ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শ্রীলংকায় মসজিদ, মুসলমানদের দোকানপাটে হামলা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০১৯
  • / ২৮০ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব ডেস্ক:
ফেসবুকে শুরু হওয়া বিতর্কের জেরে শ্রীলংকার পশ্চিম উপকূলীয় শহর চিলাওতে রোববার মসজিদে ও মুসলমানদের দোকানপাটে এলোপাতাড়ি পাথর ছুড়েছে স্থানীয় লোকজন। এছাড়া সেখানকার এক ব্যক্তিকে বেধরক মারধর করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। চার সপ্তাহ আগে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দেশটির চারটি বিলাসবহুল হোটেল ও তিনটি চার্চে বোমা হামলা চালিয়ে ২৫০ জনের বেশি লোককে হত্যা করেছে। এরপরেই সেখানকার মুসলমানরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে শুরু করেন। শ্রীলংকার বিভিন্ন মুসলমান সংগঠনের দাবি, সারা দেশে থেকে ইতিমধ্যে হয়রানি শিকার হওয়ার কয়েক ডজন অভিযোগ তারা পেয়েছে। দেশটির পুলিশের মুখপাত্র রাবন গুনাসেকারা বলেন, উত্তেজনা কমিয়ে আনতে চিলাওয়া পুলিশ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি শিংহলিজ ভাষায় মুসলমানদের পরিহাস করে লিখেছেন, ‘তাদের এখন কান্না করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ জবাবে হাসমার হামিদ নামের একজন লিখেছেন, ‘বেশি হেসো না, একদিন তোমাদেরও কাঁদতে হবে।’ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরে পুলিশ তাকে আটক করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা একটি ফেসবুক পোস্টের লেখককে আটক করেছেন। ৩৮ বছর বয়সী আবদুল হামিদ মোহাম্মদ হাসমার নামে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। চিলাও শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা খ্রিস্টান। তারা বলেন, হাসমারের পোস্টকে ভীতিপ্রদর্শন হিসেবে মনে করে স্থানীয় ক্ষুব্ধ লোকজন তাকে বেধরক পিটিয়েছেন। তবে ফেসবুকে সত্যিকার কথোপকথন কী ছিল, তা জানতে পারেনি রয়টার্স। এছাড়া হাসমারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসলমান বলেন, পরবর্তীতে লোকজন তিনটি মসজিদে ও মুসলমানদের মালিকানার দোকানপাটে পাথর ছুড়ে মেরেছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও রাতে আমরা আতঙ্ক নিয়ে আছি। তিনি বলেন, একটি মসজিদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করে নিউ হাসমারস নামের একটি কাপড়ের দোকানে পাথর নিক্ষেপ করছেন। ইস্টার সানডেতে হামলায় নিগম্বোতে শতাধিক লোক নিহত হন। গত সপ্তাহে চলাচল বিতর্ক নিয়ে সেখানে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শ্রীলংকায় মসজিদ, মুসলমানদের দোকানপাটে হামলা

আপলোড টাইম : ০৮:৩৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০১৯

বিশ্ব ডেস্ক:
ফেসবুকে শুরু হওয়া বিতর্কের জেরে শ্রীলংকার পশ্চিম উপকূলীয় শহর চিলাওতে রোববার মসজিদে ও মুসলমানদের দোকানপাটে এলোপাতাড়ি পাথর ছুড়েছে স্থানীয় লোকজন। এছাড়া সেখানকার এক ব্যক্তিকে বেধরক মারধর করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমন তথ্য জানা গেছে। চার সপ্তাহ আগে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস দেশটির চারটি বিলাসবহুল হোটেল ও তিনটি চার্চে বোমা হামলা চালিয়ে ২৫০ জনের বেশি লোককে হত্যা করেছে। এরপরেই সেখানকার মুসলমানরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হতে শুরু করেন। শ্রীলংকার বিভিন্ন মুসলমান সংগঠনের দাবি, সারা দেশে থেকে ইতিমধ্যে হয়রানি শিকার হওয়ার কয়েক ডজন অভিযোগ তারা পেয়েছে। দেশটির পুলিশের মুখপাত্র রাবন গুনাসেকারা বলেন, উত্তেজনা কমিয়ে আনতে চিলাওয়া পুলিশ এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। আগামীকাল সকাল ছয়টা পর্যন্ত তা কার্যকর থাকবে। ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি স্ক্রিনশটে দেখা গেছে, এক ব্যক্তি শিংহলিজ ভাষায় মুসলমানদের পরিহাস করে লিখেছেন, ‘তাদের এখন কান্না করাও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ জবাবে হাসমার হামিদ নামের একজন লিখেছেন, ‘বেশি হেসো না, একদিন তোমাদেরও কাঁদতে হবে।’ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পরে পুলিশ তাকে আটক করেছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা একটি ফেসবুক পোস্টের লেখককে আটক করেছেন। ৩৮ বছর বয়সী আবদুল হামিদ মোহাম্মদ হাসমার নামে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। চিলাও শহরের অধিকাংশ বাসিন্দা খ্রিস্টান। তারা বলেন, হাসমারের পোস্টকে ভীতিপ্রদর্শন হিসেবে মনে করে স্থানীয় ক্ষুব্ধ লোকজন তাকে বেধরক পিটিয়েছেন। তবে ফেসবুকে সত্যিকার কথোপকথন কী ছিল, তা জানতে পারেনি রয়টার্স। এছাড়া হাসমারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি। নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মুসলমান বলেন, পরবর্তীতে লোকজন তিনটি মসজিদে ও মুসলমানদের মালিকানার দোকানপাটে পাথর ছুড়ে মেরেছেন। পরিস্থিতি এখন শান্ত হলেও রাতে আমরা আতঙ্ক নিয়ে আছি। তিনি বলেন, একটি মসজিদে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, কয়েক ডজন লোকজন চিৎকার চেঁচামেচি করে নিউ হাসমারস নামের একটি কাপড়ের দোকানে পাথর নিক্ষেপ করছেন। ইস্টার সানডেতে হামলায় নিগম্বোতে শতাধিক লোক নিহত হন। গত সপ্তাহে চলাচল বিতর্ক নিয়ে সেখানে খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের মধ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল।