ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সুপার ওভারে শ্বাসরুদ্ধ জয় পেল চিটাগাং ভাইকিংস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম ম্যাচে খুলনার বিপরীতে শ্বাসরুদ্ধ জয় পেয়েছে মুশফিকের চিটাগাং ভাইকিংস। খুলনা টাইটান্সের ১৫১ রানের বিপরীতে ভাইকিংসের ইনিংসও থেমে যায় ১৫১ রানে। ফলে বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে গিয়ে অবশেষে জয়ের দেখা পায় মুশফিকের ভাইকিংস। এর আগে দুপুরে খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন পল স্টার্লিং এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী। স্টার্লিং ১০ বলে ১৮ এবং জুনায়েদ করেন ১৫ বলে ২০ রান। তিন নম্বরে নামা ডেভিড মালান ৪৩ বলে করেন ৪৫ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৩৩ রান এবং সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা কার্লোস ব্রাথওয়েইট করেন ৫ বলে ১২ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৬ রান। পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট আরিফুল হক ৯ এবং মাহিদুল অঙ্কন ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। সানজামুল ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। নাঈম হাসান ৪ ওভারে ১৬ রান, খালেদ আহমেদ ৪ ওভারে ২৮ রান এবং আবু জায়েদ ৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন।১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামেন ভাইকিংসের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। শাহজাদ ১০ আর ডেলপোর্ট ১৭ রানে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলি ৩৪ বলে করেন ৪১ রান। অধিনায়ক মুশফিক ২৬ বলে করেন ৩৪ রান। সিকান্দার রাজা ০, মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেষ ওভারে ১৯ রানের দরকার ছিল ভাইকিংসদের। ওভারের ৫টি বলে তিনটি ওভার বাউন্ডারির দেখা পেলেও শেষ বলে কোন রান না হওয়ায় ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। ইনিংস শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে ভাইকিংস। খুলনায় হয়ে বল হাতে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার কার্লোস ব্রাথওয়েইট ও শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৩০ ও ৩১ রান দিয়ে নেন দুইটি করে উইকেট। তাইজুল ইসলাম ও আরিফুল হক নিজেদের ৪ ওভারে নেন একটি করে উইকেট।বিপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম বারের মতো ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে টাইটান্স শিবির থেকে বল হাতে আসেন পেসার জুনায়েদ খান। দুইটি বাউন্ডারি ও তিনটি সিঙ্গেলের সাহায্যে আক উইকেটের বিনিময়ে ভাইকিংসরা তোলে ১১ রান। সুপার ওভারে ১২ রানের টার্গেটে মাঠে নামে খুলনা টাইটান্স। ব্যাট হাতে নামেন কার্লোস ব্রাথওয়েইট এবং ডেভিড মালান। একটি বাউন্ডারি ও দুইটি উইকেটের বিনিময়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০ রানে। সুপার ওভারে ম্যাচে জয় তুলে নেয় মুশফিকের ভাইকিংস।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সুপার ওভারে শ্বাসরুদ্ধ জয় পেল চিটাগাং ভাইকিংস

আপলোড টাইম : ১০:২৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০১৯

খেলাধুলা ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১১তম ম্যাচে খুলনার বিপরীতে শ্বাসরুদ্ধ জয় পেয়েছে মুশফিকের চিটাগাং ভাইকিংস। খুলনা টাইটান্সের ১৫১ রানের বিপরীতে ভাইকিংসের ইনিংসও থেমে যায় ১৫১ রানে। ফলে বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে গিয়ে অবশেষে জয়ের দেখা পায় মুশফিকের ভাইকিংস। এর আগে দুপুরে খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামেন পল স্টার্লিং এবং জুনায়েদ সিদ্দিকী। স্টার্লিং ১০ বলে ১৮ এবং জুনায়েদ করেন ১৫ বলে ২০ রান। তিন নম্বরে নামা ডেভিড মালান ৪৩ বলে করেন ৪৫ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৩১ বলে ৩৩ রান এবং সদ্য ইনজুরি কাটিয়ে ওঠা কার্লোস ব্রাথওয়েইট করেন ৫ বলে ১২ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৬ রান। পঞ্চম ও ষষ্ঠ উইকেট আরিফুল হক ৯ এবং মাহিদুল অঙ্কন ৪ রানে অপরাজিত থাকেন। বল হাতে চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে পেসার রবি ফ্রাইলিঙ্ক ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। সানজামুল ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন। নাঈম হাসান ৪ ওভারে ১৬ রান, খালেদ আহমেদ ৪ ওভারে ২৮ রান এবং আবু জায়েদ ৩ ওভারে ২৯ রান দিয়ে একটি করে উইকেট তুলে নেন।১৫২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নামেন ভাইকিংসের আফগান ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ এবং ক্যামেরুন ডেলপোর্ট। শাহজাদ ১০ আর ডেলপোর্ট ১৭ রানে বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা ইয়াসির আলি ৩৪ বলে করেন ৪১ রান। অধিনায়ক মুশফিক ২৬ বলে করেন ৩৪ রান। সিকান্দার রাজা ০, মোসাদ্দেক হোসেন ১২ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেষ ওভারে ১৯ রানের দরকার ছিল ভাইকিংসদের। ওভারের ৫টি বলে তিনটি ওভার বাউন্ডারির দেখা পেলেও শেষ বলে কোন রান না হওয়ায় ম্যাচটি গড়ায় সুপার ওভারে। ইনিংস শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে ভাইকিংস। খুলনায় হয়ে বল হাতে পাকিস্তানি পেসার জুনায়েদ খান ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট। ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার কার্লোস ব্রাথওয়েইট ও শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৩০ ও ৩১ রান দিয়ে নেন দুইটি করে উইকেট। তাইজুল ইসলাম ও আরিফুল হক নিজেদের ৪ ওভারে নেন একটি করে উইকেট।বিপিএলের ইতিহাসে এই প্রথম বারের মতো ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সুপার ওভারে টাইটান্স শিবির থেকে বল হাতে আসেন পেসার জুনায়েদ খান। দুইটি বাউন্ডারি ও তিনটি সিঙ্গেলের সাহায্যে আক উইকেটের বিনিময়ে ভাইকিংসরা তোলে ১১ রান। সুপার ওভারে ১২ রানের টার্গেটে মাঠে নামে খুলনা টাইটান্স। ব্যাট হাতে নামেন কার্লোস ব্রাথওয়েইট এবং ডেভিড মালান। একটি বাউন্ডারি ও দুইটি উইকেটের বিনিময়ে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০ রানে। সুপার ওভারে ম্যাচে জয় তুলে নেয় মুশফিকের ভাইকিংস।