ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক সম্রজ্ঞী হামিদা গ্রেফতার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
  • / ৩৬১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা সদর আকন্দবাড়ীয়ায় পুলিশের মাদকবিরোধী সফল অভিযান
দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুরের আকন্দবাড়ীয়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক স¤্রাজ্ঞী হামিদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক সম্রজ্ঞী হামিদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামী। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়ীয়া ফার্মপাড়ার নালুর স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে প্রায় ডজন খানেক মাদকের মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনের (ওসি) নের্তৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল সকালে বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই সুমন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের ফার্মপাড়ায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান চালায়। এসময় ২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক সম্রজ্ঞী হামিদাকে (৪৮) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে এসআই শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে ওই দিনেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করেছে।
এদিকে, গত দুই দিনে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাদক সম্রজ্ঞী খ্যাত দুই বোনকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকার মানুষের মুখে হাঁসি ফুটে উঠলেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। এমন মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে এলাকার দূর্নাম এখন সারাদেশে। এদের মত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা। যখন রশিদা ও হামিদা পুলিশের হাতে মাদকসহ ধরা পড়লো তখন এলাকার মানুষের মুখে ফুটে ওঠে হাঁসি। কিন্তু এ হাঁসি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। কারণ এরা বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে আসলেও এবারকার চিত্র ছিল ভিন্ন। এলাকার মানুষ ভেবে ছিল দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে ক্রসফায়ার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রশিদা ও রহিমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করায় এলাকার মানুষের আশা পূরণ না হওয়ায় সে আশায় গুড়ে বালি হয়ে যায়। যার ফলে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের মুখের হাঁসি নিমিষেয় শেষ হয়ে মলিন হয়ে যায়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক সম্রজ্ঞী হামিদা গ্রেফতার

আপলোড টাইম : ০৬:২২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা সদর আকন্দবাড়ীয়ায় পুলিশের মাদকবিরোধী সফল অভিযান
দর্শনা অফিস: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুরের আকন্দবাড়ীয়ায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে মাদক স¤্রাজ্ঞী হামিদাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে ২৫ বোতল ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মাদক সম্রজ্ঞী হামিদা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত আসামী। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়ীয়া ফার্মপাড়ার নালুর স্ত্রী। তার বিরুদ্ধে প্রায় ডজন খানেক মাদকের মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেনের (ওসি) নের্তৃত্বে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল সকালে বেগমপুর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলাম ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই সুমন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের ফার্মপাড়ায় মাদকবিরোধী যৌথ অভিযান চালায়। এসময় ২৫ বোতল ফেন্সিডিলসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক সম্রজ্ঞী হামিদাকে (৪৮) গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতর বিরুদ্ধে এসআই শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে ওই দিনেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোপর্দ করেছে।
এদিকে, গত দুই দিনে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মাদক সম্রজ্ঞী খ্যাত দুই বোনকে গ্রেফতারের ঘটনায় এলাকার মানুষের মুখে হাঁসি ফুটে উঠলেও তা বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। এমন মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে এলাকার দূর্নাম এখন সারাদেশে। এদের মত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনা। যখন রশিদা ও হামিদা পুলিশের হাতে মাদকসহ ধরা পড়লো তখন এলাকার মানুষের মুখে ফুটে ওঠে হাঁসি। কিন্তু এ হাঁসি বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। কারণ এরা বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে আসলেও এবারকার চিত্র ছিল ভিন্ন। এলাকার মানুষ ভেবে ছিল দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের নির্মূল করতে ক্রসফায়ার দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু রশিদা ও রহিমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করায় এলাকার মানুষের আশা পূরণ না হওয়ায় সে আশায় গুড়ে বালি হয়ে যায়। যার ফলে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষের মুখের হাঁসি নিমিষেয় শেষ হয়ে মলিন হয়ে যায়।