ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সিম বদলের নামে ৩ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৪৯৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে পাওনা ২ হাজার ৯৩১ কোটি কোটি টাকা বকেয়া ভ্যাট আদায়ে তৎপর হচ্ছে এনবিআর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই আইনি প্রক্রিয়ার অজুহাতে বকেয়া ভ্যাট দিতে গড়িমসি করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ তাদেরকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) অফার দিলেও তারা ফাঁকি দেওয়া ভ্যাটের অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। সূত্রমতে, দুই দফায় তদন্ত করে মোবাইল কোম্পানিগুলোর এই পরিমাণ অর্থ ফাঁকি উদঘাটিত হয়। মোবাইল ফোনের সিম হারিয়ে গেলে, চুরি কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে একই গ্রাহকের জন্য ওই সিম পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের উপর নতুন করে বাড়তি ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ ছিল না। কিন্তু নতুন করে সিম কিনতে গেলে গ্রাহককে সরকার প্রযোজ্য ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হয়। বর্তমানে এই কর প্রতি সিমে ১০০ টাকা হলেও আলোচ্য সময়ে তা যথাক্রমে ৫৫৪ থেকে ১৮১টাকা পর্যন্ত ছিল। এনবিআরের অভিযোগ, চারটি ফোন কোম্পানি নতুন সিম বিক্রি করে ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য এটিকে সিম পরিবর্তন বা রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে দেখিয়েছে। এনবিআরের অভিযোগ গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মোবাইল ফোন সিম বিক্রিকে (নতুন সংযোগ) সিম পরিবর্তন হিসেবে দেখিয়ে মোট ৮৮৩ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ফাঁকি দেওয়া অর্থ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত দাবিনামা জারি করলেও তা পরিশোধ করেনি তারা। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের একইভাবে সিম পরিবর্তনের নামে ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকার ফাঁকি উদঘাটন করেছে এনবিআর। বহুল আলোচিত ওই ইস্যুটি হাইকোর্ট ঘুরে বর্তমানে এনবিআরের ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এই প্রক্রিয়ায় দুই দফায় উদঘাটিত ভ্যাট ফাঁকির মধ্যে শীর্ষে থাকা গ্রামীণ ফোনের বকেয়া ১৪০২ কোটি টাকা, রবির ৬৯৯ কোটি, বাংলালিংকের ৭০১ কোটি, এয়ারটেলের ৭৯ কোটি এবং টেলিটকের ৫০ কোটি টাকা। এর বাইরে কয়েকটি মোবাইল ফোন কোম্পানির আয়কর ও শুল্ক বিষয়েও মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ রকম বেশকিছু বিরোধ বর্তমানে এনবিআরের আপিলাত ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও আদালতে বিচারাধীন। আরো ফাঁকি বের করতে বিশেষায়িত তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। অন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও একই ধরনের তদন্ত কাজ চলবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগও রয়েছে গ্রামীণ ফোনসহ মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সিম বদলের নামে ৩ হাজার কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকি

আপলোড টাইম : ১১:০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ এপ্রিল ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: মোবাইল কোম্পানিগুলোর কাছে পাওনা ২ হাজার ৯৩১ কোটি কোটি টাকা বকেয়া ভ্যাট আদায়ে তৎপর হচ্ছে এনবিআর। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই আইনি প্রক্রিয়ার অজুহাতে বকেয়া ভ্যাট দিতে গড়িমসি করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। সর্বশেষ তাদেরকে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) অফার দিলেও তারা ফাঁকি দেওয়া ভ্যাটের অর্থ ফেরত দিচ্ছে না। সূত্রমতে, দুই দফায় তদন্ত করে মোবাইল কোম্পানিগুলোর এই পরিমাণ অর্থ ফাঁকি উদঘাটিত হয়। মোবাইল ফোনের সিম হারিয়ে গেলে, চুরি কিংবা নষ্ট হয়ে গেলে একই গ্রাহকের জন্য ওই সিম পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে গ্রাহকের উপর নতুন করে বাড়তি ভ্যাট-ট্যাক্স আরোপ ছিল না। কিন্তু নতুন করে সিম কিনতে গেলে গ্রাহককে সরকার প্রযোজ্য ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে হয়। বর্তমানে এই কর প্রতি সিমে ১০০ টাকা হলেও আলোচ্য সময়ে তা যথাক্রমে ৫৫৪ থেকে ১৮১টাকা পর্যন্ত ছিল। এনবিআরের অভিযোগ, চারটি ফোন কোম্পানি নতুন সিম বিক্রি করে ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার জন্য এটিকে সিম পরিবর্তন বা রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে দেখিয়েছে। এনবিআরের অভিযোগ গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও এয়ারটেল ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ পর্যন্ত মোবাইল ফোন সিম বিক্রিকে (নতুন সংযোগ) সিম পরিবর্তন হিসেবে দেখিয়ে মোট ৮৮৩ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। ফাঁকি দেওয়া অর্থ পরিশোধের জন্য চূড়ান্ত দাবিনামা জারি করলেও তা পরিশোধ করেনি তারা। এর আগে ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের একইভাবে সিম পরিবর্তনের নামে ২ হাজার ৪৮ কোটি টাকার ফাঁকি উদঘাটন করেছে এনবিআর। বহুল আলোচিত ওই ইস্যুটি হাইকোর্ট ঘুরে বর্তমানে এনবিআরের ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। এই প্রক্রিয়ায় দুই দফায় উদঘাটিত ভ্যাট ফাঁকির মধ্যে শীর্ষে থাকা গ্রামীণ ফোনের বকেয়া ১৪০২ কোটি টাকা, রবির ৬৯৯ কোটি, বাংলালিংকের ৭০১ কোটি, এয়ারটেলের ৭৯ কোটি এবং টেলিটকের ৫০ কোটি টাকা। এর বাইরে কয়েকটি মোবাইল ফোন কোম্পানির আয়কর ও শুল্ক বিষয়েও মোটা অঙ্কের রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ রকম বেশকিছু বিরোধ বর্তমানে এনবিআরের আপিলাত ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও আদালতে বিচারাধীন। আরো ফাঁকি বের করতে বিশেষায়িত তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। অন্য কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধেও একই ধরনের তদন্ত কাজ চলবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপায়ে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগও রয়েছে গ্রামীণ ফোনসহ মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে।