ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সরকারের ভেতরেই ভূত

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ৩০৭ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘদিন মাঠের বিরোধী দল বিএনপির আন্দোলন না থাকলেও বারবার বেকায়দায় পড়ছে আওয়ামী লীগ। বার বার হোচট খাচ্ছে সরকার। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে পারে, তা মোকাবেলা করতেও মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। এজন্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর উপর কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে যেন কোনভাবেই আন্দোলনের সুত্রপাত না হয়। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের মূল ভয় নিজ দলের নেতাকর্মী এবং সরকারের কর্মকতাদের নিয়ে। কারণ তারাই বারবার সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে বলে বিশ্লেষণ আওয়ামী লীগ নীতি-নির্ধারকদের। তাদের মতে, সরকারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আসল ভূত। যার ফলে বারবার বেকায়দায় পড়ছে আওয়ামী লীগ। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণ করা নানা সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ পাল্টে যাচ্ছে তৃণমূল প্রশাসনে। তাই মাদকবিরোধী অভিযানও প্রশ্নের মুখে পড়েছে কক্সবাজারের কমিশনার একরামুল হককে ক্রসফায়ারে হত্যার পর। আবার অনেক সিদ্ধান্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বাস্তবায়নের মুখ দেখে না। যার ফলে সরকারের উন্নয়নের মাঝেও জনমনে সরকার বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে। সেজন্য যেকোন আন্দোলনকে জনগণের একটি অংশ সরকারবিরোধী মনে করে তাতে মানসিক সমর্থন দান করছে। এছাড়া ক্রমাগত ছাত্র আন্দোলনের কারণে আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি প্রজন্ম গড়ে উঠছে বলেও শঙ্কা ক্ষমতাসীনদের।
নেতাদের বিশ্লেষণ, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারী, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণে গড়মিলের প্রতিবেদন, খনি থেকে কয়লা চুরি, পাথর উধাও, সড়কে শিক্ষার্থী নিহতের পর প্রতিক্রিয়ায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের অট্টহাসি, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকেদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলাসহ নানান কারণে বেকায়দায়-অস্থিরতায় পড়েছে সরকার। এসব আন্দোলন বা কেলেঙ্কারীর সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। এছাড়া আন্দোলনগুলো রাজনৈতিক নয়, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। এবং প্রত্যেকটি আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা এবং সরকারের কর্মকর্তারা দায়ী।
নেতাদের মতে, নিজেদের ভুলের কারণে বিরোধী শক্তিগুলো সক্রিয় হবার সুযোগ পেয়েছে। নতুন করে ষড়যন্ত্র করার রাস্তা পেয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে। আলোকচিত্রি শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করেও বেকায়দায় রয়েছে সরকার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিরা তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি, শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি করেছেন। নির্বাচনী বছরে ধারাবাহিক এসব ঘটনায় অস্থিরতা কাজ করছে ক্ষমতাসীনদের মাঝে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে আরো আন্দোলনের শঙ্কা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। তাই অরাজনৈতিক এসব আন্দোলন ও সরকারের উমেজ ক্ষুন্ন করে এমন কাজের বিশ্লেষণ করছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি কয়েকটি দেশের কূটনীতিক ও দেশের কিছু বিশিষ্ট জনদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের ভাবনা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দূনীর্তি বারবার বেকায়দায় ফেলছে সরকারকে। দলের বিষয় সরাসরি দল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারা কি কি দূর্নীতি করে তা বের করতেও সরকারি অন্য সংস্থাকে অনেক সময় ব্যয় করে বের করতে হয়।
সম্প্রতি রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সামনে আন্ডারপাস নির্মাণ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি বিভিন্ন দফতরের অসম প্রতিযোগীতা ও অসহযোগীতার কারণে সরকারকেই ক্ষতির সম্মুখিন হতেহয়। এই আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে অনেক আগে কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দুজন শিক্ষার্থীর প্রাণ আমাদের আমাদের হারাতে হয়েছে। এদিকে, বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করে আসছেন সরকারি কর্মকর্তারা তাদের কোন কথাই শোনেন না। মন্ত্রীদের কথাও নাকি সচিবরা মান্য করেন না এমন অভিযোগও আলোচনায় এসেছে বারবার। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ সমস্যায় পড়লে সরকারি আমলারা কতটুকু সহায়তা করবেন তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে দলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আমরা ব্যস্ত থাকার কারণে সরকারি বিভিন্ন খাতে অনিয়ম হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসব দূর্নীতি তদন্তের জন্য দুদককে নিজে দায়িত্ব দিলেও ওই সব সরকারি সংস্থা দুদককে সহযোগিতা করছে না। কিন্তু নির্বাচনী বছরে আমলাদের বিষয়ে বেশি শক্তও হওয়া যাচ্ছে না।
দলের সভাপতিমন্ডলীর একজন সদস্য বলেন, আমলাদের উপর ভরসা করা বোকামি। তারা যেকোন সময় সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির জন্য নয়, আমলাদের কারণে আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে কয়লা, পাথর দূর্নীতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণে হেরফের করার প্রতিবেদন আমলাদের কারণে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা-ও পাল্টে যায় মাঠপর্যায়ে গেলে। সরকার আমলাদের সুযোগ সুবিধা দিলেও ভবিষ্যতে তাদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মাদ এ আরাফাত বলেন, সরকারি যত দূর্নীতি হচ্ছে তা সরকারের অন্য সংস্থা দুদক ধরছে। এটা আওয়ামী লীগের সফলতা। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত প্রভাব পড়ছে যে সরকার দূর্নীতিগ্রস্থ। আমলাদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আওয়ামী লীগকে আরো মাশুল দিতে হবে বলে মন্তব্য এই বিশ্লেষকের।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নয়, ছদ্মবেশী শত্রুরাই বেশি সক্রিয়। এরাই গুজব সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তারা সুশীলে আছে, গণমাধ্যমে আছে। গণমাধ্যমের একটি অংশ অপপ্রচার করছে। এছাড়া যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সরকারের ভেতরেই ভূত

আপলোড টাইম : ০৯:২৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অগাস্ট ২০১৮

ডেস্ক রিপোর্ট: দীর্ঘদিন মাঠের বিরোধী দল বিএনপির আন্দোলন না থাকলেও বারবার বেকায়দায় পড়ছে আওয়ামী লীগ। বার বার হোচট খাচ্ছে সরকার। নির্বাচনের আগ মুহুর্তে বিরোধী দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে পারে, তা মোকাবেলা করতেও মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। এজন্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর উপর কঠোর নজরদারি রাখা হচ্ছে যেন কোনভাবেই আন্দোলনের সুত্রপাত না হয়। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের মূল ভয় নিজ দলের নেতাকর্মী এবং সরকারের কর্মকতাদের নিয়ে। কারণ তারাই বারবার সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে বলে বিশ্লেষণ আওয়ামী লীগ নীতি-নির্ধারকদের। তাদের মতে, সরকারের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আসল ভূত। যার ফলে বারবার বেকায়দায় পড়ছে আওয়ামী লীগ। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গ্রহণ করা নানা সিদ্ধান্ত ও নির্দেশ পাল্টে যাচ্ছে তৃণমূল প্রশাসনে। তাই মাদকবিরোধী অভিযানও প্রশ্নের মুখে পড়েছে কক্সবাজারের কমিশনার একরামুল হককে ক্রসফায়ারে হত্যার পর। আবার অনেক সিদ্ধান্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় বাস্তবায়নের মুখ দেখে না। যার ফলে সরকারের উন্নয়নের মাঝেও জনমনে সরকার বিরোধী মনোভাব বিরাজ করছে। সেজন্য যেকোন আন্দোলনকে জনগণের একটি অংশ সরকারবিরোধী মনে করে তাতে মানসিক সমর্থন দান করছে। এছাড়া ক্রমাগত ছাত্র আন্দোলনের কারণে আওয়ামী লীগ বিরোধী একটি প্রজন্ম গড়ে উঠছে বলেও শঙ্কা ক্ষমতাসীনদের।
নেতাদের বিশ্লেষণ, কোটা সংস্কার আন্দোলন, ব্যাংক ঋণ কেলেঙ্কারী, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণে গড়মিলের প্রতিবেদন, খনি থেকে কয়লা চুরি, পাথর উধাও, সড়কে শিক্ষার্থী নিহতের পর প্রতিক্রিয়ায় নৌমন্ত্রী শাজাহান খানের অট্টহাসি, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, আন্দোলনকারী ও সাংবাদিকেদের উপর ছাত্রলীগের হামলা, যুক্তরাষ্ট্র রাষ্ট্রদূতের গাড়িতে হামলাসহ নানান কারণে বেকায়দায়-অস্থিরতায় পড়েছে সরকার। এসব আন্দোলন বা কেলেঙ্কারীর সঙ্গে বিএনপি জড়িত নয়। এছাড়া আন্দোলনগুলো রাজনৈতিক নয়, সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। এবং প্রত্যেকটি আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সরকারি দলের নেতাকর্মীরা এবং সরকারের কর্মকর্তারা দায়ী।
