ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শৈলকুপায় জমে উঠেছে আ’লীগের মাঠ দখলের লড়াই

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১০:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮
  • / ৩৩৮ বার পড়া হয়েছে

এমপি হওয়ার আগেই নেতায় নেতায় বিবাদ হানাহানি !
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ দখলের লড়াই জমে উঠেছে। ফলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দিনকে দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। দলীয় কর্মীদের কাছে টানতে টাকার পাশাপাশি নিবর্তনমুলক কৌশলও গ্রহন করছেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীরা বহুধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দলে না ভেড়ার কারণে কাউকে অস্ত্র দিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছেন। আবার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে কারো গ্রাম ছাড়া করছেন। এতে রাজনীতির মাঠ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমপি হওয়ার আগেই নেতায় নেতায় এহেন বিবাদ ও হানাহানীতে ভোটের রাজনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঈদপরবর্তী সময়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে আওয়ামীলীগের মুলধারা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে। কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি নজরুল ইসলাম দুলালের উপর একদল দুর্র্বৃত্ত হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় ইফতারের পূর্বমুহুর্তে কয়েক যুবক অস্ত্রসহ তার গ্রামের বাড়িতে প্রবশে করে। এসময় কর্মীরা তিনজনকে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশী তৈরীর পাইপ গান পাওয়া যায় বলে দুলালের দাবী। নজরুল ইসলাম দুলালের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার হত্যা চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি উদ্যোগ না নিয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গেলেও কোন মামলা নেয়া হয়নি। দুলালের হত্যার চক্রান্তের সাথে শিল্পপতি সাইদুর রহমান সজল ও শওকত আকবর জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়। তারা ৫ লাখ টাকা দিয়ে ভাড়াটিয়াদের পাঠায় কিলিং মিশনে। এদিকে বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যাবস্থপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলালকে হত্যার চেষ্টা অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেন জনতার হাতে আটক হওয়া তিন ভুক্তভোগী। শৈলকুপা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে আলী হোসেন, সেকেন্দার আলী ও আজমত আলী জানায়, গত ১৫ই জুন ঈদ খরচ আনার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঁচপাখিয়া গ্রামের নুর আলম বিশ্বাসের সাথে কথা হয়। সে মোতাবেক তারা তিনজন নুর আলম বিশ্বাসের বাড়ীতে গেলে আচমকা নুর আলম বিশ্বাস, সাইদুল মেম্বারসহ ২০/২৫ জন তাদের উপর চড়াও হয়ে বিভিন্নভাবে শাররীক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে শৈলকুপায় নজরুল ইসলাম দুলাল কর্তৃক আওয়ামী পরিবারের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন, বাড়ীঘর ভাংচুর, হামলা, মালামাল লুটপাট ও গৃহহীন করার প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সভা করে প্রতিপক্ষ সজল গ্রুপ। এসময় সভাপতি সাইদুর রহমান সজল, আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার আহম্মেদ মৃধা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উকিল হোসেন মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রকাশ্যে সমাবেশে বলেন, বিশ্বাস বিল্ডার্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলালের নেতৃত্বে লালিত তার ক্যাডার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে আবাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নেতাকর্মীদের মারধর, হুমকি-ধামকি, বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাটসহ বহু নিরিহ মানুষের নামে মামলা করে এলাকা ছাড়া করেছে। ঈদের