ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ পালন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
  • / ২০৯ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মহান রব্বুল আলামিনের কাছে বিশ্বে চলমান করোনা মহামারী থেকে মুক্তি, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং গুনাহ মাফের রোনাজারির মাধ্যমে এবার পালিত হলো পবিত্র হজ। আল্লাহর দয়া ও করুণা লাভের আশায় গতকাল সৌদি আরবের ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানে হাজির হয়ে হাজিরা কাতর কণ্ঠে ঘোষণা করতে থাকেন, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ ‘হে আল্লাহ আমি হাজির! আমি উপস্থিত! আপনার কোনো অংশীদার নেই। (এই সত্যেও ঘোষণা দিতে) আমি হাজির। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা আপনার ও সম্পদরাজি আপনার এবং রাজত্বও একমাত্র আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার প্রান্তরে অবস্থান করে হাজিরা মসজিদে নামিরায় অবস্থান করে হজের খুতবা শোনেন। এবার খুতবা দেন সৌদি রয়্যাল কোর্টের সিনিয়র স্কলার্স কাউন্সিলের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ বিন সুলিমান আল-মেনিয়া। আরাফাতের এই খুতবা বাংলাসহ ১০টি ভাষায় বিভিন্ন দেশের টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। খুতবার পর হাজিরা জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন এবং দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে তাঁর দয়া ও করুণা ভিক্ষা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় হজের মূল পর্ব। সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজীরা সেখানে অবস্থান করেন। এ সময় হাজীদের পরস্পর দেড় মিটার দূরে দূরে অবস্থান করতে দেখা যায়। সৌদি আরবের দিনপঞ্জি অনুযায়ী প্রতি বছর হিজরি মাসের ৯ জিলহজ তারিখে পবিত্র হজ পালিত হয়। করোনা মহামারীর কারণে আরাফার প্রান্তরে এবার ছিল না লাখো মানুষের ঢল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে ধর্মীয় অনুশাসন রক্ষায় সীমিত আকারে পালিত হয় এই হজ। এবার রাষ্ট্রীয় বিধি-নিষেধের কারণে আল্লাহর ঘরের তাওয়াফকারীরা পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করেছেন সামাজিক দূরত্ব মেনে ও মাস্ক পরে। হজের কার্যক্রম শুরুর আগেই খাদেমুল হারামাইন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কালো পাথরের মুখ আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। তবে গতকাল শুধু ইহরামের কাপড় পরে পুরুষ হাজির হওয়ার ধর্মীয় নির্দেশনার কারণে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হাজীদের মাস্ক পরিধান করতে হয়নি।
এবার হজ করছেন মাত্র ১ হাজার হাজী। আরাফাতের ময়দান থেকে গত রাতে হাজীরা মুজদালিফা যান এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন। সাধারণত হাজীদের মুজদালিফায় অবস্থানকালে শয়তানের উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারার জন্য রাতের বেলা কঙ্কর সংগ্রহ করতে হতো। এবার তা করতে হয়নি। আগে থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষের সংগৃহীত ও জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর সরবরাহ করা হয়। হাজীরা আজ জামারায় শয়তানকে সে পাথরই মারবেন। খুতবায় আল-মেনিয়া আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী উদ্ধৃত করে বলেন, ‘নবীজি বলেছিলেন, আল্লাহর বান্দারা, অসুস্থতার নিরাময়ের সন্ধান করুন, যেহেতু পৃথিবীতে এমন কোনো রোগ নেই যার নিরাময় নেই।’ আবার নবী (সা.) এটাও বলেছিলেন- ‘কুষ্ঠ রোগী থেকে পালিয়ে যাও, যেহেতু আপনি সিংহ থেকে পালিয়ে যাবেন’, পাশাপাশি ‘যিনি সুস্থ আছেন তাকে অসুস্থ অবস্থায় রাখবেন না।’ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে বলেন, মহামারী যে ক্ষতি করতে পারে তার বিরুদ্ধে জীবন রক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। আল্লাহ মানুষের জীবন রক্ষার যে অনুমোদন দিয়েছেন ইসলামের শিক্ষার আলোকে তা বাস্তবে রূপ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই পৃথিবীর মানুষের জন্য এটি একটি পরীক্ষা। এর মাধ্যমে তিনি তার বান্দাদের মধ্যে আমলের ভিত্তিতে পৃথক করে দেন। তবে এই পরিস্থিতি যতই কঠিন হয়ে উঠুক না কেন, সমস্যা কখনো চিরস্থায়ী হয় না। আল্লাহর রহমত সর্বদা আরও বিস্তৃত। তাঁর করুণা দান সর্বদা তাঁর বান্দার সবচেয়ে নিকটে থাকে। আজ শুক্রবার ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন হাজীরা। মিনায় ফিরে খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে হাজীরা জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য রওনা দেবেন। