ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সুন্নাত অনুসরণের স্তর

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৫:২১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ইসলামের অন্যতম মৌল হলো সুন্নাতে রাসুল (সা.)। রাসুলের কথা, কাজ, ইশারা সবই সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই সুন্নাতের অনুসরণের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। কখনো এটি ফরজের স্তরে চলে যায়, কখনো ওয়াজিব, কখনো সুন্নাত আবার কখনো মুস্তাহাবের পর্যায়। যেমন নবী করিম (সা.) ফজরের দুই রাকাত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছেন এবং এটাকে ফরজ সাব্যস্ত করেছেন। তাই আমরাও তাকে ফরজ বলব। আবার এটি সুন্নাতও বটে। কেননা নবী করিম (সা.) এটি করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন। আবার ফজরের ফরজের আগে দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করেছেন। তাকে তিনি ফরজ বলেননি, সুতরাং আমরাও ফরজ বলি না, তবে এটি সুন্নাত। কেননা নবী করিম (সা.) তা আদায় করেছেন এবং বলেছেনও। কিছু কিছু সুন্নাত ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত কিছুই নয় বরং মুস্তাহাব যেমন ডান পায়ে আগে জুতা পরা সুন্নাত। কিন্তু এটি আবশ্যিক নয় বরং মুস্তাহাব। নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাত অনুসরণ করে চলা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের রাসুল (সা.) যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো। আর যে সব কাজ নিষেধ করেছেন তা বর্জন করো’ [সূরা হাশর-৭]। শরিয়তের আসল বিধান হচ্ছে, নবী করিম (সা.) যখন কোনো কিছুর নির্দেশ দেন, তখন তা ফরজ হয়ে যায়। আর যখন কোনো কিছু করতে নিষেধ করেন তখন সেটি হারাম হয়ে যায়। তবে পবিত্র কোরান থেকে যদি এ কথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নবী করিম (সা.) ফরজ হিসেবে এই নির্দেশ দেননি বরং স্নেহ-পরবশ হয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন মাত্র তাহলে সেটি ফরজ বা হারাম কোনোটিই সাব্যস্ত হবে না। কোনো কোনো সময় কিছু কিছু নির্দেশ ফরজ সাব্যস্ত করে না বরং তা অন্য উদ্দেশ্য বহন করে। যেমন-এহরাম বাঁধা অবস্থায় পশু শিকার করা হারাম। কিন্তু এহরাম ভেঙে দিলে তা জায়েজ হয়ে যায়। এই জায়েজ ঘোষণার ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক নির্দেশসূচক শব্দ ব্যবহার করে বলেছেন, ‘আর যখন তোমরা এহরাম থেকে হালাল হয়ে যাও তখন তোমরা শিকার করো।’ এখানে যে ‘শিকার করো’ নির্দেশসূচক শব্দ বলা হয়েছে এটি ফরজের জন্য নয়। এর মানে এটি নয় যে, তোমাদের অবশ্যই শিকার করতে হবে। এ জন্য সুন্নাতের অনুসরণের স্তর বুঝে এর ওপর আমল করতে হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সুন্নাত অনুসরণের স্তর

আপলোড টাইম : ০৫:২১:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: ইসলামের অন্যতম মৌল হলো সুন্নাতে রাসুল (সা.)। রাসুলের কথা, কাজ, ইশারা সবই সুন্নাতের অন্তর্ভুক্ত। তবে এই সুন্নাতের অনুসরণের বিভিন্ন স্তর রয়েছে। কখনো এটি ফরজের স্তরে চলে যায়, কখনো ওয়াজিব, কখনো সুন্নাত আবার কখনো মুস্তাহাবের পর্যায়। যেমন নবী করিম (সা.) ফজরের দুই রাকাত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করেছেন এবং এটাকে ফরজ সাব্যস্ত করেছেন। তাই আমরাও তাকে ফরজ বলব। আবার এটি সুন্নাতও বটে। কেননা নবী করিম (সা.) এটি করেছেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন। আবার ফজরের ফরজের আগে দুই রাকাত সুন্নাত নামাজ আদায় করেছেন। তাকে তিনি ফরজ বলেননি, সুতরাং আমরাও ফরজ বলি না, তবে এটি সুন্নাত। কেননা নবী করিম (সা.) তা আদায় করেছেন এবং বলেছেনও। কিছু কিছু সুন্নাত ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাত কিছুই নয় বরং মুস্তাহাব যেমন ডান পায়ে আগে জুতা পরা সুন্নাত। কিন্তু এটি আবশ্যিক নয় বরং মুস্তাহাব। নবী করিম (সা.)-এর সুন্নাত অনুসরণ করে চলা আবশ্যক। আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের রাসুল (সা.) যা নিয়ে এসেছেন তা গ্রহণ করো। আর যে সব কাজ নিষেধ করেছেন তা বর্জন করো’ [সূরা হাশর-৭]। শরিয়তের আসল বিধান হচ্ছে, নবী করিম (সা.) যখন কোনো কিছুর নির্দেশ দেন, তখন তা ফরজ হয়ে যায়। আর যখন কোনো কিছু করতে নিষেধ করেন তখন সেটি হারাম হয়ে যায়। তবে পবিত্র কোরান থেকে যদি এ কথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, নবী করিম (সা.) ফরজ হিসেবে এই নির্দেশ দেননি বরং স্নেহ-পরবশ হয়ে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন মাত্র তাহলে সেটি ফরজ বা হারাম কোনোটিই সাব্যস্ত হবে না। কোনো কোনো সময় কিছু কিছু নির্দেশ ফরজ সাব্যস্ত করে না বরং তা অন্য উদ্দেশ্য বহন করে। যেমন-এহরাম বাঁধা অবস্থায় পশু শিকার করা হারাম। কিন্তু এহরাম ভেঙে দিলে তা জায়েজ হয়ে যায়। এই জায়েজ ঘোষণার ক্ষেত্রে আল্লাহ পাক নির্দেশসূচক শব্দ ব্যবহার করে বলেছেন, ‘আর যখন তোমরা এহরাম থেকে হালাল হয়ে যাও তখন তোমরা শিকার করো।’ এখানে যে ‘শিকার করো’ নির্দেশসূচক শব্দ বলা হয়েছে এটি ফরজের জন্য নয়। এর মানে এটি নয় যে, তোমাদের অবশ্যই শিকার করতে হবে। এ জন্য সুন্নাতের অনুসরণের স্তর বুঝে এর ওপর আমল করতে হবে।