ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সব ধর্মের স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯
  • / ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনমত গঠন ও মতবিনিময় সভায় বক্তারা
বিশেষ প্রতিবেদক:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইফা’র নিজস্ব মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ.বি.রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান। তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ যেন ভুল পথে পরিচালিত না হয় তাদেরকে কেউ যেন ভুল বুঝাতে না পারেÑ এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় গুরুদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারাই পারেন যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে। অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে যেন কোন সন্তান বিপথগামী না হয়, ভুল বুঝে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে না যায়। আমরা কেউই চাই না আমাদের সন্তানেরা ভুল পথে পরিচালিত হোক। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে। এ কাজে সব ধর্মের স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আমরা অটুট। যে কারণে জঙ্গীবাদ মোকাবিলায় বার বার সফল হয়েছি আমরা। মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত জনগণ আমাদের যে সহযোগিতা করেছে তা প্রশংসার দাবিদার।’ তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন, আগামী ১৮ মে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। ওই দিন চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সারাদেশের বৌদ্ধদের উপর হামলার আশংকা রয়েছে। তাই সকল ধর্মের মানুষকে এক হয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘মাদক ও জঙ্গিবাদের করাল গ্রাস থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে দলমত-ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজ থেকে মাদক ও জঙ্গিবাদ দমন করা গেলে বাল্যবিবাহসহ এরূপ সামজিক ব্যধি আর থাকবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান বলেন, ‘উন্নয়নের সুফল পেতে এবং উন্নয়নকে টেকসই করতে আমাদেরকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। মাদক ও জঙ্গিবাদ জীবন থেকে জীবন কেড়ে নেয়। একটি পরিবারের উন্নতি ও অগ্রগতিকে ব্যহত করে। দেশ যখন উন্নয়নের মহা সোপানে যাত্রা শুরু করেছে, তখন মাদক ও জঙ্গিবাদ উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা হিসাবে দেখা দিয়েছে। তাই যে কোন মূল্যে আমাদের সমাজকে মাদক ও জঙ্গিবাদের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুকের মত সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বাবু লাল, ত্বরীকতদের পক্ষে হাবিবুর রহমান হবি শাহ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, শিক্ষক, ছাত্র, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সব ধর্মের স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে

আপলোড টাইম : ১০:৪৯:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ মে ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনমত গঠন ও মতবিনিময় সভায় বক্তারা
বিশেষ প্রতিবেদক:
ইসলামিক ফাউন্ডেশন চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ‘সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে জনমত গঠন ও ধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইফা’র নিজস্ব মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়। জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এ.বি.রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইয়াহ্ ইয়া খান। তিনি বলেন, ‘যুবসমাজ যেন ভুল পথে পরিচালিত না হয় তাদেরকে কেউ যেন ভুল বুঝাতে না পারেÑ এ বিষয়ে সচেতন করে তুলতে ধর্মীয় গুরুদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারাই পারেন যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে। অভিভাবকদেরও এ বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে যেন কোন সন্তান বিপথগামী না হয়, ভুল বুঝে জঙ্গিবাদের সাথে জড়িয়ে না যায়। আমরা কেউই চাই না আমাদের সন্তানেরা ভুল পথে পরিচালিত হোক। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে। এ কাজে সব ধর্মের স্বাধীনতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, ‘ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আমরা অটুট। যে কারণে জঙ্গীবাদ মোকাবিলায় বার বার সফল হয়েছি আমরা। মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণার পর থেকে এখনও পর্যন্ত জনগণ আমাদের যে সহযোগিতা করেছে তা প্রশংসার দাবিদার।’ তিনি বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন, আগামী ১৮ মে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’। ওই দিন চুয়াডাঙ্গা জেলাসহ সারাদেশের বৌদ্ধদের উপর হামলার আশংকা রয়েছে। তাই সকল ধর্মের মানুষকে এক হয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান তিনি।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘মাদক ও জঙ্গিবাদের করাল গ্রাস থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করতে দলমত-ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সমাজ থেকে মাদক ও জঙ্গিবাদ দমন করা গেলে বাল্যবিবাহসহ এরূপ সামজিক ব্যধি আর থাকবে না।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নান বলেন, ‘উন্নয়নের সুফল পেতে এবং উন্নয়নকে টেকসই করতে আমাদেরকে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। মাদক ও জঙ্গিবাদ জীবন থেকে জীবন কেড়ে নেয়। একটি পরিবারের উন্নতি ও অগ্রগতিকে ব্যহত করে। দেশ যখন উন্নয়নের মহা সোপানে যাত্রা শুরু করেছে, তখন মাদক ও জঙ্গিবাদ উন্নয়নের প্রতিবন্ধকতা হিসাবে দেখা দিয়েছে। তাই যে কোন মূল্যে আমাদের সমাজকে মাদক ও জঙ্গিবাদের করাল গ্রাস থেকে মুক্ত করতে হবে। একই সঙ্গে সবাইকে ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ, যৌতুকের মত সামাজিক ব্যাধির বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।’
আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্রী বাবু লাল, ত্বরীকতদের পক্ষে হাবিবুর রহমান হবি শাহ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, শিক্ষক, ছাত্র, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।