ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বামীর নির্যাতনের শিকার দামুড়হুদা ধান্যঘোরা গ্রাম থেকে আটক গৃহবধূকে উদ্ধার করলো মানবতা ফাউন্ডেশন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে

Dd Manikhondkar

যৌতুকের টাকা না পেয়ে নির্যাতনপূর্বক আটকে রাখা গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ি হইতে উদ্ধার করে আইনি সহায়তা দিতে পাশে দাড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানবধিকার সংস্থা মাসবতা ফাউন্ডেশন। ঘটনার প্রকাশ আনুমানিক ৬বছর পূর্বে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে জিসা খাতুন (২৪) এর বিবাহ হয় দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘোরা গ্রামের চুল ব্যবসায়ী ইসমাঈল শেখের ছেলে দর্জি লালন (৩০) এর সাথে। সংসার জীবনে তাদের একটি সাড়ে তিন বছর বয়সী  কন্যা সন্তান রয়েছে তার নাম রোজ। লালন ইতিপূর্বে নিউমার্কেট সংলগ্ন প্যারাডাইস টেইলার্সের দর্জি ছিল। সে ও তার পিতামাতা পছন্দ করেই জিসার সহিত লালনের বিয়ে দেন। জিসার পিতামাতা জিসার শিশুকালে অন্যত্র বিবাহ করিয়া জিসাকে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি তার নানার বাড়িতে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যাব। বর্তমানে মামা রেজাউল করিম জিসা খাতুনের অভিভাবক। বিয়ের সময় জিসার মামারা খাট, ডেসিনটেবিল, শোকেচসহ টেলিভিশন, ঘড়ি, মোবাইল এবং সংসারের যাবতীয় জিনিসপত্র দিয়েছেন। তাহাতে ও যৌতুকলোভী লালনের পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও লালনের স্বাভাবের পরিবর্তন হয়নি। বিয়ের পর থেকেই লালন তার পিতা-মাতা ও ভাই-বোনের প্ররোচনায় দুইলক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে জিসা খাতুনের উপর নির্যাতন করে আসছে। গত ১৫দিন আগে লালন জোরপূর্বক স্ত্রীকে তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। জিসার মামা করিম বিষয়টি জানতে পেরে লালনের বাড়িতে গেলে লালন গত ১সপ্তাহ চুপচাপ ছিল। গতকাল জিসা খাতুনের স্বামী লালন ও জিসার শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, ভাসুর, ননদ ওজা দুই লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে জিসাকে নাবালক সন্তানসহ ঘরে আটকে রাখে। গতকাল জিসার মামা আনতে গেলে ও লালন তাতে বাধা দেয় এবং যৌতুকের দাবীতে অটল থাকে। আজ জিসা খাতুনের মামা ভিকটিম উদ্ধারসহ আইনি সহায়তা চেয়ে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকারের বরাবর আবেদন করেন। নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারের নেতৃত্বে ও সদস্যের টিমে উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু, মোটিভেশন কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা কুসুর ও সেবা কর্মকর্তা মাহফুজ আক্তার জুথি। তাহারা স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসীর সহায়তায় নির্যাতনের শিকার জিসা খাতুন ও তার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা সদর  হাসপাতালে চিকিৎসা করান। মামলা দায়েরের  প্রস্তুতি চলছে। মানবতা ফাউন্ডেশন ভিকটিমকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বামীর নির্যাতনের শিকার দামুড়হুদা ধান্যঘোরা গ্রাম থেকে আটক গৃহবধূকে উদ্ধার করলো মানবতা ফাউন্ডেশন

আপলোড টাইম : ০১:৪৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

Dd Manikhondkar

যৌতুকের টাকা না পেয়ে নির্যাতনপূর্বক আটকে রাখা গৃহবধূকে স্বামীর বাড়ি হইতে উদ্ধার করে আইনি সহায়তা দিতে পাশে দাড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গার মানবধিকার সংস্থা মাসবতা ফাউন্ডেশন। ঘটনার প্রকাশ আনুমানিক ৬বছর পূর্বে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বেলগাছি গ্রামের জিয়াউর রহমানের মেয়ে জিসা খাতুন (২৪) এর বিবাহ হয় দামুড়হুদা উপজেলার কুড়–লগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘোরা গ্রামের চুল ব্যবসায়ী ইসমাঈল শেখের ছেলে দর্জি লালন (৩০) এর সাথে। সংসার জীবনে তাদের একটি সাড়ে তিন বছর বয়সী  কন্যা সন্তান রয়েছে তার নাম রোজ। লালন ইতিপূর্বে নিউমার্কেট সংলগ্ন প্যারাডাইস টেইলার্সের দর্জি ছিল। সে ও তার পিতামাতা পছন্দ করেই জিসার সহিত লালনের বিয়ে দেন। জিসার পিতামাতা জিসার শিশুকালে অন্যত্র বিবাহ করিয়া জিসাকে চুয়াডাঙ্গা বেলগাছি তার নানার বাড়িতে ফেলে রেখে অন্যত্র চলে যাব। বর্তমানে মামা রেজাউল করিম জিসা খাতুনের অভিভাবক। বিয়ের সময় জিসার মামারা খাট, ডেসিনটেবিল, শোকেচসহ টেলিভিশন, ঘড়ি, মোবাইল এবং সংসারের যাবতীয় জিনিসপত্র দিয়েছেন। তাহাতে ও যৌতুকলোভী লালনের পিতা-মাতা, ভাই-বোন ও লালনের স্বাভাবের পরিবর্তন হয়নি। বিয়ের পর থেকেই লালন তার পিতা-মাতা ও ভাই-বোনের প্ররোচনায় দুইলক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে জিসা খাতুনের উপর নির্যাতন করে আসছে। গত ১৫দিন আগে লালন জোরপূর্বক স্ত্রীকে তালাকনামায় স্বাক্ষর করিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে চায়। জিসার মামা করিম বিষয়টি জানতে পেরে লালনের বাড়িতে গেলে লালন গত ১সপ্তাহ চুপচাপ ছিল। গতকাল জিসা খাতুনের স্বামী লালন ও জিসার শ্বশুর-শ্বাশুড়ী, ভাসুর, ননদ ওজা দুই লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবীতে মারপিট করে জিসাকে নাবালক সন্তানসহ ঘরে আটকে রাখে। গতকাল জিসার মামা আনতে গেলে ও লালন তাতে বাধা দেয় এবং যৌতুকের দাবীতে অটল থাকে। আজ জিসা খাতুনের মামা ভিকটিম উদ্ধারসহ আইনি সহায়তা চেয়ে মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট মানি খন্দকারের বরাবর আবেদন করেন। নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খন্দকারের নেতৃত্বে ও সদস্যের টিমে উপস্থিত ছিলেন অ্যাড. কাইজার হোসেন জোয়ার্দ্দার, অ্যাড. জিল্লুর রহমান জালাল, গণসংযোগ কর্মকর্তা হাফিজ উদ্দিন হাবলু, মোটিভেশন কর্মকর্তা জাকিয়া সুলতানা কুসুর ও সেবা কর্মকর্তা মাহফুজ আক্তার জুথি। তাহারা স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসীর সহায়তায় নির্যাতনের শিকার জিসা খাতুন ও তার শিশু সন্তানকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা সদর  হাসপাতালে চিকিৎসা করান। মামলা দায়েরের  প্রস্তুতি চলছে। মানবতা ফাউন্ডেশন ভিকটিমকে যাবতীয় আইনি সহায়তা দেবে। – প্রেস বিজ্ঞপ্তি