ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সহিদুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭
  • / ২৯৩ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সহিদুল ইসলামের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রজব আলী সুপার মার্কেটস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাবেক এই বিএনপি নেতার স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমূল হাবিব সেলিমের পরিচালনায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম মনি, সদস্য আবুবক্কর সিদ্দীক আবু, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সাম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান, বদর উদ্দীন বাদল, আব্দুল গণি, ডা. আলম, মাসুদ রানা, আপল, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান লিপ্টন, হাফিজুর রহমান হাবলু আব্দুর রাজ্জাক, ঝন্টু, তরুন দলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার, ছাত্রদল জেলা সদস্য রিন্টু মহলদার। স্মরণ সভায় বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী সাবেক এমপি সহিদুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য প্রধান করেন উপস্থিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ আসাদুল্লাহ্।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী সাবেক এমপি সহিদুল ইসলাম সহিদুল ইসলাম ১৯৪৮ সালে চুয়াডাঙ্গার একটি সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। এরপর চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ থেকে বিএসসিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পড়াশুনা শেষে তিনি দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহি নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর জেলা বিএনপি নেতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখালে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কার্যকরী ভূমিকায় রাখায় বেশ কয়েকবার কারাবরণও করেন এই নেতা। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে পরবর্তীতে এমপি থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের ১১ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এ রাজনীতিক।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সহিদুল ইসলামের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা ও দোয়া

আপলোড টাইম : ১০:০৫:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৭

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য

নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জননেতা সহিদুল ইসলামের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রজব আলী সুপার মার্কেটস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ে সাবেক এই বিএনপি নেতার স্মরণে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সেলিমূল হাবিব সেলিমের পরিচালনায় স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলাম মনি, সদস্য আবুবক্কর সিদ্দীক আবু, জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাফিতুল্লাহ মহলদার, সহ-সভাপতি খাইরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সাম্পাদক সফিকুল ইসলাম পিটু, যুগ্ম-সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কুদ্দুস মহলদার, বিএনপি নেতা আব্দুল হান্নান, বদর উদ্দীন বাদল, আব্দুল গণি, ডা. আলম, মাসুদ রানা, আপল, যুবদল নেতা মনিরুজ্জামান লিপ্টন, হাফিজুর রহমান হাবলু আব্দুর রাজ্জাক, ঝন্টু, তরুন দলের আহ্বায়ক মাবুদ সরকার, ছাত্রদল জেলা সদস্য রিন্টু মহলদার। স্মরণ সভায় বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী সাবেক এমপি সহিদুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য প্রধান করেন উপস্থিত অতিথিরা। অনুষ্ঠানে শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ আসাদুল্লাহ্।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী সাবেক এমপি সহিদুল ইসলাম সহিদুল ইসলাম ১৯৪৮ সালে চুয়াডাঙ্গার একটি সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। এরপর চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজ থেকে বিএসসিতে অধ্যায়নরত অবস্থায় ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। পড়াশুনা শেষে তিনি দামুড়হুদার ঐতিহ্যবাহি নাটুদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সাল থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এরপর জেলা বিএনপি নেতা হিসেবে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনে সফলতা দেখালে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক পদে তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ১৯৮৭ সালে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কার্যকরী ভূমিকায় রাখায় বেশ কয়েকবার কারাবরণও করেন এই নেতা। ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৩ সালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে ব্যাংককে চিকিৎসা নিয়ে পরবর্তীতে এমপি থাকা অবস্থায় ২০০৬ সালের ১১ই নভেম্বর মৃত্যুবরণ তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন এ রাজনীতিক।