ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সাক্ষীদের বিরুদ্ধে উল্টো ধর্ষণচেষ্টা মামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯
  • / ২৩২ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তানিয়া ধর্ষণ মামলার সাক্ষী ও বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অপহরণ ও ধর্ষনচেষ্টা মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার বাদী ইনছান আলী ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তানিয়া ধর্ষণ মামলার আসামি কলেজছাত্র রাব্বুল মোল্লার মা টিউলি খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সি এম এ আলিম আল রাজি মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ২২ জুলাই তারিখের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইনছান আলী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৩১ মে শৈলকুপা যাদবপুর গ্রামের মো. ছাব্দুল মোল্যার ছেলে মো. রাব্বুল মোল্যা তাঁর প্রতিবন্ধী বোনকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় মামলা করার পর ধর্ষক রাব্বুলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি, হুমকি ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় তারা বাদী ও সাক্ষীদের ঘরবাড়ি ছাড়া করে। মাঝেমধ্যে এলাকায় গেলে ধর্ষক রাব্বুলের পিতা ছাব্দুল মোল্লা, চাচা আজিজুর মোল্লা, বিল্লাল মোল্লা, আফাজ মোল্লা, প্রতিবেশী সদর উদ্দীনসহ সামাজিক দলের লোকজন খুন-জখমের হুমকি দেন। গত ১৪ জুন মধ্যরাতে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের পরিবারের এক সদস্যের শরীর কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ডাকাতিসহ ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ দেখিয়ে শৈলকুপা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেন। শৈলকুপা থানা তদন্ত করে ঘটনাটি কাউন্টার মামলা ও মিথ্যা হওয়ায় মামলা রেকর্ড করেনি। পরবর্তীতে তাঁরা ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। ইনছান আলী অভিযোগ করেন, ‘প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা বোনের বিচার চাইতে গিয়ে আজ আমরা মিথ্যা মামলার জালে জড়িয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সাক্ষীদের বিরুদ্ধে উল্টো ধর্ষণচেষ্টা মামলা

আপলোড টাইম : ১০:০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুলাই ২০১৯

ঝিনাইদহ অফিস:
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় তানিয়া ধর্ষণ মামলার সাক্ষী ও বাদীর বিরুদ্ধে পাল্টা অপহরণ ও ধর্ষনচেষ্টা মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ধর্ষণ মামলার বাদী ইনছান আলী ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তানিয়া ধর্ষণ মামলার আসামি কলেজছাত্র রাব্বুল মোল্লার মা টিউলি খাতুন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সি এম এ আলিম আল রাজি মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ২২ জুলাই তারিখের মধ্যে প্রকৃত ঘটনা তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন। ইনছান আলী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ৩১ মে শৈলকুপা যাদবপুর গ্রামের মো. ছাব্দুল মোল্যার ছেলে মো. রাব্বুল মোল্যা তাঁর প্রতিবন্ধী বোনকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় মামলা করার পর ধর্ষক রাব্বুলের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা তুলে নিতে চাপ সৃষ্টি, হুমকি ও আর্থিক সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ায় তারা বাদী ও সাক্ষীদের ঘরবাড়ি ছাড়া করে। মাঝেমধ্যে এলাকায় গেলে ধর্ষক রাব্বুলের পিতা ছাব্দুল মোল্লা, চাচা আজিজুর মোল্লা, বিল্লাল মোল্লা, আফাজ মোল্লা, প্রতিবেশী সদর উদ্দীনসহ সামাজিক দলের লোকজন খুন-জখমের হুমকি দেন। গত ১৪ জুন মধ্যরাতে তাঁরা নিজেরাই নিজেদের পরিবারের এক সদস্যের শরীর কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ডাকাতিসহ ধর্ষণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ দেখিয়ে শৈলকুপা থানায় মিথ্যা অভিযোগ দেন। শৈলকুপা থানা তদন্ত করে ঘটনাটি কাউন্টার মামলা ও মিথ্যা হওয়ায় মামলা রেকর্ড করেনি। পরবর্তীতে তাঁরা ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন। ইনছান আলী অভিযোগ করেন, ‘প্রতিবন্ধী ধর্ষিতা বোনের বিচার চাইতে গিয়ে আজ আমরা মিথ্যা মামলার জালে জড়িয়ে পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি।’