ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সরোজগঞ্জে ইজিবাইক চোর আটক ইজিবাইক উদ্ধার : গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮
  • / ৩৩৯ বার পড়া হয়েছে

?

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চোরের পিছনে ধাওয়া করে চয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহাপুর থেকে হাতে নাতে এক ইজিবাইক চোরকে আটক করেছে ইজিবাইকের চালকসহ তার সহযোগীরা। এসময় চোরের অপর সহযোগীরা পালালেও আটক চোর ঝিনাইদহ পবহাটি মাঝেরপাড়ার নূর ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে গণধোলাই শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা। পরে ইজিবাইকের মালিক বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল এলাকা থেকে ইজিবাইকটি চুরি করে পালানোর পথে শাহাপুর থেকে চোরকে আটকসহ ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, দৈনিক ৪শ’ টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিয়ে ইজিবাইক চালান হকপাড়ার শাহীনের ছেলে শামীম (১৮)। গতাকল বুধবার ইজিবাইকে যাত্রী তুলে সদর হাসপাতালে যায় সে। ইজিবাইকটি জরুরি বিভাগের সামনে ফাঁকা স্থানে রেখে রোগীকে সহযোগীতা করার জন্য হাসপাতালের ভিতরে তাকে রেখে ৪-৫ মিনিট পর ফিরে এসে দেখেন ইজিবাইকটি নেই। এসময় চালক শামীম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইজিবাইক চুরির বিষয়টি বিভিন্ন ব্যক্তিকে জানান। কিছু সময় পর শামীমের অপর এক সহযোগী চালক বন্ধু ফারুক সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় চুরি হওয়া ইজিবাইকটি দেখতে পান। এসময় ফারুকসহ আরো কয়েকজন চোরের পিছনে ধাওয়া করে চুয়ডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের বাঙ্গাল পাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে চোরসহ ইজিবাইকটি আটক করেন। চোরের অপর সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও আটক চোর ঝিনাইদহ পৌর শহরের পবহাটি মাঝের পাড়ার মৃত রায়হান বিশ্বাসের ছেলে নূর ইসলামকে আটক করে গণধোলাই শেষে সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে ইজিবাইকটির মালিক হাজরাহাটি গ্রামের আবু তালেব বাদি হয়ে আটককৃত আসামীসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে চোর আটকের পর শহরের একাধিক ইজিবাইক চালক অভিযোগ করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশপাশের এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে এ ধরনের ইজিবাইক চুরির ঘটনা ঘটলেও চোর আটক বা চুরি হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার হয়না বললেই চলে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এক কর্মকর্তা জানান, নি¤œ আয়ের মানুষসহ সমাজের মধ্যবিত্তদের উপার্জনের মাধ্যম এই ইজিবাইকটি সুরক্ষা বলায় কম থাকায় এ ধরনের চুরির ঘটনা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে চালকসহ মালিক পক্ষের একটু সচেতনতা বাড়ালে ইজিবাইক চুরির হার অনেকটা কমবে বলে তিনি মনে করেন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সরোজগঞ্জে ইজিবাইক চোর আটক ইজিবাইক উদ্ধার : গণধোলাই শেষে পুলিশে সোপর্দ

আপলোড টাইম : ১০:৩১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক: দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চোরের পিছনে ধাওয়া করে চয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহাপুর থেকে হাতে নাতে এক ইজিবাইক চোরকে আটক করেছে ইজিবাইকের চালকসহ তার সহযোগীরা। এসময় চোরের অপর সহযোগীরা পালালেও আটক চোর ঝিনাইদহ পবহাটি মাঝেরপাড়ার নূর ইসলাম (৪৫) নামে একজনকে গণধোলাই শেষে পুলিশের হাতে তুলে দেয় স্থানীয় জনতা। পরে ইজিবাইকের মালিক বাদি হয়ে চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা হাসপাতাল এলাকা থেকে ইজিবাইকটি চুরি করে পালানোর পথে শাহাপুর থেকে চোরকে আটকসহ ইজিবাইকটি উদ্ধার করা হয়।
জানা গেছে, দৈনিক ৪শ’ টাকার বিনিময়ে ভাড়া নিয়ে ইজিবাইক চালান হকপাড়ার শাহীনের ছেলে শামীম (১৮)। গতাকল বুধবার ইজিবাইকে যাত্রী তুলে সদর হাসপাতালে যায় সে। ইজিবাইকটি জরুরি বিভাগের সামনে ফাঁকা স্থানে রেখে রোগীকে সহযোগীতা করার জন্য হাসপাতালের ভিতরে তাকে রেখে ৪-৫ মিনিট পর ফিরে এসে দেখেন ইজিবাইকটি নেই। এসময় চালক শামীম মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইজিবাইক চুরির বিষয়টি বিভিন্ন ব্যক্তিকে জানান। কিছু সময় পর শামীমের অপর এক সহযোগী চালক বন্ধু ফারুক সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় চুরি হওয়া ইজিবাইকটি দেখতে পান। এসময় ফারুকসহ আরো কয়েকজন চোরের পিছনে ধাওয়া করে চুয়ডাঙ্গা সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের বাঙ্গাল পাড়া জামে মসজিদের সামনে থেকে চোরসহ ইজিবাইকটি আটক করেন। চোরের অপর সহযোগীরা পালিয়ে গেলেও আটক চোর ঝিনাইদহ পৌর শহরের পবহাটি মাঝের পাড়ার মৃত রায়হান বিশ্বাসের ছেলে নূর ইসলামকে আটক করে গণধোলাই শেষে সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে ইজিবাইকটির মালিক হাজরাহাটি গ্রামের আবু তালেব বাদি হয়ে আটককৃত আসামীসহ আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে চোর আটকের পর শহরের একাধিক ইজিবাইক চালক অভিযোগ করে বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরসহ আশপাশের এলাকায় আশঙ্কাজনক হারে এ ধরনের ইজিবাইক চুরির ঘটনা ঘটলেও চোর আটক বা চুরি হওয়া ইজিবাইক উদ্ধার হয়না বললেই চলে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এক কর্মকর্তা জানান, নি¤œ আয়ের মানুষসহ সমাজের মধ্যবিত্তদের উপার্জনের মাধ্যম এই ইজিবাইকটি সুরক্ষা বলায় কম থাকায় এ ধরনের চুরির ঘটনা বাড়ছে। এ ক্ষেত্রে চালকসহ মালিক পক্ষের একটু সচেতনতা বাড়ালে ইজিবাইক চুরির হার অনেকটা কমবে বলে তিনি মনে করেন।