ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সরকার নির্ধারিত মূল্যে উপেক্ষা করে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৩২:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮
  • / ২৮২ বার পড়া হয়েছে

কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছিতে সাব-ডিলারদের বিরুদ্ধে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে
ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি বাজারে কৃত্রিম সংকটের অযুহাতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি বাজারের খুচরা বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও ডিলাররা এ কাজে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকরা বলছে, প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার সরকার নির্ধারিত ৮০০ টাকার জায়গায় সাব-ডিলাররা নিচ্ছেন ৮২০ থেকে ৮৪০ টাকা। এছাড়াও টিএসপি ১১০০ টাকার জায়গায় ১২৫০ টাকা, ডিএপি ১১৫০ টাকার জায়গায় ১৩০০-১৩৫০ টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকার ৮৫০ টাকা নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। যারা বেশি দাম নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি বিভাগ জানান, জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আছে। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের বেশ কয়েকটি সারের দোকানে কয়েকজন কৃষককে ইউরিয়া ও টিএসপি কিনতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন কৃষক জানান, দাম বেশি নেওয়ার কথা বললে দোকানদার বলেন, রাস্তায় গাড়ি বন্ধ, সার আসছে না তাই পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের কাছে অল্প আছে যার প্রয়োজন নিলে নেবে, না নিলে না নেবে । বাজারে সার সঙ্কট; তাই বস্তা প্রতি কিছু বেশি নিচ্ছেন তারা এমনটায় বক্তব্য সাব-ডিলারদের। উপজেলার বাজারগুলোতে বিভিন্ন খুচরা দোকানের চিত্র একই। তাই ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবী গুদামে পর্যাপ্ত পরিমান সার মজুদ করে রেখে যে সমস্ত দোকানদার ও ডিলাররা হরতাল এবং রাস্তার গাড়ি-ঘোড়া বন্ধের অযুহাত দেখিয়ে সরকারি মূল্যের চেয়ে কৃষকদের কাছে বেশি টাকা নিয়ে সার বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হক। বিষয়টির প্রতি সু-নজর দেওয়ার জন্য সুযোগ্য উপজেলা মহাদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার চাষী মহল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সরকার নির্ধারিত মূল্যে উপেক্ষা করে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ১০:৩২:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৮

কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়ুলগাছিতে সাব-ডিলারদের বিরুদ্ধে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে
ভালাইপুর প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি বাজারে কৃত্রিম সংকটের অযুহাতে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি বাজারের খুচরা বেশ কিছু ব্যবসায়ী ও ডিলাররা এ কাজে জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষকরা বলছে, প্রতি বস্তা ইউরিয়া সার সরকার নির্ধারিত ৮০০ টাকার জায়গায় সাব-ডিলাররা নিচ্ছেন ৮২০ থেকে ৮৪০ টাকা। এছাড়াও টিএসপি ১১০০ টাকার জায়গায় ১২৫০ টাকা, ডিএপি ১১৫০ টাকার জায়গায় ১৩০০-১৩৫০ টাকা, এমওপি ৭৫০ টাকার ৮৫০ টাকা নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলায় সারের কোনো সংকট নেই। যারা বেশি দাম নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কৃষি বিভাগ জানান, জেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ সার আছে। দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও কুড়–লগাছি বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারের বেশ কয়েকটি সারের দোকানে কয়েকজন কৃষককে ইউরিয়া ও টিএসপি কিনতে দেখা গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজন কৃষক জানান, দাম বেশি নেওয়ার কথা বললে দোকানদার বলেন, রাস্তায় গাড়ি বন্ধ, সার আসছে না তাই পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের কাছে অল্প আছে যার প্রয়োজন নিলে নেবে, না নিলে না নেবে । বাজারে সার সঙ্কট; তাই বস্তা প্রতি কিছু বেশি নিচ্ছেন তারা এমনটায় বক্তব্য সাব-ডিলারদের। উপজেলার বাজারগুলোতে বিভিন্ন খুচরা দোকানের চিত্র একই। তাই ভুক্তভোগী কৃষকদের দাবী গুদামে পর্যাপ্ত পরিমান সার মজুদ করে রেখে যে সমস্ত দোকানদার ও ডিলাররা হরতাল এবং রাস্তার গাড়ি-ঘোড়া বন্ধের অযুহাত দেখিয়ে সরকারি মূল্যের চেয়ে কৃষকদের কাছে বেশি টাকা নিয়ে সার বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হক। বিষয়টির প্রতি সু-নজর দেওয়ার জন্য সুযোগ্য উপজেলা মহাদয়ের সু-দৃষ্টি কামনা করেছে এলাকার চাষী মহল।