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার আগেই জামারাতুল আকাবায় (বড় শয়তান) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। কঙ্কর নিক্ষেপের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তারা পশু কোরবানি করবেন। এরপর পুরুষ হাজীরা মাথা মু-ন করবেন। প্রথম দিনের কঙ্কর মারা শেষ হলে চলমান হজ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব হাজীকে মিনায় নির্দিষ্ট তাঁবুতে অবস্থান করতে হবে। মিনায় দুই দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে হাজীদের একইভাবে প্রতিদিন শয়তানের উদ্দেশ্যে কঙ্কর মারতে হবে। সেখানে ছোট জামারা, মধ্য জামারা ও বড় জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে হাজীরা মিনা ত্যাগ করবেন। এরপর মক্কায় ফিরে তারা সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সায়ী করবেন বা দৌড়াবেন। তারপর বিদায়ী তাওয়াফ করবেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজীদের তাওয়াফের জন্য কাবাঘরের চারপাশ এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানোর স্থানকে প্রতি দল হাজীর ব্যবহারের আগে ও পরে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করেছে। তার পরও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কাবাঘরে নামাজ আদায়ের জন্য নিজস্ব জায়নামাজ আনার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো হাজী যাতে পবিত্র কাবাঘর ও কালো পাথরের কাছে যেতে না পারেন সে জন্য এর চারপাশে কৃত্রিম দেয়াল তুলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়েছে।
জমজমের কূপ এলাকায়ও হাজীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বোতলে করে হাজীদের জমজমের পানি সরবরাহ করা হয়। সর্বোপরি হজের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রত্যেক হাজীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেও হাজীদের সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এ বছর সীমিত পরিসরে হজ পালনের জন্য এসব বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ পালন

আপলোড টাইম : ১০:১৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০

সমীকরণ প্রতিবেদন:
মহান রব্বুল আলামিনের কাছে বিশ্বে চলমান করোনা মহামারী থেকে মুক্তি, মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং গুনাহ মাফের রোনাজারির মাধ্যমে এবার পালিত হলো পবিত্র হজ। আল্লাহর দয়া ও করুণা লাভের আশায় গতকাল সৌদি আরবের ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানে হাজির হয়ে হাজিরা কাতর কণ্ঠে ঘোষণা করতে থাকেন, ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। লাব্বাইক লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্নিমাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক।’ ‘হে আল্লাহ আমি হাজির! আমি উপস্থিত! আপনার কোনো অংশীদার নেই। (এই সত্যেও ঘোষণা দিতে) আমি হাজির। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা আপনার ও সম্পদরাজি আপনার এবং রাজত্বও একমাত্র আপনারই। আপনার কোনো অংশীদার নেই।’ সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার প্রান্তরে অবস্থান করে হাজিরা মসজিদে নামিরায় অবস্থান করে হজের খুতবা শোনেন। এবার খুতবা দেন সৌদি রয়্যাল কোর্টের সিনিয়র স্কলার্স কাউন্সিলের সদস্য শেখ আবদুল্লাহ বিন সুলিমান আল-মেনিয়া। আরাফাতের এই খুতবা বাংলাসহ ১০টি ভাষায় বিভিন্ন দেশের টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। খুতবার পর হাজিরা জোহর ও আসরের নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন এবং দুই হাত তুলে আল্লাহর দরবারে তাঁর দয়া ও করুণা ভিক্ষা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় হজের মূল পর্ব। সূর্যাস্ত পর্যন্ত হাজীরা সেখানে অবস্থান করেন। এ সময় হাজীদের পরস্পর দেড় মিটার দূরে দূরে অবস্থান করতে দেখা যায়। সৌদি আরবের দিনপঞ্জি অনুযায়ী প্রতি বছর হিজরি মাসের ৯ জিলহজ তারিখে পবিত্র হজ পালিত হয়। করোনা মহামারীর কারণে আরাফার প্রান্তরে এবার ছিল না লাখো মানুষের ঢল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে ধর্মীয় অনুশাসন রক্ষায় সীমিত আকারে পালিত হয় এই হজ। এবার রাষ্ট্রীয় বিধি-নিষেধের কারণে আল্লাহর ঘরের তাওয়াফকারীরা পবিত্র কাবাঘর তাওয়াফ করেছেন সামাজিক দূরত্ব মেনে ও মাস্ক পরে। হজের কার্যক্রম শুরুর আগেই খাদেমুল হারামাইন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ‘হাজরে আসওয়াদ’ বা কালো পাথরের মুখ আবরণ দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। তবে গতকাল শুধু ইহরামের কাপড় পরে পুরুষ হাজির হওয়ার ধর্মীয় নির্দেশনার কারণে আরাফাতের প্রান্তরে সমবেত হাজীদের মাস্ক পরিধান করতে হয়নি।
এবার হজ করছেন মাত্র ১ হাজার হাজী। আরাফাতের ময়দান থেকে গত রাতে হাজীরা মুজদালিফা যান এবং সেখানে মাগরিব ও এশার নামাজ একসঙ্গে আদায় করেন। সাধারণত হাজীদের মুজদালিফায় অবস্থানকালে শয়তানের উদ্দেশ্যে ছুড়ে মারার জন্য রাতের বেলা কঙ্কর সংগ্রহ করতে হতো। এবার তা করতে হয়নি। আগে থেকে সৌদি কর্তৃপক্ষের সংগৃহীত ও জীবাণুমুক্ত প্যাকেটজাত পাথর সরবরাহ করা হয়। হাজীরা আজ জামারায় শয়তানকে সে পাথরই মারবেন। খুতবায় আল-মেনিয়া আল্লাহর নবী মুহাম্মদ (সা.) এর বাণী উদ্ধৃত করে বলেন, ‘নবীজি বলেছিলেন, আল্লাহর বান্দারা, অসুস্থতার নিরাময়ের সন্ধান করুন, যেহেতু পৃথিবীতে এমন কোনো রোগ নেই যার নিরাময় নেই।’ আবার নবী (সা.) এটাও বলেছিলেন- ‘কুষ্ঠ রোগী থেকে পালিয়ে যাও, যেহেতু আপনি সিংহ থেকে পালিয়ে যাবেন’, পাশাপাশি ‘যিনি সুস্থ আছেন তাকে অসুস্থ অবস্থায় রাখবেন না।’ সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে বলেন, মহামারী যে ক্ষতি করতে পারে তার বিরুদ্ধে জীবন রক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। আল্লাহ মানুষের জীবন রক্ষার যে অনুমোদন দিয়েছেন ইসলামের শিক্ষার আলোকে তা বাস্তবে রূপ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এই পৃথিবীর মানুষের জন্য এটি একটি পরীক্ষা। এর মাধ্যমে তিনি তার বান্দাদের মধ্যে আমলের ভিত্তিতে পৃথক করে দেন। তবে এই পরিস্থিতি যতই কঠিন হয়ে উঠুক না কেন, সমস্যা কখনো চিরস্থায়ী হয় না। আল্লাহর রহমত সর্বদা আরও বিস্তৃত। তাঁর করুণা দান সর্বদা তাঁর বান্দার সবচেয়ে নিকটে থাকে। আজ শুক্রবার ১০ জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে মুজদালিফা থেকে মিনায় ফিরবেন হাজীরা। মিনায় ফিরে খানিকটা বিশ্রাম নিয়ে হাজীরা জামারায় পাথর নিক্ষেপের জন্য রওনা দেবেন। সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যাওয়ার আগেই জামারাতুল আকাবায় (বড় শয়তান) সাতটি কঙ্কর নিক্ষেপ করবেন। কঙ্কর নিক্ষেপের পর আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় তারা পশু কোরবানি করবেন। এরপর পুরুষ হাজীরা মাথা মু-ন করবেন। প্রথম দিনের কঙ্কর মারা শেষ হলে চলমান হজ কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত সব হাজীকে মিনায় নির্দিষ্ট তাঁবুতে অবস্থান করতে হবে। মিনায় দুই দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে হাজীদের একইভাবে প্রতিদিন শয়তানের উদ্দেশ্যে কঙ্কর মারতে হবে। সেখানে ছোট জামারা, মধ্য জামারা ও বড় জামারায় কঙ্কর নিক্ষেপ করতে হয়। ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগে হাজীরা মিনা ত্যাগ করবেন। এরপর মক্কায় ফিরে তারা সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে সায়ী করবেন বা দৌড়াবেন। তারপর বিদায়ী তাওয়াফ করবেন। সৌদি কর্তৃপক্ষ হাজীদের তাওয়াফের জন্য কাবাঘরের চারপাশ এবং সাফা ও মারওয়া পাহাড়ের মধ্যে দৌড়ানোর স্থানকে প্রতি দল হাজীর ব্যবহারের আগে ও পরে জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করেছে। তার পরও বাড়তি সতর্কতা হিসেবে কাবাঘরে নামাজ আদায়ের জন্য নিজস্ব জায়নামাজ আনার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। এ ছাড়া কোনো হাজী যাতে পবিত্র কাবাঘর ও কালো পাথরের কাছে যেতে না পারেন সে জন্য এর চারপাশে কৃত্রিম দেয়াল তুলে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়েছে।
জমজমের কূপ এলাকায়ও হাজীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে বোতলে করে হাজীদের জমজমের পানি সরবরাহ করা হয়। সর্বোপরি হজের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রত্যেক হাজীকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগেও হাজীদের সাত দিনের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়। এ বছর সীমিত পরিসরে হজ পালনের জন্য এসব বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি জারি করে সৌদি আরবের জাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।