ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সবকিছুর স্রষ্টা আল্লাহ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ২৪৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন
মহান স্রষ্টা আল্লাহর আনুগত্যই একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। বিশ্বজগৎ তথা মানুষসহ সবকিছুর স্রষ্টা আল্লাহ। মানুষের লক্ষ্যই হওয়া উচিত স্রষ্টাতে সমর্পিত হওয়া। অন্য সব লক্ষ্যকে এই মূল লক্ষ্যের উপজাত বা মূল লক্ষ্য অর্জনের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। সূরা শূরার ১১নং আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, স্রষ্টার মতো কিংবা তার সমকক্ষ কেউ নেই।’ আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত বা উপাসনা করার জন্য। সূরা জারিয়াতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহর এবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হলেও তাকে একই সঙ্গে স্বাধীনভাবে ভালোমন্দ বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনের সূরা দাহরের ৩নং আয়াতে বলা হয়েছে ‘আমি মানুষকে পথ দেখিয়েছি হয় সে কৃতজ্ঞ হবে বা অকৃতজ্ঞ হবে।’ স্বভাবতই মানুষের দায়িত্ব সঠিক পথটি বেছে নেওয়া। আল্লাহ যেহেতু মানুষকে জ্ঞান দিয়েছেন, বিবেক দিয়েছেন সেহেতু যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া মানুষের কর্তব্য। আল্লাহ হলেন এমন এক সত্তা কোরআনের ভাষায় যিনি সর্বোত্তম গুণের অধিকারী। সূরা নাহলের ৬০নং আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘সর্বোত্তম মর‌্যাদাপূর্ণ গুণরাজি শুধুই স্রষ্টার’। আল্লাহ এমনই এক সত্তা যার বিধান অলঙ্ঘনীয়। তিনি যে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন তা ধারাবাহিক অপরিবর্তনীয় নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। পবিত্র কোরআনের সূরা সাবার ৪৩নং আয়াতে বলা হয়েছে, আপনি কখনো স্রষ্টার নিয়মে পরিবর্তন পাবেন না। স্রষ্টার সৃষ্ট জীব হিসেবে তৃপ্ত হতে হলে আল্লাহতে সমর্পিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সূরা রাদ-এর ২৪নং আয়াতে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাদের বিশ্বাস আছে এবং স্মরণে যাদের হƒদয় প্রশান্ত হয়, তারা জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়’। আল্লাহ আমাদের তার প্রতি সমর্পিত হওয়ার তওফিক দান করুন। আমিন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সবকিছুর স্রষ্টা আল্লাহ

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন
মহান স্রষ্টা আল্লাহর আনুগত্যই একজন মানুষকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। বিশ্বজগৎ তথা মানুষসহ সবকিছুর স্রষ্টা আল্লাহ। মানুষের লক্ষ্যই হওয়া উচিত স্রষ্টাতে সমর্পিত হওয়া। অন্য সব লক্ষ্যকে এই মূল লক্ষ্যের উপজাত বা মূল লক্ষ্য অর্জনের সহযোগী হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। সূরা শূরার ১১নং আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, স্রষ্টার মতো কিংবা তার সমকক্ষ কেউ নেই।’ আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করেছেন তার এবাদত বা উপাসনা করার জন্য। সূরা জারিয়াতে এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। মানুষকে আল্লাহর এবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হলেও তাকে একই সঙ্গে স্বাধীনভাবে ভালোমন্দ বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পবিত্র কোরআনের সূরা দাহরের ৩নং আয়াতে বলা হয়েছে ‘আমি মানুষকে পথ দেখিয়েছি হয় সে কৃতজ্ঞ হবে বা অকৃতজ্ঞ হবে।’ স্বভাবতই মানুষের দায়িত্ব সঠিক পথটি বেছে নেওয়া। আল্লাহ যেহেতু মানুষকে জ্ঞান দিয়েছেন, বিবেক দিয়েছেন সেহেতু যিনি তাকে সৃষ্টি করেছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া মানুষের কর্তব্য। আল্লাহ হলেন এমন এক সত্তা কোরআনের ভাষায় যিনি সর্বোত্তম গুণের অধিকারী। সূরা নাহলের ৬০নং আয়াতে ইরশাদ করা হয়েছে, ‘সর্বোত্তম মর‌্যাদাপূর্ণ গুণরাজি শুধুই স্রষ্টার’। আল্লাহ এমনই এক সত্তা যার বিধান অলঙ্ঘনীয়। তিনি যে বিশ্বজগৎ সৃষ্টি করেছেন তা ধারাবাহিক অপরিবর্তনীয় নিয়মে পরিচালিত হচ্ছে। পবিত্র কোরআনের সূরা সাবার ৪৩নং আয়াতে বলা হয়েছে, আপনি কখনো স্রষ্টার নিয়মে পরিবর্তন পাবেন না। স্রষ্টার সৃষ্ট জীব হিসেবে তৃপ্ত হতে হলে আল্লাহতে সমর্পিত হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। সূরা রাদ-এর ২৪নং আয়াতে এ বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, যাদের বিশ্বাস আছে এবং স্মরণে যাদের হƒদয় প্রশান্ত হয়, তারা জেনে রাখ, আল্লাহর স্মরণেই চিত্ত প্রশান্ত হয়’। আল্লাহ আমাদের তার প্রতি সমর্পিত হওয়ার তওফিক দান করুন। আমিন।