ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সবজির বাজারে আগুন, আলুর দাম আকাশ ছোয়া!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০১:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০
  • / ২৮০ বার পড়া হয়েছে

আফজালুল হক:
বন্যার ধাক্কায় চড়তে থাকা শাক-সবজির দামে স্বস্তি ফেরেনি, উল্টো নতুন করে আলুসহ প্রায় সব শাক-সবজির দামই আগের সপ্তাহের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। সারা দেশেরে ন্যায় চুয়াডাঙ্গার পাইকারি ও খুচরা বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা সবজির দাম। এর মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে আলুর দাম। প্রায় প্রতিদিনই দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও নির্ধারিত আয়ের ক্রেতাদের এখন দম আটকে যাবার উপক্রম। বন্যার প্রকোপে দেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ক্ষতিগ্রস্থ নিম্নাঞ্চলগুলোতে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে চুয়াডাঙ্গা জেলার বাজারগুলোতে সবরকম সবজির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে সবজির বাজারে লেগেছে দামের আগুন। সবরকম সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এসে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতা-সাধারণ। পাশাপাশি এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভেরও সৃষ্টি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সব সবজির দাম। বিশেষ করে আলু, বেগুন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, করলা, পটলের দাম একেবারেই নাগালের বাইরে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলায় পূর্বের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে আলুর দাম এখন আকাশ ছোয়া। এদিকে, গত এক সপ্তাহে আলুসহ সবধরণের সবজির দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এরমধ্যে শুধু আলুতেই বেড়েছে ১৫টাকা। এছাড়া ঢেঁড়স, বরবটি, টমেটো, মুলা, পটল, বেগুন, কাঁচ কলা, পেঁপে, কাঁচা মরিচ, করলা, শিমের দাম ৩ থেকে ৫টাকা হারে প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার, রেল বাজার ও কেদারগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়- বর্তমানে আলুর কেজি ৫০-৫৫টাকা, ঢেঁড়স ৪৫টাকা, বরবটি ২৫-৩০টাকা, টমেটো ১২০-১৪০টাকা, মুলা ৫০-৫৫টাকা, পটল ৫০-৬০টাকা, বেগুন ৫৫-৬০টাকা, কাঁচ কলা ৪৫-৫০টাকা, পেঁপে ২৫-৩০টাকা, কাঁচা ঝাল ১৮০-১৯০টাকা, করলা ৮০-৯০টাকা, শিম ১২০-১২৫ টাকা। এছাড়া লাল-শাক ও কলমি শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০টাকা এবং পুঁইশাক ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা এক টেইলার্স ব্যবসায়ীসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে, কেনাকাটা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে খেতে হয় বলে বাজারে আসছি। চারদিন আগেও যে আলু ৩০ টাকা করে কেজি কিনতাম, আজ সেই আলু ৫৫ টাকা কেজি কিনলাম। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যদি এমন আকাশ ছোঁয়া হয়, তাহলে সামনের দিনগুলো আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে।’
বৃষ্টির দোহাই দিয়ে সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বাজারে আসা অনেক ক্রেতা বলেন, ‘কাঁচা-বাজার প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা হঠাৎ আলুসহ সবধরণের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখনই কঠোর নজরদারি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা রেল বাজারের এক সবজি বিক্রেতা জানান, ‘পাইকারি বাজারে আলুসহ সব সবজির দাম বেড়েছে। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। আমাদের কিছু করার নেই। লস দিয়ে তো বিক্রি করা সম্ভব না। দাম বাড়ার কারণে আমাদের বিক্রিও অনেক কমেছে। এমনিতেই আড়তদারদের কাছ থেকে বেশি দামে মাল কিনছি। তার ওপরে বিক্রিও কম। অনেক কাস্টমার শুধু দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন।’
চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্ববৃহৎ সবজি বাজার ভালাইপুর মোড়ের এক আড়তদার বলেন, ‘এ জেলার ইতিহাসে আলুর দাম এতো বাড়েনি। আমরা ৪১ থেকে ৪৬ টাকা দরে পর্যন্ত প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রয় করেছি। অন্যান্য সব সবজিও গত এক সপ্তাহে যে দাম ছিল, তার তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুয়াডাঙ্গার অনেক আড়তদার জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগাম বন্যা হওয়ায় ফসলের খেত তলিয়ে গেছে। তাই আমাদের অঞ্চলের উৎপাদিত সব ধরণের সবজির চাহিদা বেড়েছে এবং আমরা অন্যান্য জেলায় সবজি সরবরাহ করছি। এ কারণে স্থানীয় বাজারে আমদানিও কম হচ্ছে। যার ফলে প্রায় সব সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এসময় আড়তদার আরও জানান, ‘চুয়াডাঙ্গায় কোনো কাঁচামালই মজুদ করে রাখা হয়নি।’
