ইপেপার । আজবৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শীর্ষ চোরাকারবারী রেজাউল পাঠানের মুক্তি’র দাবিতে শহর ব্যাপী পোস্টারে বিব্রত আওয়ামী যুবলীগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৪:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭
  • / ২৮৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ঘোষিত অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারীদের গডফাদার রেজাউল পাঠানের মুক্তির দাবীদে পোষ্টার সাটানো হয়েছে কোটচাঁদপুর শহরে। আওয়ামী যুবলীগের পরিচয়ে তাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, সৎ নির্ভিক পরোপকারী, গরীব অসহায় ও মেহনতি মানুষের একান্ত আপনজন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণীত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। রেজাউল পাঠানকে কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক দাবী করে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা  ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরে। রাতের আঁধারে একজন শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ীর পক্ষে পক্ষে কোটচাঁদপুর শহরের দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার সাঁটা নিয়ে আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিব্রত দলের উপজেলা কমিটির নীতি নির্ধারকরা। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সংগঠনের মধ্যে। প্রসাশনের পক্ষ থেকেও দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেয়াসহ পোষ্টার গুলি তুলে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ তথ্য জানান পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বুলবুল। কোটচাঁদপুরের বেশ কয়েক জন নেতা সাংবাদিকদের জানান, বিতর্কিত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পোষ্টার সাঁটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হবো। এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বুলবুল বলেন, রেজাউল পাঠান এক সময় আমাদের সংগঠনের নেতা ছিল। তার সংগঠন পরিপন্থি কর্মকান্ডে বেশ আগেই রেজাউল পাঠানকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তার পরও সে এবং তার দোসররা দলের নাম দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকারের জন্য শহরে দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার সেঁটে দিয়েছে।  যা আমাদেরকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।  যুবলীগের পক্ষ তেকে জানানো হয় রেজাউল পাঠান পৌর যুবলীগের কেউ নন।  তবে এ ঘটনায় আইনি  প্রক্রিয়ায় কি করা যায় আমরা বসে চিন্তা ভাবনা অবশ্যই করবো। এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ফারজ্বেল হোসেন মন্ডল এ প্রতিবেদককে বলেন, এর আগে পৌর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে রেজাউল পাঠানের মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমরা তাকে গ্রেফতারের দাবিতে শহরে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে ছিলাম।  এ ঘটনায় আমরাও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছি। উল্লেখ্য কোটচাঁদপুরের আলোচিত মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালানী রেজাউল পাঠান ওরফে রেজাউল দালাল গত ১ ফেব্রুয়ারী  ১টি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন ও ৫শ পিচ ইয়াবাসহ  ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এর আগে গত বছর ৬ জুন দিনগত রাতে  ব্রাজিলের তৈরী ১টি অত্যাধনিক পিস্তল, ৪০ রাউন্ড গুলি, ৫টি হাসুয়া, ফেনসিডিল,ইয়াবা, নগদ টাকা ও পুলিশের পোশাক উদ্ধারসহ  শহরের আদর্শ পাড়া বাসা থেকে র‌্যাব রেজাউল দালালকে আটক করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। এ অবস্থায় তার সাগরেদরা রেজাউল দালালকে পৌর যুবলীগের নেতা পরিচয়ে ও মুক্তির দাবিতে শহরে পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে তার বিরুদ্ধে আগেই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পোষ্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে শহরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শীর্ষ চোরাকারবারী রেজাউল পাঠানের মুক্তি’র দাবিতে শহর ব্যাপী পোস্টারে বিব্রত আওয়ামী যুবলীগ

আপলোড টাইম : ০৪:৪১:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ ২০১৭

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকার ঘোষিত অবৈধ মাদক ব্যবসায়ী, চোরাকারবারীদের গডফাদার রেজাউল পাঠানের মুক্তির দাবীদে পোষ্টার সাটানো হয়েছে কোটচাঁদপুর শহরে। আওয়ামী যুবলীগের পরিচয়ে তাকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর, সৎ নির্ভিক পরোপকারী, গরীব অসহায় ও মেহনতি মানুষের একান্ত আপনজন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণীত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ পরিবারের সন্তান হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। রেজাউল পাঠানকে কোটচাঁদপুর পৌর আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সাংগঠনিক সম্পাদক দাবী করে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা  ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করা হয়েছে। এ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় চলছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর শহরে। রাতের আঁধারে একজন শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ীর পক্ষে পক্ষে কোটচাঁদপুর শহরের দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার সাঁটা নিয়ে আওয়ামীলীগের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বিব্রত দলের উপজেলা কমিটির নীতি নির্ধারকরা। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় সংগঠনের মধ্যে। প্রসাশনের পক্ষ থেকেও দলীয় ভাবে ব্যবস্থা নেয়াসহ পোষ্টার গুলি তুলে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ তথ্য জানান পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বুলবুল। কোটচাঁদপুরের বেশ কয়েক জন নেতা সাংবাদিকদের জানান, বিতর্কিত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে পোষ্টার সাঁটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে বাধ্য হবো। এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বুলবুল বলেন, রেজাউল পাঠান এক সময় আমাদের সংগঠনের নেতা ছিল। তার সংগঠন পরিপন্থি কর্মকান্ডে বেশ আগেই রেজাউল পাঠানকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। তার পরও সে এবং তার দোসররা দলের নাম দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ স্বীকারের জন্য শহরে দেয়ালে দেয়ালে পোষ্টার সেঁটে দিয়েছে।  যা আমাদেরকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।  যুবলীগের পক্ষ তেকে জানানো হয় রেজাউল পাঠান পৌর যুবলীগের কেউ নন।  তবে এ ঘটনায় আইনি  প্রক্রিয়ায় কি করা যায় আমরা বসে চিন্তা ভাবনা অবশ্যই করবো। এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক ফারজ্বেল হোসেন মন্ডল এ প্রতিবেদককে বলেন, এর আগে পৌর আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে রেজাউল পাঠানের মাদক ব্যবসা ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমরা তাকে গ্রেফতারের দাবিতে শহরে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে ছিলাম।  এ ঘটনায় আমরাও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েছি। উল্লেখ্য কোটচাঁদপুরের আলোচিত মাদক, অস্ত্র ও স্বর্ণ চোরাচালানী রেজাউল পাঠান ওরফে রেজাউল দালাল গত ১ ফেব্রুয়ারী  ১টি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন ও ৫শ পিচ ইয়াবাসহ  ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। এর আগে গত বছর ৬ জুন দিনগত রাতে  ব্রাজিলের তৈরী ১টি অত্যাধনিক পিস্তল, ৪০ রাউন্ড গুলি, ৫টি হাসুয়া, ফেনসিডিল,ইয়াবা, নগদ টাকা ও পুলিশের পোশাক উদ্ধারসহ  শহরের আদর্শ পাড়া বাসা থেকে র‌্যাব রেজাউল দালালকে আটক করে। বর্তমানে সে জেল হাজতে রয়েছে। এ অবস্থায় তার সাগরেদরা রেজাউল দালালকে পৌর যুবলীগের নেতা পরিচয়ে ও মুক্তির দাবিতে শহরে পোস্টার সেঁটে দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে তার বিরুদ্ধে আগেই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পোষ্টার লাগানোর বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করে দেখছি। বিষয়টি নিয়ে শহরে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।