ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আলমডাঙ্গায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০১৯
  • / ২২০ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূ স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। বিয়ের ৬ মাস পার না হতেই গতকাল বৃহস্পতিবার নববধু সাদিয়া ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের আকুব্বার আলীর ছেলে আকরামুল হোসেন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। ৬ মাস আগে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ড গ্রামের সিদ্দিক আলীর মেয়ে সাদিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর আকরামুল বিদেশ যাওয়ার জন্য সাদিয়াকে তার পিতার নিকট থেকে টাকা এনে দিতে বলে। সাদিয়া টাকা এনে না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় তার সাথে কথা কাটাকাটি হত এবং তাকে ব্যাপক মারপিট করা হতো। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সাদিয়া তার নিজ ঘরের আড়াই ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সাদিয়াকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় সাদিয়ার বাবা সিদ্দীক আলী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুশি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আজ শুক্রবার সাদিয়ার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
সাদিয়ার বাবা জানান, মোবাইল ফোনে সংবাদ পায়, আমার মেয়ে সাদিয়া অসুস্থ তাকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হারদী ভর্তি করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এসে হাসপাতালে খোজ করে না পেয়ে মোড়ভাঙ্গায় গিয়ে দেখি আত্মহত্যা করেছে। আমার জামাই আকরামুল বিয়ের কিছুদিন পর বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। এদিকে, গ্রামে গুঞ্জন উঠেছে মেয়ে পক্ষের সাথে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জামাই পক্ষ আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আলমডাঙ্গায় গৃহবধূর আত্মহত্যা

আপলোড টাইম : ০৯:২৮:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০১৯

আলমডাঙ্গা অফিস:
আলমডাঙ্গা মোড়ভাঙ্গা গ্রামের এক গৃহবধূ স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যা করেছে। বিয়ের ৬ মাস পার না হতেই গতকাল বৃহস্পতিবার নববধু সাদিয়া ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। জানা গেছে, আলমডাঙ্গার মোড়ভাঙ্গা গ্রামের আকুব্বার আলীর ছেলে আকরামুল হোসেন পেশায় একজন রং মিস্ত্রি। ৬ মাস আগে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ড গ্রামের সিদ্দিক আলীর মেয়ে সাদিয়ার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর আকরামুল বিদেশ যাওয়ার জন্য সাদিয়াকে তার পিতার নিকট থেকে টাকা এনে দিতে বলে। সাদিয়া টাকা এনে না দেওয়ায় বিভিন্ন সময় তার সাথে কথা কাটাকাটি হত এবং তাকে ব্যাপক মারপিট করা হতো। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে সাদিয়া তার নিজ ঘরের আড়াই ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সাদিয়াকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় সাদিয়ার বাবা সিদ্দীক আলী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা থানা পুশি লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আজ শুক্রবার সাদিয়ার লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
সাদিয়ার বাবা জানান, মোবাইল ফোনে সংবাদ পায়, আমার মেয়ে সাদিয়া অসুস্থ তাকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হারদী ভর্তি করা হয়েছে। আমরা দ্রুত এসে হাসপাতালে খোজ করে না পেয়ে মোড়ভাঙ্গায় গিয়ে দেখি আত্মহত্যা করেছে। আমার জামাই আকরামুল বিয়ের কিছুদিন পর বিদেশ যাওয়ার জন্য টাকা দাবি করে। এদিকে, গ্রামে গুঞ্জন উঠেছে মেয়ে পক্ষের সাথে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে জামাই পক্ষ আপোষ মিমাংসা করার চেষ্টা করছিল।