ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সংবাদকর্মীদের বেতন বাড়াতে নতুন ওয়েজবোর্ড গঠন

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৮
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: সংবাদকর্মীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করেছে সরকার। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে ১৩ সদস্যের এই ওয়েজবোর্ড গঠন করে আদেশ জারি করা হয়। গতকাল সোমবার ভারপ্রাপ্ত তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ নতুন ওয়েজবোর্ড গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। আদেশে বলা হয়, নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠনের ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের বিষয়টি আইনগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই বোর্ড সুপারিশ দেবে। প্রস্তাবিত ওয়েজবোর্ড প্রয়োজনে অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে সংবাদপত্র কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের বিষয় বিবেচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করতে পারবে। সাংবাদিকদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ২০১২ সালের ১৮ জুন অষ্টম ওয়েজবোর্ড গঠন করেছিল সরকার। এর কয়েক মাস পর ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা দেওয়া হয়, যা ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়। আগের ওয়েজবোর্ড গঠনের ৫ বছর ৭ মাসেরও বেশি সময় পর নতুন ওয়েজবোর্ড গঠন করল সরকার। পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামো দিতে আট মাসের কম সময় পাবে তথ্য মন্ত্রণালয়। অষ্টম ওয়েজবোর্ড গঠনের ১৫ মাস পর নবম বেতন কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন গড়ে তাদের মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার, যা ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকে নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এই দাবিতে দীর্ঘদিন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
সাংবাদিকদের কোন গ্রেডে কত বেতন? সংবাদপত্রের বার্তা বিভাগে কর্মরত সম্পাদক থেকে শুরু করে শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের জন্য মোট ছয়টি গ্রেড করা হয়৷ সম্পাদক স্পেশাল গ্রেডে বেতন পান৷ গ্রেড-১ নির্বাহী সম্পাদক থেকে বিশেষ প্রতিনিধি পর্যন্ত৷ গ্রেড-২ যুগ্ম বার্তা সম্পাদক থেকে সিনিয়র রিপোর্টার৷ গ্রেড-৩ সহ-সম্পাদক থেকে স্টাফ রিপোর্টার৷ গ্রেড-৪ শিক্ষানবিশ সহ-সম্পাদক থেকে শিক্ষানবিশ রিপোর্টার৷ গ্রেড-৫ শিক্ষানবিশ সম্পাদনা সহকারী৷
সাংবাদিকতায় প্রবেশের প্রথম ধাপ হল শিক্ষানবিশ রিপোর্টার৷ আর শিক্ষানবিশ রিপোর্টারের গ্রেড হল ৪৷ এই গ্রেডের মূল প্রারম্ভিক বেতন ১২,৬০০ টাকা৷ এর সঙ্গে ঢাকায় কর্মরত হলে বাড়িভাড়া মূল বেতনের শতকরা ৭০ ভাগ৷ চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা, সাধারণ যাতায়াত ভাতা ২,৫০০ টাকা, বিশেষ যাতায়াত ভাতা (শুধুমাত্র রিপোর্টারদের জন্য) ৩,০০০ টাকা৷ এভাবে মোট বেতন দাঁড়ায় ২৮,৪২০ টাকা৷ মজুরি বোর্ড অনুযায়ী সম্পাদকের মূল বেতন ৩৫, ৮৭৫ টাকা, নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদক ও বিশেষ প্রতিনিধির মূল বেতন ৩১,৮৫০ টাকা, সিনিয়র রিপোর্টারের মূল বেতন ২৪,১০৬ টাকা এবং স্টাফ রিপোর্টারের মূল বেতন ১৫,৯২৫ টাকা৷ তাতে দেখা যায় সম্পাদকেরও মোট বেতন ৮০ হাজার টাকার বেশি নয়৷ এরসঙ্গে আরো কিছু ভাতার কথা বলা হলেও তা বাস্তবে কার্যকর নয়৷সংবাদপত্রের অন্যান্য বিভাগ যেমন প্রেস, সার্কুলেশন, বিজ্ঞাপন তাদের জন্যও মজুরি বোর্ডে আলাদা বেতন কাঠামো আছে৷ মজুরি বোর্ড অনুয়ায়ী সংবাদপত্রে কর্মরতদের প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং গ্রাচুয়িটি পাওয়ার কথা৷

