ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সারাজীবন কিউইদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী: স্টোকস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯
  • / ২৬১ বার পড়া হয়েছে

খেলাধুলা ডেস্ক:
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার ছিল। ক্রিজে টিকে ছিলেন বেন স্টোকস। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেবর তিনিই। তাতেই এক হাতে নিতে হবে পুরোটা ঝুঁকি। প্রথম দুই বলই ডট দিলেন শেষ ওভারে নার্ভ নিয়ন্ত্রনে রাখা ট্রেন্ট বোল্ট। তৃতীয় বলে ছক্কা খেলেন তিনি। চতুর্থ বলে দুই রানের জন্য দৌড় দিলেন বেন স্টোকস। ঝুঁকি হলেও স্ট্রাইক তাতে নিতেই হবে। রান আউটের শঙ্কায় লাফিয়ে পড়লেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বল লাগল ব্যাটে। চলে গেল সীমানার বাইরে। মোট ছয় রান পেয়ে গেলে ইংল্যান্ড। শেষ দুই বলে দুই রান এবং দুটি রান আউটে ম্যাচ টাই। পরে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হলে বাউন্ডারি ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এক হাতে ম্যাচ শেষ করে আনেন বেন স্টোকস। থাকেন অপরাজিত। কিন্তু থ্রোটা তার ব্যাটে লেগে চার না হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড়ের সন্তান ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকস তাই দুঃখিত। সারাজীবনের জন্য নিউজিল্যান্ডের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী তিনি। ম্যাচ শেষে দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলকে শিরোপা জেতানো স্টোকস বলেন, ‘আমি কেন উইলিয়ামসনকে বলেছি, ওই সময় বলটা ব্যাটে লাগার জন্য আমি সারাজীবন কিউইদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’ শেষ ওভারে থ্রো থেকে বল ব্যাটে লেগে চার হবার পর বেন স্টোকস। ছবি: গেটি। বেন স্টোকস ইংল্যান্ড ক্রিকেটের খলনায়ক হয়েই ছিলেন। এবার তিনি অবিসংবাদী নায়ক বনে গেছেন। ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপে ড্রেসিংরুমের লকারে ঘুষি মেরে ইনজুরিতে পড়েন স্টোকস। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। ২০১৬ বিশ্বকাপে তার হাতের মুঠো থেকে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্রাথওয়েট। এছাড়া ব্রিস্টলের নাইট ক্লাবে মারামারির ঘটনা তো এখনও তরতাজা। জরিমানার সঙ্গে আট ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা পান তিনি। এবারও মনে হচ্ছিল স্টোকন খলনায়ক হয়েই থাকবেন। কিন্তু ক্রিকেট ঈশ্বর তার দিয়ে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১২ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ থেকে ইংল্যান্ডে চলে আসে। এবার জন্মভূমি নিউজিল্যান্ডের মানুষের কাছে খলনায়ক হলেন স্টোকস। তবে দলকে শেষ পর্যন্ত শিরোপা এনে দিয়ে কান্নায় চোখ ভেজান তিনি, ‘আমার মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপটা হারিয়ে ফেললাম। বিশ্বাসই করতে পারছি না আমরা পেরেছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সারাজীবন কিউইদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী: স্টোকস

আপলোড টাইম : ০৯:৩১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০১৯

খেলাধুলা ডেস্ক:
শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৫ রান দরকার ছিল। ক্রিজে টিকে ছিলেন বেন স্টোকস। স্বীকৃত ব্যাটসম্যান কেবর তিনিই। তাতেই এক হাতে নিতে হবে পুরোটা ঝুঁকি। প্রথম দুই বলই ডট দিলেন শেষ ওভারে নার্ভ নিয়ন্ত্রনে রাখা ট্রেন্ট বোল্ট। তৃতীয় বলে ছক্কা খেলেন তিনি। চতুর্থ বলে দুই রানের জন্য দৌড় দিলেন বেন স্টোকস। ঝুঁকি হলেও স্ট্রাইক তাতে নিতেই হবে। রান আউটের শঙ্কায় লাফিয়ে পড়লেন। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বল লাগল ব্যাটে। চলে গেল সীমানার বাইরে। মোট ছয় রান পেয়ে গেলে ইংল্যান্ড। শেষ দুই বলে দুই রান এবং দুটি রান আউটে ম্যাচ টাই। পরে সুপার ওভারেও ম্যাচ টাই হলে বাউন্ডারি ব্যবধানে চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। এক হাতে ম্যাচ শেষ করে আনেন বেন স্টোকস। থাকেন অপরাজিত। কিন্তু থ্রোটা তার ব্যাটে লেগে চার না হলে পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। নিউজিল্যান্ডের রাগবি খেলোয়াড়ের সন্তান ইংলিশ ক্রিকেটার বেন স্টোকস তাই দুঃখিত। সারাজীবনের জন্য নিউজিল্যান্ডের মানুষের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী তিনি। ম্যাচ শেষে দারুণ অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দলকে শিরোপা জেতানো স্টোকস বলেন, ‘আমি কেন উইলিয়ামসনকে বলেছি, ওই সময় বলটা ব্যাটে লাগার জন্য আমি সারাজীবন কিউইদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।’ শেষ ওভারে থ্রো থেকে বল ব্যাটে লেগে চার হবার পর বেন স্টোকস। ছবি: গেটি। বেন স্টোকস ইংল্যান্ড ক্রিকেটের খলনায়ক হয়েই ছিলেন। এবার তিনি অবিসংবাদী নায়ক বনে গেছেন। ২০১৪ টি-২০ বিশ্বকাপে ড্রেসিংরুমের লকারে ঘুষি মেরে ইনজুরিতে পড়েন স্টোকস। কারণ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গোল্ডেন ডাক মারেন তিনি। ২০১৬ বিশ্বকাপে তার হাতের মুঠো থেকে বিশ্বকাপ ছিনিয়ে নিয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের কার্লোস ব্রাথওয়েট। এছাড়া ব্রিস্টলের নাইট ক্লাবে মারামারির ঘটনা তো এখনও তরতাজা। জরিমানার সঙ্গে আট ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা পান তিনি। এবারও মনে হচ্ছিল স্টোকন খলনায়ক হয়েই থাকবেন। কিন্তু ক্রিকেট ঈশ্বর তার দিয়ে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন তিনি। ১২ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ থেকে ইংল্যান্ডে চলে আসে। এবার জন্মভূমি নিউজিল্যান্ডের মানুষের কাছে খলনায়ক হলেন স্টোকস। তবে দলকে শেষ পর্যন্ত শিরোপা এনে দিয়ে কান্নায় চোখ ভেজান তিনি, ‘আমার মনে হচ্ছিল বিশ্বকাপটা হারিয়ে ফেললাম। বিশ্বাসই করতে পারছি না আমরা পেরেছি।’