ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শীতের শুরুতেই কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত মেহেরপুরের গৃহিনীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১২:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭
  • / ১২৬৮ বার পড়া হয়েছে

হামিদুল ইসলাম: গৃহবধূরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ডালের তৈরি বড়ি বানাতে। শীতকে স্বাগত জানিয়ে প্রত্যেক ঘরে ঘরে চলছে কলাই আর চালকুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর মহোৎসব। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বড়ি তৈরি প্রক্রিয়া। প্রচ- শীতের মধ্যে পাড়া-মহল্লার গৃহিণীরা এ মজাদার খাবার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মেহেরপুর সদরের বিভিন্ন গ্রামে কুমড়া বড়ি দেওয়ায় ব্যস্ত গৃহিনীরা। শীতের আগমনে কুমড়া বড়ি তৈরিতে ধুম পড়েছে মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে। এ মৌসুমে কুমড়া বড়ি তৈরি করে কিছুটা বাড়তি আয় করছেন এলাকার নারীরা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ কাজ করে গ্রামীণ নারীরা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী, মোমিনপুর, আমঝুপী, হিজুলী, রাজনগর গ্রামের নারীরা শীত এলেই এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে। সারা বছরই কমবেশী কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। তবে শীত মৌসুমে এটার চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে আশ্বিন, কার্তিক ও অগ্রহায়ন এ তিন মাস। আর এ সুযোগে গ্রামীণ নারীরাও বাড়তি আয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কুমড়া বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ মাসকালাই ও কুমড়া। বাজারে প্রতিকেজি মাসকলাই ৬০-৭০ টাকা কেজি। একটি বড় আকারের কুমড়া ৪৫-৫০ টাকা। মাসকালাই প্রথমে রোদে শুকিয়ে যাতাকলে ভেঙে পরিষ্কার করে ৩-৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরসঙ্গে ৪-৫ কেজি ওজনের কুমড়া এবং ২০ টাকার মসলা দিতে হয়। এরপর অনেক ভোরে মেয়েরা ঘুম থেকে উঠে সেটি শিল-পাটায় বেটে নিতে হয়। বর্তমানে সেটি মেয়েদের আর করা লাগেনা। অনেক এলাকায় মেশিনের সাহায্যে মাসকালাই ও কুমড়া মিহি করা হচ্ছে। মূলত ভোর থেকে শুরু হয় বড়ি বসানোর কাজ। কুমড়া বড়ি তৈরির পর ২-৩ দিন একটানা রোদে শুকাতে হয়। সূর্যের আলো একটু কম হলে ৩-৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। শুকিয়ে খাবার উপযোগী হলে হাট-বাজারে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করা হয়। নানান জাতের তরকারির সঙ্গে কুমড়া বড়ি রান্না করলে খাবারে আসে ভিন্ন রকমের স্বাদ।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শীতের শুরুতেই কুমড়া বড়ি তৈরিতে ব্যস্ত মেহেরপুরের গৃহিনীরা

আপলোড টাইম : ১২:১৫:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০১৭

হামিদুল ইসলাম: গৃহবধূরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন ডালের তৈরি বড়ি বানাতে। শীতকে স্বাগত জানিয়ে প্রত্যেক ঘরে ঘরে চলছে কলাই আর চালকুমড়া দিয়ে বড়ি বানানোর মহোৎসব। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় বড়ি তৈরি প্রক্রিয়া। প্রচ- শীতের মধ্যে পাড়া-মহল্লার গৃহিণীরা এ মজাদার খাবার তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। মেহেরপুর সদরের বিভিন্ন গ্রামে কুমড়া বড়ি দেওয়ায় ব্যস্ত গৃহিনীরা। শীতের আগমনে কুমড়া বড়ি তৈরিতে ধুম পড়েছে মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে। এ মৌসুমে কুমড়া বড়ি তৈরি করে কিছুটা বাড়তি আয় করছেন এলাকার নারীরা। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ কাজ করে গ্রামীণ নারীরা নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন এবং গ্রামীণ অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে।
মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী, মোমিনপুর, আমঝুপী, হিজুলী, রাজনগর গ্রামের নারীরা শীত এলেই এ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকে। সারা বছরই কমবেশী কুমড়া বড়ি তৈরি হয়। তবে শীত মৌসুমে এটার চাহিদা বেশি থাকে। বিশেষ করে আশ্বিন, কার্তিক ও অগ্রহায়ন এ তিন মাস। আর এ সুযোগে গ্রামীণ নারীরাও বাড়তি আয় করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কুমড়া বড়ি তৈরীর প্রধান উপকরণ মাসকালাই ও কুমড়া। বাজারে প্রতিকেজি মাসকলাই ৬০-৭০ টাকা কেজি। একটি বড় আকারের কুমড়া ৪৫-৫০ টাকা। মাসকালাই প্রথমে রোদে শুকিয়ে যাতাকলে ভেঙে পরিষ্কার করে ৩-৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয়। এরসঙ্গে ৪-৫ কেজি ওজনের কুমড়া এবং ২০ টাকার মসলা দিতে হয়। এরপর অনেক ভোরে মেয়েরা ঘুম থেকে উঠে সেটি শিল-পাটায় বেটে নিতে হয়। বর্তমানে সেটি মেয়েদের আর করা লাগেনা। অনেক এলাকায় মেশিনের সাহায্যে মাসকালাই ও কুমড়া মিহি করা হচ্ছে। মূলত ভোর থেকে শুরু হয় বড়ি বসানোর কাজ। কুমড়া বড়ি তৈরির পর ২-৩ দিন একটানা রোদে শুকাতে হয়। সূর্যের আলো একটু কম হলে ৩-৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগে। শুকিয়ে খাবার উপযোগী হলে হাট-বাজারে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করা হয়। নানান জাতের তরকারির সঙ্গে কুমড়া বড়ি রান্না করলে খাবারে আসে ভিন্ন রকমের স্বাদ।