সবজির খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ‘সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আলুর কেজিতে ১৫টাকা, সিম কেজিতে ৫টাকা, বেগুনের কেজিতে ৫টাকা, কাচকলার কেজিতে ৫টাকা ও প্রায় সবধরণের সবজির কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।’
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কাঁচা-বাজার ও আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সবজির ফলন এবার কম। আড়তে যা আসছে অনেকটাই কাড়াকাড়ি করে কিনতে হচ্ছে। আগের তুলনায় সবজির আমদানিও অনেক কম। তাই আড়তেও দাম বেশি পড়ছে, ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’ আড়তদারেরা কোনো মজুদ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘চুয়াডাঙ্গার আড়তদারেরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না, কোনো মজুদের প্রশ্ন আসে না। তাহলে কি খুচরা ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যখন আমাদের কাছ থেকে পাইকারি দরে মালামাল কেনেন, তখন আমরা তাদের প্রত্যেক মাল কত টাকা দাম ধরেছি তার তালিকা (ফর্দ) দিই। প্রশাসন সেই তালিকা দেখে বর্তমান বাজার মূল্য নির্ণয় করলে খুচরা ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ পাবে না।’
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমি শুনেছি চুয়াডাঙ্গায় আলুর মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। তা ছাড়া সবধরণের সবজির মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি। বিশেষ করে কাচা-বাজারগুলোতে আমাদের নজর থাকবে। কোনো সিন্ডিকেটের প্রভাব বাজারে পড়তে দেওয়া হবে না।’
এদিকে, চাল, ডাল, মুরগির মাংস, মাছসহ আরও কিছু নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সবজির বাজারে আগুন, আলুর দাম আকাশ ছোয়া!

আপলোড টাইম : ০১:৩৪:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০

আফজালুল হক:
বন্যার ধাক্কায় চড়তে থাকা শাক-সবজির দামে স্বস্তি ফেরেনি, উল্টো নতুন করে আলুসহ প্রায় সব শাক-সবজির দামই আগের সপ্তাহের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। সারা দেশেরে ন্যায় চুয়াডাঙ্গার পাইকারি ও খুচরা বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা সবজির দাম। এর মধ্যে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে আলুর দাম। প্রায় প্রতিদিনই দাম বেড়ে যাওয়ায় নিম্ন ও নির্ধারিত আয়ের ক্রেতাদের এখন দম আটকে যাবার উপক্রম। বন্যার প্রকোপে দেশের নিম্নাঞ্চলগুলোতে সবজির উৎপাদন কমে যাওয়ার ফলে চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ক্ষতিগ্রস্থ নিম্নাঞ্চলগুলোতে সবজি সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে করে চুয়াডাঙ্গা জেলার বাজারগুলোতে সবরকম সবজির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে সবজির বাজারে লেগেছে দামের আগুন। সবরকম সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এসে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতা-সাধারণ। পাশাপাশি এ নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভেরও সৃষ্টি হচ্ছে। ক্রেতারা বলছেন, অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সব সবজির দাম। বিশেষ করে আলু, বেগুন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, করলা, পটলের দাম একেবারেই নাগালের বাইরে। আর চুয়াডাঙ্গা জেলায় পূর্বের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে আলুর দাম এখন আকাশ ছোয়া। এদিকে, গত এক সপ্তাহে আলুসহ সবধরণের সবজির দাম অব্যাহতভাবে বাড়ছে। এরমধ্যে শুধু আলুতেই বেড়েছে ১৫টাকা। এছাড়া ঢেঁড়স, বরবটি, টমেটো, মুলা, পটল, বেগুন, কাঁচ কলা, পেঁপে, কাঁচা মরিচ, করলা, শিমের দাম ৩ থেকে ৫টাকা হারে প্রতি কেজিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা শহরের বড় বাজার, রেল বাজার ও কেদারগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা যায়- বর্তমানে আলুর কেজি ৫০-৫৫টাকা, ঢেঁড়স ৪৫টাকা, বরবটি ২৫-৩০টাকা, টমেটো ১২০-১৪০টাকা, মুলা ৫০-৫৫টাকা, পটল ৫০-৬০টাকা, বেগুন ৫৫-৬০টাকা, কাঁচ কলা ৪৫-৫০টাকা, পেঁপে ২৫-৩০টাকা, কাঁচা ঝাল ১৮০-১৯০টাকা, করলা ৮০-৯০টাকা, শিম ১২০-১২৫ টাকা। এছাড়া লাল-শাক ও কলমি শাক প্রতি আঁটি ১৫ থেকে ২০টাকা এবং পুঁইশাক ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে সবজি কিনতে আসা এক টেইলার্স ব্যবসায়ীসহ বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের মতো নিম্ন আয়ের মানুষের এই ঊর্ধ্বগতির বাজারে, কেনাকাটা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। জীবন বাঁচানোর তাগিদে খেতে হয় বলে বাজারে আসছি। চারদিন আগেও যে আলু ৩০ টাকা করে কেজি কিনতাম, আজ সেই আলু ৫৫ টাকা কেজি কিনলাম। প্রায় প্রতিটি সবজির দাম যদি এমন আকাশ ছোঁয়া হয়, তাহলে সামনের দিনগুলো আমাদের জন্য খুব কঠিন হবে।’
বৃষ্টির দোহাই দিয়ে সবজির দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা, সেটা খতিয়ে দেখতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বাজারে আসা অনেক ক্রেতা বলেন, ‘কাঁচা-বাজার প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে না থাকায় অধিক মুনাফালোভী ব্যবসায়ীরা হঠাৎ আলুসহ সবধরণের সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। এখনই কঠোর নজরদারি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।’
চুয়াডাঙ্গা রেল বাজারের এক সবজি বিক্রেতা জানান, ‘পাইকারি বাজারে আলুসহ সব সবজির দাম বেড়েছে। তাই আমরাও বেশি দামে বিক্রি করছি। আমাদের কিছু করার নেই। লস দিয়ে তো বিক্রি করা সম্ভব না। দাম বাড়ার কারণে আমাদের বিক্রিও অনেক কমেছে। এমনিতেই আড়তদারদের কাছ থেকে বেশি দামে মাল কিনছি। তার ওপরে বিক্রিও কম। অনেক কাস্টমার শুধু দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন।’
চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্ববৃহৎ সবজি বাজার ভালাইপুর মোড়ের এক আড়তদার বলেন, ‘এ জেলার ইতিহাসে আলুর দাম এতো বাড়েনি। আমরা ৪১ থেকে ৪৬ টাকা দরে পর্যন্ত প্রতি কেজি পাইকারি বিক্রয় করেছি। অন্যান্য সব সবজিও গত এক সপ্তাহে যে দাম ছিল, তার তুলনায় এ সপ্তাহে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেশি দরে বিক্রি করছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চুয়াডাঙ্গার অনেক আড়তদার জানান, দেশের বিভিন্ন এলাকায় আগাম বন্যা হওয়ায় ফসলের খেত তলিয়ে গেছে। তাই আমাদের অঞ্চলের উৎপাদিত সব ধরণের সবজির চাহিদা বেড়েছে এবং আমরা অন্যান্য জেলায় সবজি সরবরাহ করছি। এ কারণে স্থানীয় বাজারে আমদানিও কম হচ্ছে। যার ফলে প্রায় সব সবজির দাম কিছুটা বেড়েছে। এসময় আড়তদার আরও জানান, ‘চুয়াডাঙ্গায় কোনো কাঁচামালই মজুদ করে রাখা হয়নি।’
সবজির খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, ‘সপ্তাহ খানেকের মধ্যে আলুর কেজিতে ১৫টাকা, সিম কেজিতে ৫টাকা, বেগুনের কেজিতে ৫টাকা, কাচকলার কেজিতে ৫টাকা ও প্রায় সবধরণের সবজির কেজিতে ৩ থেকে ৫ টাকা করে মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে।’
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা কাঁচা-বাজার ও আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে সবজির ফলন এবার কম। আড়তে যা আসছে অনেকটাই কাড়াকাড়ি করে কিনতে হচ্ছে। আগের তুলনায় সবজির আমদানিও অনেক কম। তাই আড়তেও দাম বেশি পড়ছে, ফলে খুচরা ব্যবসায়ীদের বিক্রিও বেশি দামে করতে হচ্ছে।’ আড়তদারেরা কোনো মজুদ করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, ‘চুয়াডাঙ্গার আড়তদারেরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না, কোনো মজুদের প্রশ্ন আসে না। তাহলে কি খুচরা ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যখন আমাদের কাছ থেকে পাইকারি দরে মালামাল কেনেন, তখন আমরা তাদের প্রত্যেক মাল কত টাকা দাম ধরেছি তার তালিকা (ফর্দ) দিই। প্রশাসন সেই তালিকা দেখে বর্তমান বাজার মূল্য নির্ণয় করলে খুচরা ব্যবসায়ীরা এ সুযোগ পাবে না।’
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমি শুনেছি চুয়াডাঙ্গায় আলুর মূল্য অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছে। তা ছাড়া সবধরণের সবজির মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা বাজার মনিটরিং করছি। বিশেষ করে কাচা-বাজারগুলোতে আমাদের নজর থাকবে। কোনো সিন্ডিকেটের প্রভাব বাজারে পড়তে দেওয়া হবে না।’
এদিকে, চাল, ডাল, মুরগির মাংস, মাছসহ আরও কিছু নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।