ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে যুবলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০
  • / ২৫১ বার পড়া হয়েছে

মেহেরপুর অফিস:
১১ জুন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আয়োজনে পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সীমিত আকারে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা এখন দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। এই সময়ে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ শেষে ২০০৮ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান। ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের দিকে ফিরে তাকাই। তাহলে দেখতে পাই জীবনের বেশির ভাগ সময় তাঁকে থাকতে হয়েছে কারা অভ্যন্তরে। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের এই মহান নেতাকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি পশ্চিম পাকিস্তানের চেপে বসা শাসকগোষ্ঠী।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথটা সহজ ছিল না কোনো দিনই। চেপে বসা তত্বাবধায়কদের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ২০০৮ সালের ১১ জুন। তাঁর মুক্তিতে সেদিন যেন মুক্তি পেয়েছিল গণতন্ত্র। ১১ জুন তাই গণতন্ত্রের মুক্তির দিন। আজ আমরা দেখতে পাই দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে একটি চক্র তৎপর। ঘাপটি মেরে আছে রাজনৈতিক অপশক্তিও। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উদারনৈতিক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। গণতন্ত্রের মুক্তির এই দিনে সেই মন্ত্রে নতুন করে উজ্জীবিত হতে হবে।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুর রহমান সাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আল মামুন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান অপু, শহর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুজ্জামান সুইট, যুবলীগের নেতা মাহাবুব হসান ডালিম, হাসানুজ্জামান হিলন, সাইদুর রহমান, ইয়ানুস আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাজি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রায়হানুজ্জামান মিণ্টুসহ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন পৌর মসজিদের ইমাম জাহিদুল ইসলাম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে মেহেরপুরে যুবলীগের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

আপলোড টাইম : ০৯:৫৭:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ জুন ২০২০

মেহেরপুর অফিস:
১১ জুন প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আয়োজনে পৌরসভার সম্মেলনকক্ষে এ আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।
আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, ‘কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সীমিত আকারে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা এখন দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। এই সময়ে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ শেষে ২০০৮ সালের এই দিনে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বিশেষ কারাগার থেকে মুক্তি পান। ওয়ান-ইলেভেনের অগণতান্ত্রিক তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক জীবনের দিকে ফিরে তাকাই। তাহলে দেখতে পাই জীবনের বেশির ভাগ সময় তাঁকে থাকতে হয়েছে কারা অভ্যন্তরে। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের এই মহান নেতাকে স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি পশ্চিম পাকিস্তানের চেপে বসা শাসকগোষ্ঠী।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরও বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার চলার পথটা সহজ ছিল না কোনো দিনই। চেপে বসা তত্বাবধায়কদের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ২০০৮ সালের ১১ জুন। তাঁর মুক্তিতে সেদিন যেন মুক্তি পেয়েছিল গণতন্ত্র। ১১ জুন তাই গণতন্ত্রের মুক্তির দিন। আজ আমরা দেখতে পাই দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে একটি চক্র তৎপর। ঘাপটি মেরে আছে রাজনৈতিক অপশক্তিও। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উদারনৈতিক ও প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তির ঐক্য ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তির সম্মিলিত প্রয়াস। গণতন্ত্রের মুক্তির এই দিনে সেই মন্ত্রে নতুন করে উজ্জীবিত হতে হবে।’
জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুর রহমান সাজুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সদর থানা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর আল মামুন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান অপু, শহর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শহীদুজ্জামান সুইট, যুবলীগের নেতা মাহাবুব হসান ডালিম, হাসানুজ্জামান হিলন, সাইদুর রহমান, ইয়ানুস আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হাজি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রায়হানুজ্জামান মিণ্টুসহ যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন পৌর মসজিদের ইমাম জাহিদুল ইসলাম।