ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাফ ফুটবলে সাফল্য : নারীর অগ্রযাত্রার মাইলফলক হোক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে

সাফ অন‚র্ধ্ব-১৮ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আমাদের মেয়েরা। ফুটবলে তো বটেই, নারী সমাজের অগ্রগতিতেও একে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কারণ, কেবল এ টুর্নামেন্টেই নয়, গত এক বছরে ছয়টি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই শিরোপা ঘরে তোলার কৃতিত্ব দেখিয়ে সবার নজর কেড়েছে মেয়েরা। এর মধ্যে অন‚র্ধ্ব-১৫-এর দুটি, অন‚র্ধ্ব-১৬-এর একটি এবং সর্বশেষ অন‚র্ধ্ব-১৮-এ রোববার নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার হালি প‚র্ণ করেছে তারা। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলটির খেলোয়াড়, কোচ-কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমাদের অভিনন্দন। একইসঙ্গে সামনের দিনগুলোতে আরও বড় কৃতিত্বের দিকে এগিয়ে যেতে এ দলটিকে আর্থিক থেকে প্রশিক্ষণসংক্রান্ত- সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশাবাদী। শত প্রতিক‚লতা সত্তে¡ও এমন একটি সময়ে কয়েকটি শিরোপা ঘরে তুলেছে ছোটদের ফুটবল দল, যখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের দল প্রথম রাউন্ডই টপকাতে পারেনি। একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটেও। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে শিরোপা ছেলেদের তথা জাতীয় দলের বারবার হাতছাড়া হলেও এ বছরই মেয়েরা ভারতকে হারিয়ে ঠিকই এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ছিনিয়ে এনেছে। ক্রিকেটের বয়সভিত্তিক দলগুলোতেও দেখা যাচ্ছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো করছে।
অথচ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা, এমনকি উন্নত প্রশিক্ষণ, কোচ-প্রশিক্ষকের ক্ষেত্রেও ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে রয়েছে যোজন যোজন তফাৎ। এ অবস্থায় খেলাধুলার সবক’টি ইভেন্ট ও স্তরে নারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আশার কথা, কেবল খেলাধুলাতেই নয়, জাতীয় অর্জনের সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে থাকছে। পড়াশোনার ফলাফল থেকে শুরু করে গার্মেন্ট ও কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতির পেছনে নারীর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। ফুটবলের এ অর্জন জীবনের সব ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে- এটিই প্রত্যাশা।
নারীরা দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। ফলে সব সেক্টরে তাদের এগিয়ে যাওয়া জাতির এগিয়ে যাওয়ারই নামান্তর। স¤প্রতি স্বল্প খরচে ক্যান্সার নির্ণয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ইলিশের জীবনরহস্য উন্মোচনের নেতৃত্বে ছিলেন দু’জন নারী প্রফেসর। খেলাধুলা থেকে জীবনের গুরুত্বপ‚র্ণ সব খাতে নারীদের অর্জনগুলো তাৎপর্যপ‚র্ণ এবং এগুলো তাদের আরও বেশি এগিয়ে যাওয়ার পথে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আশা করা যায়। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে নারীদের বিভিন্ন সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ইতিবাচক ভ‚মিকা নিলে, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করলে সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা আরও বড় আনন্দের উপলক্ষ এনে দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাফ ফুটবলে সাফল্য : নারীর অগ্রযাত্রার মাইলফলক হোক

আপলোড টাইম : ১১:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ অক্টোবর ২০১৮

সাফ অন‚র্ধ্ব-১৮ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরেই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আমাদের মেয়েরা। ফুটবলে তো বটেই, নারী সমাজের অগ্রগতিতেও একে একটি মাইলফলক হিসেবে বিবেচনা করা যায়। কারণ, কেবল এ টুর্নামেন্টেই নয়, গত এক বছরে ছয়টি টুর্নামেন্টের মধ্যে চারটিতেই শিরোপা ঘরে তোলার কৃতিত্ব দেখিয়ে সবার নজর কেড়েছে মেয়েরা। এর মধ্যে অন‚র্ধ্ব-১৫-এর দুটি, অন‚র্ধ্ব-১৬-এর একটি এবং সর্বশেষ অন‚র্ধ্ব-১৮-এ রোববার নেপালকে ১-০ গোলে হারিয়ে শিরোপার হালি প‚র্ণ করেছে তারা। অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন দলটির খেলোয়াড়, কোচ-কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমাদের অভিনন্দন। একইসঙ্গে সামনের দিনগুলোতে আরও বড় কৃতিত্বের দিকে এগিয়ে যেতে এ দলটিকে আর্থিক থেকে প্রশিক্ষণসংক্রান্ত- সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে আমরা আশাবাদী। শত প্রতিক‚লতা সত্তে¡ও এমন একটি সময়ে কয়েকটি শিরোপা ঘরে তুলেছে ছোটদের ফুটবল দল, যখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ছেলেদের দল প্রথম রাউন্ডই টপকাতে পারেনি। একই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটেও। এশিয়া কাপ ক্রিকেটে শিরোপা ছেলেদের তথা জাতীয় দলের বারবার হাতছাড়া হলেও এ বছরই মেয়েরা ভারতকে হারিয়ে ঠিকই এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ছিনিয়ে এনেছে। ক্রিকেটের বয়সভিত্তিক দলগুলোতেও দেখা যাচ্ছে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা ভালো করছে।
অথচ আর্থিক সুযোগ-সুবিধা, এমনকি উন্নত প্রশিক্ষণ, কোচ-প্রশিক্ষকের ক্ষেত্রেও ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে রয়েছে যোজন যোজন তফাৎ। এ অবস্থায় খেলাধুলার সবক’টি ইভেন্ট ও স্তরে নারীদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিকল্প নেই। আশার কথা, কেবল খেলাধুলাতেই নয়, জাতীয় অর্জনের সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা এগিয়ে থাকছে। পড়াশোনার ফলাফল থেকে শুরু করে গার্মেন্ট ও কৃষি ক্ষেত্রে অগ্রগতির পেছনে নারীর অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। ফুটবলের এ অর্জন জীবনের সব ক্ষেত্রে নারীদের আরও এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে- এটিই প্রত্যাশা।
নারীরা দেশের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। ফলে সব সেক্টরে তাদের এগিয়ে যাওয়া জাতির এগিয়ে যাওয়ারই নামান্তর। স¤প্রতি স্বল্প খরচে ক্যান্সার নির্ণয়ের প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং ইলিশের জীবনরহস্য উন্মোচনের নেতৃত্বে ছিলেন দু’জন নারী প্রফেসর। খেলাধুলা থেকে জীবনের গুরুত্বপ‚র্ণ সব খাতে নারীদের অর্জনগুলো তাৎপর্যপ‚র্ণ এবং এগুলো তাদের আরও বেশি এগিয়ে যাওয়ার পথে অনুপ্রেরণা জোগাবে বলে আশা করা যায়। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহল থেকে শুরু করে নারীদের বিভিন্ন সেক্টরের দায়িত্বপ্রাপ্তরা ইতিবাচক ভ‚মিকা নিলে, প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করলে সব ক্ষেত্রেই মেয়েরা আরও বড় আনন্দের উপলক্ষ এনে দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস।