ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শ্রমিকদের টাকা আত্মসাত করলেন চেয়ারম্যান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯
  • / ২৪০ বার পড়া হয়েছে

জীবননগর বাঁকা ইউনিয়নে কর্মসৃজনী কাজে অনিয়মের অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবননগর বাঁকা ইউনিয়নে ৮০ দিনের কর্মসৃজনী কাজে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাতা কলমে শ্রমিকের নাম থাকলেও কাজে নেই। এ ঘটনায় শ্রমিকের ১০ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর ও মিনাজপুর গ্রামে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশে মাটি দেওয়া, রাস্তা সংস্কার করাসহ ৮০ দিনের কর্মসৃজনী কাজের কথা থাকলেও ঘন্টায় ১০ঝুড়ি মাটি কাটা ছাড়া আর কিছুই হয়না। পাশাপাশি খাতা কলমে চেয়ারম্যান, মেম্বরদের অনুসারী শ্রমিকদের নামের তালিকা থাকলেও হাতে গুনে কয়েকজন শ্রমিক ছাড়া আর কারো পাওয়া যায় না। অথচ টাকা নেওয়ার সময় সকলকে দেখা যায়। এ যেন একেবারে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেবার সর্দার অভিযোগ করে বলেন, ‘কাজ করবো কিভাবে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ডেকে বলেছে যেখানে লেবার ২০টা আছে সেখানে ৫টা লেবার দিবা আর খাতায় হাজিরা উঠবে সব লেবারের। বাকি লেবারের হাজিরাগুলো আমার কাছে দিয়ে যাবা। আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান আমার বলে তোমার সর্দ্দারী করতে হবে না। আমি তোমার সাইডে অন্য লেবার সর্দ্দার দিবো, যে আমার টাকা দিবে তাকে দিবো।’
এ ব্যাপারে বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি কোন লেবার সর্দ্দারের কাছে টাকা দাবি করিনি। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শ্রমিকদের টাকা আত্মসাত করলেন চেয়ারম্যান

আপলোড টাইম : ১০:০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০১৯

জীবননগর বাঁকা ইউনিয়নে কর্মসৃজনী কাজে অনিয়মের অভিযোগ!
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জীবননগর বাঁকা ইউনিয়নে ৮০ দিনের কর্মসৃজনী কাজে চরম অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। খাতা কলমে শ্রমিকের নাম থাকলেও কাজে নেই। এ ঘটনায় শ্রমিকের ১০ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধানের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাঁকা ইউনিয়নের প্রতাবপুর ও মিনাজপুর গ্রামে ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার পাশে মাটি দেওয়া, রাস্তা সংস্কার করাসহ ৮০ দিনের কর্মসৃজনী কাজের কথা থাকলেও ঘন্টায় ১০ঝুড়ি মাটি কাটা ছাড়া আর কিছুই হয়না। পাশাপাশি খাতা কলমে চেয়ারম্যান, মেম্বরদের অনুসারী শ্রমিকদের নামের তালিকা থাকলেও হাতে গুনে কয়েকজন শ্রমিক ছাড়া আর কারো পাওয়া যায় না। অথচ টাকা নেওয়ার সময় সকলকে দেখা যায়। এ যেন একেবারে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক লেবার সর্দার অভিযোগ করে বলেন, ‘কাজ করবো কিভাবে চেয়ারম্যান সাহেব আমাকে ডেকে বলেছে যেখানে লেবার ২০টা আছে সেখানে ৫টা লেবার দিবা আর খাতায় হাজিরা উঠবে সব লেবারের। বাকি লেবারের হাজিরাগুলো আমার কাছে দিয়ে যাবা। আমি তার কথায় রাজি না হওয়ায় বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান আমার বলে তোমার সর্দ্দারী করতে হবে না। আমি তোমার সাইডে অন্য লেবার সর্দ্দার দিবো, যে আমার টাকা দিবে তাকে দিবো।’
এ ব্যাপারে বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমি কোন লেবার সর্দ্দারের কাছে টাকা দাবি করিনি। তাছাড়া আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।’