ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সারাদেশে ৬১ জেলা পরিষদে একাযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর : মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গায় চেয়ারম্যান পদে ৪ সদস্য পদে ৮৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬
  • / ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

 

Exif_JPEG_420
Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও সদস্য পদে ৮৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। চেয়ারম্যান পদে যে ৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সামসুল আবেদিন খোকন, এ্যাড. সোহরাব হোসেন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ আঙ্গুর। এছাড়াও সংরক্ষিত সদস্য পদে ২৩জন ও সদস্য পদে ৬১জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর আগে মোট ৯৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। এদিকে, গতকাল সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন হেলাল, দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মজিবুল হক মালিক মজু ও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারগণ। অপরদিকে, গতকাল বিকাল ৪টায় জেলা রির্টানিং অফিসার জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি সামসুল আবেদীন খোকন। এসময় জেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলি আহাম্মদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ওবায়দুর রহমান চৌধূরী জিপু, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো: আ. লতীফ অমল, জীবননগর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ও চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি ও বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকনের প্রস্তাবক হয়েছেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো: আ. লতীফ অমল, সর্মথক চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিললু ও সনাক্তকারী জীবননগর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাড, সোহবার হোসেন তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে এ্যাড. সোহরাব হোসেনের প্রার্থীতা নিহাত নিজের পরিচিতি বাড়ানোর জন্যই বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে ৬১ জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গতকাল ১ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল দাখিলের সময় ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা ৮থেকে ১০ডিসেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১২ ডিসেম্বর। ভোট গ্রহণ ২৮ ডিসেম্বর।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সারাদেশে ৬১ জেলা পরিষদে একাযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ ডিসেম্বর : মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গায় চেয়ারম্যান পদে ৪ সদস্য পদে ৮৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল

আপলোড টাইম : ১২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০১৬

 

Exif_JPEG_420
Exif_JPEG_420

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও সদস্য পদে ৮৪ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। চেয়ারম্যান পদে যে ৪জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সামসুল আবেদিন খোকন, এ্যাড. সোহরাব হোসেন ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ আঙ্গুর। এছাড়াও সংরক্ষিত সদস্য পদে ২৩জন ও সদস্য পদে ৬১জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর আগে মোট ৯৮জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। এদিকে, গতকাল সকাল ১০টায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু মনোনয়নপত্র জমা দেন। এসময় তার সাথে ছিলেন জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশাদুল হক বিশ্বাস, সহ-সভাপতি খুস্তার জামিল, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, আলমডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র হাসান কাদির গনু, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দীন হেলাল, দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি মজিবুল হক মালিক মজু ও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানসহ মেম্বারগণ। অপরদিকে, গতকাল বিকাল ৪টায় জেলা রির্টানিং অফিসার জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শিল্পপতি সামসুল আবেদীন খোকন। এসময় জেলা আ.লীগের সাবেক সহ-সভাপতি আলি আহাম্মদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক ওবায়দুর রহমান চৌধূরী জিপু, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো: আ. লতীফ অমল, জীবননগর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-আহবায়ক ও চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরীফ হোসেন দুদু, পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি ও বিভিন্ন ইউপির চেয়ারম্যান, মেম্বারসহ যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকনের প্রস্তাবক হয়েছেন জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো: আ. লতীফ অমল, সর্মথক চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান জিললু ও সনাক্তকারী জীবননগর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলে জানা গেছে। অন্যদিকে, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এ্যাড, সোহবার হোসেন তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে, আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে এ্যাড. সোহরাব হোসেনের প্রার্থীতা নিহাত নিজের পরিচিতি বাড়ানোর জন্যই বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ ডিসেম্বর দেশে প্রথমবারের মতো একযোগে ৬১ জেলা পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি)’র ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন গতকাল ১ডিসেম্বর শেষ হয়েছে। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ৩ ও ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র বাতিল বা গ্রহণের বিরুদ্ধে আপিল দাখিলের সময় ৫ থেকে ৭ ডিসেম্বর। আপিল নিষ্পত্তির সময়সীমা ৮থেকে ১০ডিসেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১১ ডিসেম্বর। প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ১২ ডিসেম্বর। ভোট গ্রহণ ২৮ ডিসেম্বর।