ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী পাপ্পু খোড়া নিহত : অস্ত্র-গুলি-বোমা ও ফেনসিডিল উদ্ধার

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৮
  • / ৪৯২ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গার উজলপুর মাঠে মাদকব্যবসায়ীর সাথে পুলিশের গুলির লড়াই : দুই পুলিশ সদস্য আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর খরকুড়োর মাঠে মাদকব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী পাপ্পু ওরফে পাপ্পু খোড়া (৪২) নিহত হয়েছে। গত রাত অনুমান ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে মাদকব্যবসায়ীদের ছোড়া বোমা ও গুলিতে দু’জন পুলিশ জখম হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় শুটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, ৪টি হাত বোমা ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ নিহত পাপ্পু ওরফে পাপ্পু খোড়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের বজলুর ছেলে ও এই অঞ্চলের শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী। তার নামে একটি অস্ত্র মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায়, একদল মাদকব্যবসায়ী ভারত সীমান্ত পার হয়ে বেগমপুরের উজলপুরের খরকুড়ো মাঠ দিয়ে প্রচুর মাদকদ্রব্য পাচার করবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১২টার পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান একদল চৌকস পুলিশ টিম নিয়ে মাদকব্যবসায়ীদের ধরতে ওঁৎ পেতে থাকে। এরপর রাত অনুমান ২টার দিকে মাঠ দিয়ে মাদক পাচারকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক পুলিশের উপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের দু’জন সদস্য সামান্য জখম হলে পুলিশও তাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় পুলিশ ও মাদকব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ১০ মিনিট গুলির লড়াই চলে। একপর্যায়ে মাদকব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় বোমা ও গুলির শব্দে স্থানীয়রা পুলিশের সাথে মাদকব্যবসায়ীদের ধাওয়া করলে মাঠের মধ্যে একজনের গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করলে এলাকাবাসী পুলিশকে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিটি শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী পাপ্পু ওরফে পাপ্পু খোড়ার বলে জানায়। এসময় পুলিশ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিটিকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উজলপুর মাঠের মধ্যে দিয়ে একদল মাদকব্যবসায়ী মাদকের চালান নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছানো মাত্র মাদকব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দীর্ঘ ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে মাদকব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পাপ্পু খোড়া নামের এক শীর্ষ মাদকব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি, চারটি হাত বোমা ও এক বস্তা ফেনসিডিল পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে; অস্ত্র, গুলি ও ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। মাদকব্যবসায়ীদের সাথে গোলাগুলির ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, তার নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলা, চারটি মাদক মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী পাপ্পু খোড়া নিহত : অস্ত্র-গুলি-বোমা ও ফেনসিডিল উদ্ধার

আপলোড টাইম : ০৯:২৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ নভেম্বর ২০১৮

চুয়াডাঙ্গার উজলপুর মাঠে মাদকব্যবসায়ীর সাথে পুলিশের গুলির লড়াই : দুই পুলিশ সদস্য আহত
নিজস্ব প্রতিবেদক: চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর খরকুড়োর মাঠে মাদকব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী পাপ্পু ওরফে পাপ্পু খোড়া (৪২) নিহত হয়েছে। গত রাত অনুমান ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে মাদকব্যবসায়ীদের ছোড়া বোমা ও গুলিতে দু’জন পুলিশ জখম হয়। বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় শুটারগান, ২ রাউন্ড গুলি, ৪টি হাত বোমা ও এক বস্তা ফেনসিডিল উদ্ধার করে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ নিহত পাপ্পু ওরফে পাপ্পু খোড়া চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের বজলুর ছেলে ও এই অঞ্চলের শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী। তার নামে একটি অস্ত্র মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
জানা যায়, একদল মাদকব্যবসায়ী ভারত সীমান্ত পার হয়ে বেগমপুরের উজলপুরের খরকুড়ো মাঠ দিয়ে প্রচুর মাদকদ্রব্য পাচার করবে এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার রাত আনুমানিক ১২টার পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান একদল চৌকস পুলিশ টিম নিয়ে মাদকব্যবসায়ীদের ধরতে ওঁৎ পেতে থাকে। এরপর রাত অনুমান ২টার দিকে মাঠ দিয়ে মাদক পাচারকালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদকব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিক পুলিশের উপর দুটি বোমা নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশের দু’জন সদস্য সামান্য জখম হলে পুলিশও তাদের উপর গুলিবর্ষণ শুরু করে। এসময় পুলিশ ও মাদকব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রায় ১০ মিনিট গুলির লড়াই চলে। একপর্যায়ে মাদকব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় বোমা ও গুলির শব্দে স্থানীয়রা পুলিশের সাথে মাদকব্যবসায়ীদের ধাওয়া করলে মাঠের মধ্যে একজনের গুলিবিদ্ধ একজনকে পড়ে থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করলে এলাকাবাসী পুলিশকে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিটি শীর্ষ মাদকব্যবসায়ী পাপ্পু ওরফে পাপ্পু খোড়ার বলে জানায়। এসময় পুলিশ গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিটিকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উজলপুর মাঠের মধ্যে দিয়ে একদল মাদকব্যবসায়ী মাদকের চালান নিয়ে যাচ্ছে। এ খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছানো মাত্র মাদকব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা ছুড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দীর্ঘ ১০ মিনিট গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে মাদকব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে পাপ্পু খোড়া নামের এক শীর্ষ মাদকব্যবসায়ীর গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান, দুই রাউন্ড গুলি, চারটি হাত বোমা ও এক বস্তা ফেনসিডিল পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে; অস্ত্র, গুলি ও ফেনসিডিল জব্দ করা হয়েছে। মাদকব্যবসায়ীদের সাথে গোলাগুলির ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানার দুই পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, তার নামে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অস্ত্র মামলা, চারটি মাদক মামলাসহ মোট ৬টি মামলা রয়েছে।