ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাগর-রুনি হত্যা মামলা:র‌্যাবের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:৫৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭
  • / ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি মহিউদ্দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জমা দেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত র‌্যাবকে ২১ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২ মে দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত। র‌্যাবের এএসপি মহিউদ্দিন বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তদন্তের মাধ্যমে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দিয়েছেন। আদালত সূত্র বলছে, পাঁচ বছরে ৪৭ বার সময় নিয়েও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি র‌্যাব। তদন্তের এই ব্যর্থতা নিয়ে নিহত সাগর-রুনির পরিবার ও স্বজনেরা ক্ষুব্ধ, ব্যথিত। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র পাঠানো আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে এর আগে র‌্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। এখন সেসব প্রতিবেদন র‌্যাবের হাতে। কিন্তু সেখান থেকে পাওয়া দুজন অজ্ঞাত পুরুষের ডিএনএ বহনকারী ব্যক্তি এখনো শনাক্ত হয়নি। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত সাংবাদিক দম্পতির চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলছে গ্রিলকাটা সন্দেহভাজন চোর ও ডাকাতের বিষয়েও। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মোট আটজনের মধ্যে ছয়জন এখনো কারাগারে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকা-ের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। হত্যাকা-ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে এসে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন পুলিশকে তদন্ত শেষ করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। সেই ৪৮ ঘণ্টা এখন পাঁচ বছরে গিয়ে ঠেকেছে। ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টে¤॥^র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মহীউদ্দীন খান আলমগীর ১০ অক্টোবরের মধ্যে সাগর-রুনির হত্যারহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ৯ অক্টোবর ‘চমক দেওয়া’ সংবাদ সম্মেলনে একজনকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। পরে সেই ব্যক্তিকে ধরেও মামলার কোনো সুরাহা হয়নি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাগর-রুনি হত্যা মামলা:র‌্যাবের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে

আপলোড টাইম : ০৩:৫৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ মার্চ ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে জমা দিয়েছে র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি মহিউদ্দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে জমা দেন। এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালত র‌্যাবকে ২১ মার্চের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ২ মে দিন ধার্য করে দিয়েছেন আদালত। র‌্যাবের এএসপি মহিউদ্দিন বলেন, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় তদন্তের মাধ্যমে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তা প্রতিবেদন আকারে আদালতে জমা দিয়েছেন। আদালত সূত্র বলছে, পাঁচ বছরে ৪৭ বার সময় নিয়েও আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি র‌্যাব। তদন্তের এই ব্যর্থতা নিয়ে নিহত সাগর-রুনির পরিবার ও স্বজনেরা ক্ষুব্ধ, ব্যথিত। জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র পাঠানো আলামত পরীক্ষার প্রতিবেদন হাতে পেলে মামলার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে এর আগে র‌্যাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন। এখন সেসব প্রতিবেদন র‌্যাবের হাতে। কিন্তু সেখান থেকে পাওয়া দুজন অজ্ঞাত পুরুষের ডিএনএ বহনকারী ব্যক্তি এখনো শনাক্ত হয়নি। তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, নিহত সাংবাদিক দম্পতির চুরি যাওয়া ল্যাপটপ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। তদন্ত চলছে গ্রিলকাটা সন্দেহভাজন চোর ও ডাকাতের বিষয়েও। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মোট আটজনের মধ্যে ছয়জন এখনো কারাগারে। ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টিভিতে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। হত্যাকা-ের সময় বাসায় ছিল তাঁদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ। হত্যাকা-ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে এসে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন পুলিশকে তদন্ত শেষ করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন। সেই ৪৮ ঘণ্টা এখন পাঁচ বছরে গিয়ে ঠেকেছে। ২০১২ সালের ২৫ সেপ্টে¤॥^র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েই মহীউদ্দীন খান আলমগীর ১০ অক্টোবরের মধ্যে সাগর-রুনির হত্যারহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছিলেন। এরপর ৯ অক্টোবর ‘চমক দেওয়া’ সংবাদ সম্মেলনে একজনকে ধরতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন। পরে সেই ব্যক্তিকে ধরেও মামলার কোনো সুরাহা হয়নি।