ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯
  • / ২৭৮ বার পড়া হয়েছে

ফিটনেসবিহীন গাড়ি লাইসেন্সহীন চালকের সংখ্যা কত?
সমীকরণ প্রতিবেদন:
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ফিটনেস ও নিবন্ধনহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সহীন চালকের তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ গতকাল বুধবার স্ব:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণের ডিসি ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানীকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে আগামী ৩০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কতগুলো যানবাহনের নিবন্ধন ও চালকের লাইসেন্স নবায়নের জন্য জমা আছে, কেন যথাসময়ে নবায়ন করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনার পর ৭১ হাজার ফিটনেসহীন গাড়ি নিয়ে গত ২৩ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। এ সময় আদালত বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। আদালত আদেশের পাশাপাশি ফিটনেস, নিবন্ধনহীন যান চলাচল ও লাইসেন্স ছাড়া যান চালানো বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তির বাঁচার অধিকার রক্ষায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর বিধান বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, ঢাকা ট্র্যাফিক পুলিশের (উত্তর ও দক্ষিণ) ডিসি, বিআরটিএ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালকসহ সাতজকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এ এম আমিনউদ্দিনের বক্তব্যও জানতে চান আদালত। এছাড়া ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিকও আদালতে তার মতামত দেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল

আপলোড টাইম : ১০:২৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০১৯

ফিটনেসবিহীন গাড়ি লাইসেন্সহীন চালকের সংখ্যা কত?
সমীকরণ প্রতিবেদন:
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ফিটনেস ও নিবন্ধনহীন গাড়ি এবং লাইসেন্সহীন চালকের তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩০ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ গতকাল বুধবার স্ব:প্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন। বিআরটিএ চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক, ঢাকার ট্রাফিক পুলিশের উত্তর ও দক্ষিণের ডিসি ও বিআরটিএর সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মাহবুব-ই-রাব্বানীকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে বিআরটিএ’র সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালককে আগামী ৩০ এপ্রিল আদালতে হাজির হয়ে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানাতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে কতগুলো যানবাহনের নিবন্ধন ও চালকের লাইসেন্স নবায়নের জন্য জমা আছে, কেন যথাসময়ে নবায়ন করা হচ্ছে না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
সড়কে একের পর এক দুর্ঘটনার পর ৭১ হাজার ফিটনেসহীন গাড়ি নিয়ে গত ২৩ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব। এ সময় আদালত বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নন। সকলকেই আইন মেনে চলতে হবে। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না হলে কোনো দেশ উন্নতি লাভ করতে পারে না। আদালত আদেশের পাশাপাশি ফিটনেস, নিবন্ধনহীন যান চলাচল ও লাইসেন্স ছাড়া যান চালানো বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সংবিধানের ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তির বাঁচার অধিকার রক্ষায় মোটরযান অধ্যাদেশ ১৯৮৩-এর বিধান বাস্তবায়নের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিআরটিএ চেয়ারম্যান, ঢাকা ট্র্যাফিক পুলিশের (উত্তর ও দক্ষিণ) ডিসি, বিআরটিএ সড়ক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালকসহ সাতজকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সময় আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি এ এম আমিনউদ্দিনের বক্তব্যও জানতে চান আদালত। এছাড়া ওই বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিনউদ্দিন মানিকও আদালতে তার মতামত দেন।