ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বেচ্ছায় ‘লকডাউনে’ ঝিনাইদহের তিনটি গ্রাম

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০
  • / ২৬৩ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর স্বেচ্ছায় লকডাউন হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম। এবার লকডাউন করা হলো একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রাম। ওই গ্রামের ধোপাবিলা ক্রীড়া সংঘের ১ শ জন সদস্যের উদ্যোগে বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিতরণ করা হচ্ছে সাবান, জীবাণুনাশক ও মাস্ক।
লকডাউন সমন্বয়কারী সাগর আহম্মেদ ও মিলন মেম্বার জানান, গ্রামের ১ শ জন স্বেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা গ্রামের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন। বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকছে ধোপাবিলা ক্রীড়া সংঘের সদস্যরা। নতুন কেউ গ্রামে এলে তাঁকে গোটা শরীরে স্প্রে করা হচ্ছে। লকডাউন করার বিষয়টি কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তাঁরা জানান। কমিটির সদস্য স¤্রাট শাহজাহান, আমিনুদ্দিন সুমন, ইয়াদুল ও আনার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ধোপাবিলা গ্রামে জনসংখ্যা আছে প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। লকডাউন করায় গ্রামের গরিব মানুষদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে বলে অনেকে মনে করেন।
কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। ধোপাবিলা গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বেচ্ছায় ‘লকডাউনে’ ঝিনাইদহের তিনটি গ্রাম

আপলোড টাইম : ১০:৪২:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ এপ্রিল ২০২০

ঝিনাইদহ অফিস:
কালীগঞ্জের আনন্দবাগ গ্রামের পর স্বেচ্ছায় লকডাউন হয়েছে কোটচাঁদপুর উপজেলার দয়ারামপুর গ্রাম। এবার লকডাউন করা হলো একই উপজেলার ধোপাবিলা গ্রাম। ওই গ্রামের ধোপাবিলা ক্রীড়া সংঘের ১ শ জন সদস্যের উদ্যোগে বাইরের কাউকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। প্রয়োজন নিশ্চিত করে গ্রাম থেকে বাইরে এবং বাইরে থেকে গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বাইরে থেকে প্রবেশের সময় সমস্ত শরীরে জীবাণুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া বিতরণ করা হচ্ছে সাবান, জীবাণুনাশক ও মাস্ক।
লকডাউন সমন্বয়কারী সাগর আহম্মেদ ও মিলন মেম্বার জানান, গ্রামের ১ শ জন স্বেবচ্ছাসেবক নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁরা গ্রামের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে কাজ করছেন। বসানো হয়েছে টহল। পুরো গ্রামটিকে নজদারিতে রাখা হয়েছে। গ্রামের মোড়ের রাস্তায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক স্প্রে নিয়ে বসে থাকছে ধোপাবিলা ক্রীড়া সংঘের সদস্যরা। নতুন কেউ গ্রামে এলে তাঁকে গোটা শরীরে স্প্রে করা হচ্ছে। লকডাউন করার বিষয়টি কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে বলে তাঁরা জানান। কমিটির সদস্য স¤্রাট শাহজাহান, আমিনুদ্দিন সুমন, ইয়াদুল ও আনার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, ধোপাবিলা গ্রামে জনসংখ্যা আছে প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। সবাইকে বাড়িতে থাকার জন্য বলা হচ্ছে। লকডাউন করায় গ্রামের গরিব মানুষদের চাল, ডাল, তেলসহ আনুষাঙ্গিক দেওয়ারও চেষ্টা চলছে। এভাবে চলতে থাকলে গ্রামটি সুরক্ষিত থাকবে বলে অনেকে মনে করেন।
কোটচাঁদপুরের দোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাবিল উদ্দীন বিশ্বাস জানান, স্বেচ্ছাসেবকদের সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নের মাধ্যমে কার্যক্রমটি পরিচালিত হচ্ছে। ধোপাবিলা গ্রামবাসীর এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসার দাবি রাখে।