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

সংবাদকর্মীদের বেতন বাড়াতে নতুন ওয়েজবোর্ড গঠন

আপলোড টাইম : ১০:৪০:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৮

সমীকরণ ডেস্ক: সংবাদকর্মীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে নবম ওয়েজবোর্ড গঠন করেছে সরকার। আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে ১৩ সদস্যের এই ওয়েজবোর্ড গঠন করে আদেশ জারি করা হয়। গতকাল সোমবার ভারপ্রাপ্ত তথ্য সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ নতুন ওয়েজবোর্ড গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে ওয়েজবোর্ডের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। আদেশে বলা হয়, নবম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড গঠনের ছয় মাসের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের বিষয়টি আইনগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এই বোর্ড সুপারিশ দেবে। প্রস্তাবিত ওয়েজবোর্ড প্রয়োজনে অর্ন্তবর্তীকালীন সময়ে সংবাদপত্র কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা প্রদানের বিষয় বিবেচনা করে সরকারের কাছে সুপারিশ পেশ করতে পারবে। সাংবাদিকদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণে ২০১২ সালের ১৮ জুন অষ্টম ওয়েজবোর্ড গঠন করেছিল সরকার। এর কয়েক মাস পর ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার ঘোষণা দেওয়া হয়, যা ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরা হয়। আগের ওয়েজবোর্ড গঠনের ৫ বছর ৭ মাসেরও বেশি সময় পর নতুন ওয়েজবোর্ড গঠন করল সরকার। পাঁচ বছরের মধ্যে নতুন বেতন কাঠামো দিতে আট মাসের কম সময় পাবে তথ্য মন্ত্রণালয়। অষ্টম ওয়েজবোর্ড গঠনের ১৫ মাস পর নবম বেতন কাঠামো ঘোষণা করে সরকার। সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের বেতন গড়ে তাদের মূল বেতনের ৭৫ শতাংশ বাড়িয়ে ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করে সরকার, যা ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হয়। ২০১৫ সালে সরকারি কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণার পর থেকে নতুন বেতন কাঠামোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো। এই দাবিতে দীর্ঘদিন কর্মসূচিও পালন করেন তারা।
সাংবাদিকদের কোন গ্রেডে কত বেতন? সংবাদপত্রের বার্তা বিভাগে কর্মরত সম্পাদক থেকে শুরু করে শিক্ষানবিশ সাংবাদিকদের জন্য মোট ছয়টি গ্রেড করা হয়৷ সম্পাদক স্পেশাল গ্রেডে বেতন পান৷ গ্রেড-১ নির্বাহী সম্পাদক থেকে বিশেষ প্রতিনিধি পর্যন্ত৷ গ্রেড-২ যুগ্ম বার্তা সম্পাদক থেকে সিনিয়র রিপোর্টার৷ গ্রেড-৩ সহ-সম্পাদক থেকে স্টাফ রিপোর্টার৷ গ্রেড-৪ শিক্ষানবিশ সহ-সম্পাদক থেকে শিক্ষানবিশ রিপোর্টার৷ গ্রেড-৫ শিক্ষানবিশ সম্পাদনা সহকারী৷
সাংবাদিকতায় প্রবেশের প্রথম ধাপ হল শিক্ষানবিশ রিপোর্টার৷ আর শিক্ষানবিশ রিপোর্টারের গ্রেড হল ৪৷ এই গ্রেডের মূল প্রারম্ভিক বেতন ১২,৬০০ টাকা৷ এর সঙ্গে ঢাকায় কর্মরত হলে বাড়িভাড়া মূল বেতনের শতকরা ৭০ ভাগ৷ চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা, সাধারণ যাতায়াত ভাতা ২,৫০০ টাকা, বিশেষ যাতায়াত ভাতা (শুধুমাত্র রিপোর্টারদের জন্য) ৩,০০০ টাকা৷ এভাবে মোট বেতন দাঁড়ায় ২৮,৪২০ টাকা৷ মজুরি বোর্ড অনুযায়ী সম্পাদকের মূল বেতন ৩৫, ৮৭৫ টাকা, নির্বাহী সম্পাদক ও বার্তা সম্পাদক ও বিশেষ প্রতিনিধির মূল বেতন ৩১,৮৫০ টাকা, সিনিয়র রিপোর্টারের মূল বেতন ২৪,১০৬ টাকা এবং স্টাফ রিপোর্টারের মূল বেতন ১৫,৯২৫ টাকা৷ তাতে দেখা যায় সম্পাদকেরও মোট বেতন ৮০ হাজার টাকার বেশি নয়৷ এরসঙ্গে আরো কিছু ভাতার কথা বলা হলেও তা বাস্তবে কার্যকর নয়৷সংবাদপত্রের অন্যান্য বিভাগ যেমন প্রেস, সার্কুলেশন, বিজ্ঞাপন তাদের জন্যও মজুরি বোর্ডে আলাদা বেতন কাঠামো আছে৷ মজুরি বোর্ড অনুয়ায়ী সংবাদপত্রে কর্মরতদের প্রভিডেন্ড ফান্ড এবং গ্রাচুয়িটি পাওয়ার কথা৷