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কের এ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১৫ জন। বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিএম শামসুন নুর ঘটনাস্থল থেকে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। দুর্ঘটনা তদন্তে নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও এডিএম রেজাজ্জাকুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল হাসনাত ও বিআরটিএ নাটোরের সহকারী পরিচালক আশরাফুজ্জামান। একই সাথে দুর্ঘটনায় নিহত প্রতিজনের পরিবারকে ২০ হাজার এবং আহতদের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপুরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে বড়াইগ্রাম উপজেলার রাজ্জাক মোড় এলাকায় দুপুরে বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম বাবু হোসেন (৩০)। হাইওয়ে থানার এসআই তরিকুল ইসলাম ও নাটোর ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আক্তার হোসেন জানান, বিকেল ৪টার দিকে পাবনা থেকে বগুড়াগামী চ্যালেঞ্জার পরিবহনের একটি বাস কদিমচিলান এলাকায় বিপরিত দিক থেকে আসা একটি লেগুনাকে সামনে থেকে চাপা দেয়। এতে লেগুনার সকল যাত্রী ছিটকে পড়লে চাপা পড়ে দুই শিশু, ছয় নারীসহ ১০ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পরে হাসপাতালে তিনজন ও এরপর আরও একজন মারা যান। তারা জানান, এসময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে গাছের সাথে ধাক্কা খায়। এতে বাসের অন্তত ১৫ যাত্রী আহত হন। আহতদের মধ্যে দুইজনকে গুরুতর অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের বনপাড়ার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের লেগুনা চালক আব্দুর রহিম (৩০), নারায়নপুর গ্রামের রাপচাঁদ প্রামাণিকের স্ত্রী শেফালী বেগম (৪৫), তাহের উদ্দিনের স্ত্রী রজুফা বেগম (৩৫), জামাইদিঘা গ্রামের নওফেল হোসেনের স্ত্রী লাগেনা বিবি (৫৫), রাজশাহীর চারঘাট থানার মীরকামারি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে শাপলা খাতুন (২০), টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলা সদরের রোকনুজ্জামান (৫৫), পাবনার ঈশ্বরদি থানার মুলাডুলি গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী আদরী বেগম (৩৫), তার ছেলে প্রত্যয় বিশ্বাস (১২) ও মেয়ে স্বপ্না বিশ্বাস (১৫), পাকশি এলাকার সোবহান আলী (৭৫)। অন্যদের পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।