ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ২৯

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৪৭৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক: সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী। এ হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে থাকা সর্বশেষ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে হামলা জোরদারের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়। শুক্রবার চালানো এ বিমান হামলা নিশ্চিত করেছে সেখানকার উদ্ধারকর্মী ও কয়েকটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা। বৃটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, দেশটির হামা, ইদলিব ও আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে শত শত বোমাবর্ষণ করেছে সরকারি বাহিনী। শুক্রবারের হামলার শিকার হওয়া তিনটি এলাকাই হচ্ছে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার এ অঞ্চলগুলো খুব দ্রুতই সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছেন আসাদপন্থিরা। উত্তর হামার এক বিদ্রোহী নেতা আবু আল-বারা এ ঘটনাকে গণহত্যা উল্লেখ করে বলেছেন, উরেম আল-কুবরা শহরে হামলা চালিয়ে সরকারপন্থিরা ২০ জনকে হত্যা করেছে। তবে পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সেখানে নিহতের সংখ্যা ১৮ জন। বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সেনাবাহিনী এই এলাকাগুলোর উপর বিমান থেকে লিফলেট ছড়িয়ে দেয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আপনারা সরকারের নিয়ন্ত্রণ মেনে নিন। ৭ বছর ধরে চলমান এ যুদ্ধ এখন শেষ। বিদ্রোহী নেতা আল হামায়ি জানান, শুক্রবারের এ হামলা এ মাসের মধ্যে চালানো হামলাগুলোর মধ্যে সব থেকে ভয়াবহ ছিল। বিদ্রোহীরা সরকারি সেনাদের উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাদের এমন শিক্ষা দেয়া হবে যে, তারা কখনোই সেটা ভুলতে পারবে না। ইদলিব সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলগুলোর মতো নয়। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা এ খবর নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর হামলায় বিদ্রোহীদের বেশ কয়েকটি প্রধান কার্যালয় ধ্বংস হয়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্রোহী হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ বছরের শুরুতেও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল রাজধানী দামেস্কের আশেপাশের এলাকাগুলো। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বাসার আল-আসাদকে সরানোর উদ্দেশ্যে যুদ্ধ শুরু করা এ বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করতো সিরিয়ার বেশিরভাগ এলাকা। কিন্তু রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সমপ্রতি কয়েক মাসে সমগ্র সিরিয়াতেই নিজের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে আসাদ সরকার।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সিরিয়ায় সরকারি বাহিনীর বিমান হামলায় নিহত ২৯

আপলোড টাইম : ০৮:২৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ অগাস্ট ২০১৮

বিশ্ব ডেস্ক: সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে বিমান হামলা চালিয়েছে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী। এ হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছেন। দেশটিতে থাকা সর্বশেষ বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলো পুনরুদ্ধারে হামলা জোরদারের অংশ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়। শুক্রবার চালানো এ বিমান হামলা নিশ্চিত করেছে সেখানকার উদ্ধারকর্মী ও কয়েকটি যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ সংস্থা। বৃটেনভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, দেশটির হামা, ইদলিব ও আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার থেকে শত শত বোমাবর্ষণ করেছে সরকারি বাহিনী। শুক্রবারের হামলার শিকার হওয়া তিনটি এলাকাই হচ্ছে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত সর্বশেষ ঘাঁটি। উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ার এ অঞ্চলগুলো খুব দ্রুতই সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে আশা করছেন আসাদপন্থিরা। উত্তর হামার এক বিদ্রোহী নেতা আবু আল-বারা এ ঘটনাকে গণহত্যা উল্লেখ করে বলেছেন, উরেম আল-কুবরা শহরে হামলা চালিয়ে সরকারপন্থিরা ২০ জনকে হত্যা করেছে। তবে পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানিয়েছে, সেখানে নিহতের সংখ্যা ১৮ জন। বৃহস্পতিবার সিরিয়ার সেনাবাহিনী এই এলাকাগুলোর উপর বিমান থেকে লিফলেট ছড়িয়ে দেয়। সেখানে লেখা ছিল, ‘আপনারা সরকারের নিয়ন্ত্রণ মেনে নিন। ৭ বছর ধরে চলমান এ যুদ্ধ এখন শেষ। বিদ্রোহী নেতা আল হামায়ি জানান, শুক্রবারের এ হামলা এ মাসের মধ্যে চালানো হামলাগুলোর মধ্যে সব থেকে ভয়াবহ ছিল। বিদ্রোহীরা সরকারি সেনাদের উচিত শিক্ষা দেয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। তাদের এমন শিক্ষা দেয়া হবে যে, তারা কখনোই সেটা ভুলতে পারবে না। ইদলিব সিরিয়ার অন্যান্য অঞ্চলগুলোর মতো নয়। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সানা এ খবর নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর হামলায় বিদ্রোহীদের বেশ কয়েকটি প্রধান কার্যালয় ধ্বংস হয়ে গেছে। পাশাপাশি অনেক বিদ্রোহী হতাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এ বছরের শুরুতেও বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল রাজধানী দামেস্কের আশেপাশের এলাকাগুলো। প্রেসিডেন্ট পদ থেকে বাসার আল-আসাদকে সরানোর উদ্দেশ্যে যুদ্ধ শুরু করা এ বিদ্রোহীরা নিয়ন্ত্রণ করতো সিরিয়ার বেশিরভাগ এলাকা। কিন্তু রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় সমপ্রতি কয়েক মাসে সমগ্র সিরিয়াতেই নিজের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে আসাদ সরকার।