আগের দিন ইফতার পরবর্তি সময়ে নজরুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার একটি মিথ্যা গুজোব ছড়িয়ে তার ভাই নুর আলম বিশ্বাস ও বালু সাঈদ মালাইনগর গ্রামে অন্তত ১০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২০-২৫টি পরিবারকে এলাকা ছাড়া করে। এ সময় তাদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করা হয়। স্থানীয় আওয়ামীলীগের অভিযোগ বিশ্বাস বির্ল্ডাসের মালিক দুলাল, শিল্পপতি সাইদুর রহমান সজল, কাজী আজাদুল কবীর ও সাবেক রাষ্ট্রদুত ওলিয়ার রহমান হিটু মনোয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন। এদের মধ্যে কেও কেও অগাধ টাকার মালিক। তারাই তৃণমুলে বিভেদ আর হানাহানিতে লিপ্ত হচ্ছে। শৈলকুপা আওয়ামীলীগ নেতারা মনে করেন, নির্বাচন সামনে করে যারা প্রচার চালাতে আসছেন, তারা মুলত অতিথি পাখি ও হাইব্রিড। দলের দুঃসময়ে তাদের পাওয়া যায়নি। দল ক্ষমতায় আসার পর কোটি কোটি টাকা কামায় করে এখন তৃনমুলে বিভাজন সৃষ্টি করতে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাভাপতি ও শৈলকুপার সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই জানান, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমার সাথে রয়েছে। তারাই মুলত আওয়ামীলীগের মুলধারার সাথে আছে। তার ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলের জন্য কাজ করছে। কাজেই বিভেদ সৃষ্টিকারীদের কারণে আওয়ামীলীগের মুলধারার কোন ক্ষতিই হচ্ছে না। তিনি বলেন, কিছু লোকের কোটি কোটি টাকা আছে। তারা ঢাকা থেকে আসছে আর টাকা ছিটাচ্ছে। এতে আওয়ামীলীগের ভোটের রাজনীতির কোন ক্ষতি হবে না বলে তিনি মনে করেন। আব্দুল হাই এমপি আরো বলেন, নজরুল ইসলাম দুলালকে যদি পরিকল্পিত ভাবে হত্যার জন্য যাওয়া হয় তবে সেটা যেমন জঘন্য, তেমনি নিরীহ নিরাপরাধ তিনজনকে পরিকল্পিত ভাবে ধরিয়ে দেওয়াও হবে জঘন্য অপরাধ। তিনি বলেন, যে তিনজনকে হাজারো মানুষের মধ্যে হত্যার চক্রান্তের অভিযোগে ধরা হয়েছিলো, তাদের কাছে একটি চাকুও ছিল না বলে আমি লোকমুখে শুনেছি।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শৈলকুপায় জমে উঠেছে আ’লীগের মাঠ দখলের লড়াই

আপলোড টাইম : ১০:৪৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ জুন ২০১৮

এমপি হওয়ার আগেই নেতায় নেতায় বিবাদ হানাহানি !
ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মাঠ দখলের লড়াই জমে উঠেছে। ফলে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দিনকে দিন তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। দলীয় কর্মীদের কাছে টানতে টাকার পাশাপাশি নিবর্তনমুলক কৌশলও গ্রহন করছেন। এ নিয়ে নেতাকর্মীরা বহুধারায় বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। দলে না ভেড়ার কারণে কাউকে অস্ত্র দিয়ে ধরিয়ে দিচ্ছেন। আবার বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে কারো গ্রাম ছাড়া করছেন। এতে রাজনীতির মাঠ ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এমপি হওয়ার আগেই নেতায় নেতায় এহেন বিবাদ ও হানাহানীতে ভোটের রাজনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ঈদপরবর্তী সময়ে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ে আওয়ামীলীগের মুলধারা দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে। কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি নজরুল ইসলাম দুলালের উপর একদল দুর্র্বৃত্ত হামলা চালিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায় বলে তিনি অভিযোগ করেন। ঝিনাইদহের শৈলকুপার পাঁচপাখিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় ইফতারের পূর্বমুহুর্তে কয়েক যুবক অস্ত্রসহ তার গ্রামের বাড়িতে প্রবশে করে। এসময় কর্মীরা তিনজনকে ধরে ফেলে। তাদের কাছ থেকে একটি দেশী তৈরীর পাইপ গান পাওয়া যায় বলে দুলালের দাবী। নজরুল ইসলাম দুলালের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, তার হত্যা চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি উদ্যোগ না নিয়ে পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়েছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র পাওয়া গেলেও কোন মামলা নেয়া হয়নি। দুলালের হত্যার চক্রান্তের সাথে শিল্পপতি সাইদুর রহমান সজল ও শওকত আকবর জড়িত বলেও অভিযোগ করা হয়। তারা ৫ লাখ টাকা দিয়ে ভাড়াটিয়াদের পাঠায় কিলিং মিশনে। এদিকে বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেডের ব্যাবস্থপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলালকে হত্যার চেষ্টা অস্বীকার করে সংবাদ সম্মেলন করেন জনতার হাতে আটক হওয়া তিন ভুক্তভোগী। শৈলকুপা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে আলী হোসেন, সেকেন্দার আলী ও আজমত আলী জানায়, গত ১৫ই জুন ঈদ খরচ আনার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাঁচপাখিয়া গ্রামের নুর আলম বিশ্বাসের সাথে কথা হয়। সে মোতাবেক তারা তিনজন নুর আলম বিশ্বাসের বাড়ীতে গেলে আচমকা নুর আলম বিশ্বাস, সাইদুল মেম্বারসহ ২০/২৫ জন তাদের উপর চড়াও হয়ে বিভিন্নভাবে শাররীক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি নিয়ে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। অন্যদিকে শৈলকুপায় নজরুল ইসলাম দুলাল কর্তৃক আওয়ামী পরিবারের উপর নির্যাতন, নিপীড়ন, বাড়ীঘর ভাংচুর, হামলা, মালামাল লুটপাট ও গৃহহীন করার প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সভা করে প্রতিপক্ষ সজল গ্রুপ। এসময় সভাপতি সাইদুর রহমান সজল, আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার আহম্মেদ মৃধা, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক উকিল হোসেন মোল্লা, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম ও আলতাফ হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রকাশ্যে সমাবেশে বলেন, বিশ্বাস বিল্ডার্স এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলাম দুলালের নেতৃত্বে লালিত তার ক্যাডার বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে আবাইপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নেতাকর্মীদের মারধর, হুমকি-ধামকি, বাড়িঘর ভাংচুর-লুটপাটসহ বহু নিরিহ মানুষের নামে মামলা করে এলাকা ছাড়া করেছে। ঈদের আগের দিন ইফতার পরবর্তি সময়ে নজরুল ইসলামকে হত্যাচেষ্টার একটি মিথ্যা গুজোব ছড়িয়ে তার ভাই নুর আলম বিশ্বাস ও বালু সাঈদ মালাইনগর গ্রামে অন্তত ১০টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ২০-২৫টি পরিবারকে এলাকা ছাড়া করে। এ সময় তাদের বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট করা হয়। স্থানীয় আওয়ামীলীগের অভিযোগ বিশ্বাস বির্ল্ডাসের মালিক দুলাল, শিল্পপতি সাইদুর রহমান সজল, কাজী আজাদুল কবীর ও সাবেক রাষ্ট্রদুত ওলিয়ার রহমান হিটু মনোয়ন পেতে মাঠে নেমেছেন। এদের মধ্যে কেও কেও অগাধ টাকার মালিক। তারাই তৃণমুলে বিভেদ আর হানাহানিতে লিপ্ত হচ্ছে। শৈলকুপা আওয়ামীলীগ নেতারা মনে করেন, নির্বাচন সামনে করে যারা প্রচার চালাতে আসছেন, তারা মুলত অতিথি পাখি ও হাইব্রিড। দলের দুঃসময়ে তাদের পাওয়া যায়নি। দল ক্ষমতায় আসার পর কোটি কোটি টাকা কামায় করে এখন তৃনমুলে বিভাজন সৃষ্টি করতে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সাভাপতি ও শৈলকুপার সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই জানান, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমার সাথে রয়েছে। তারাই মুলত আওয়ামীলীগের মুলধারার সাথে আছে। তার ঐক্যবদ্ধ ভাবে দলের জন্য কাজ করছে। কাজেই বিভেদ সৃষ্টিকারীদের কারণে আওয়ামীলীগের মুলধারার কোন ক্ষতিই হচ্ছে না। তিনি বলেন, কিছু লোকের কোটি কোটি টাকা আছে। তারা ঢাকা থেকে আসছে আর টাকা ছিটাচ্ছে। এতে আওয়ামীলীগের ভোটের রাজনীতির কোন ক্ষতি হবে না বলে তিনি মনে করেন। আব্দুল হাই এমপি আরো বলেন, নজরুল ইসলাম দুলালকে যদি পরিকল্পিত ভাবে হত্যার জন্য যাওয়া হয় তবে সেটা যেমন জঘন্য, তেমনি নিরীহ নিরাপরাধ তিনজনকে পরিকল্পিত ভাবে ধরিয়ে দেওয়াও হবে জঘন্য অপরাধ। তিনি বলেন, যে তিনজনকে হাজারো মানুষের মধ্যে হত্যার চক্রান্তের অভিযোগে ধরা হয়েছিলো, তাদের কাছে একটি চাকুও ছিল না বলে আমি লোকমুখে শুনেছি।