নেতাদের মতে, নিজেদের ভুলের কারণে বিরোধী শক্তিগুলো সক্রিয় হবার সুযোগ পেয়েছে। নতুন করে ষড়যন্ত্র করার রাস্তা পেয়েছে। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন নিয়ে সরকারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েছে। আলোকচিত্রি শহিদুল আলমকে গ্রেফতার করেও বেকায়দায় রয়েছে সরকার। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নোবেল বিজয়ী ব্যক্তিরা তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি, শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিক শহিদুল আলমের মুক্তির দাবি করেছেন। নির্বাচনী বছরে ধারাবাহিক এসব ঘটনায় অস্থিরতা কাজ করছে ক্ষমতাসীনদের মাঝে।
সূত্র জানায়, নির্বাচনের আগে আরো আন্দোলনের শঙ্কা রয়েছে ক্ষমতাসীনদের। তাই অরাজনৈতিক এসব আন্দোলন ও সরকারের উমেজ ক্ষুন্ন করে এমন কাজের বিশ্লেষণ করছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি কয়েকটি দেশের কূটনীতিক ও দেশের কিছু বিশিষ্ট জনদের উপর গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়েছে সরকার। ক্ষমতাসীনদের ভাবনা, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দূনীর্তি বারবার বেকায়দায় ফেলছে সরকারকে। দলের বিষয় সরাসরি দল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা গেলেও সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। তারা কি কি দূর্নীতি করে তা বের করতেও সরকারি অন্য সংস্থাকে অনেক সময় ব্যয় করে বের করতে হয়।
সম্প্রতি রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের সামনে আন্ডারপাস নির্মাণ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকারি বিভিন্ন দফতরের অসম প্রতিযোগীতা ও অসহযোগীতার কারণে সরকারকেই ক্ষতির সম্মুখিন হতেহয়। এই আন্ডারপাস নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে অনেক আগে কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় তা বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে দুজন শিক্ষার্থীর প্রাণ আমাদের আমাদের হারাতে হয়েছে। এদিকে, বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা অভিযোগ করে আসছেন সরকারি কর্মকর্তারা তাদের কোন কথাই শোনেন না। মন্ত্রীদের কথাও নাকি সচিবরা মান্য করেন না এমন অভিযোগও আলোচনায় এসেছে বারবার। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে আওয়ামী লীগ সমস্যায় পড়লে সরকারি আমলারা কতটুকু সহায়তা করবেন তা নিয়েও আলোচনা হচ্ছে দলে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একজন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড সরকারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাজনৈতিকভাবে আমরা ব্যস্ত থাকার কারণে সরকারি বিভিন্ন খাতে অনিয়ম হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেসব দূর্নীতি তদন্তের জন্য দুদককে নিজে দায়িত্ব দিলেও ওই সব সরকারি সংস্থা দুদককে সহযোগিতা করছে না। কিন্তু নির্বাচনী বছরে আমলাদের বিষয়ে বেশি শক্তও হওয়া যাচ্ছে না।
দলের সভাপতিমন্ডলীর একজন সদস্য বলেন, আমলাদের উপর ভরসা করা বোকামি। তারা যেকোন সময় সরকারকে বেকায়দায় ফেলে দিতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির জন্য নয়, আমলাদের কারণে আওয়ামী লীগ বেকায়দায় পড়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে কয়লা, পাথর দূর্নীতি, বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণে হেরফের করার প্রতিবেদন আমলাদের কারণে হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে যেসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয় তা-ও পাল্টে যায় মাঠপর্যায়ে গেলে। সরকার আমলাদের সুযোগ সুবিধা দিলেও ভবিষ্যতে তাদের নিয়ন্ত্রণে কঠোর হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক মোহাম্মাদ এ আরাফাত বলেন, সরকারি যত দূর্নীতি হচ্ছে তা সরকারের অন্য সংস্থা দুদক ধরছে। এটা আওয়ামী লীগের সফলতা। কিন্তু বাস্তবে তার বিপরীত প্রভাব পড়ছে যে সরকার দূর্নীতিগ্রস্থ। আমলাদের সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আওয়ামী লীগকে আরো মাশুল দিতে হবে বলে মন্তব্য এই বিশ্লেষকের।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত নয়, ছদ্মবেশী শত্রুরাই বেশি সক্রিয়। এরাই গুজব সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। তারা সুশীলে আছে, গণমাধ্যমে আছে। গণমাধ্যমের একটি অংশ অপপ্রচার করছে। এছাড়া যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানান তিনি।