ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭
  • / ৩০৩ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: হাশরের দিন আল্লাহ মানুষকে বলবেন, আমি ক্ষুধার্ত হয়ে তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম। তুমি আমাকে খেতে দাওনি। আমি পিপাসার্ত ছিলাম, তুমি আমার পিপাসা নিবারণের ব্যবস্থা করনি। আমার পরার মতো কোনো কাপড় ছিল না, তোমার কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি দাওনি। বান্দারা বিস্মিত হবে, আল্লাহর ক্ষেত্রে এসব কিভাবে সম্ভব! পরে আল্লাহ তায়ালা নিজেই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেবেন, আমার ক্ষুধার্ত, পিপাসার্ত ও বস্ত্রহীন বান্দারা তোমার কাছে গিয়েছিল। কিন্তু তোমরা তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসনি। সে সময় সাহায্য-সহযোগিতা করলে আজ আমি তোমাদের সহযোগিতা করতাম। হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে এই কথোপকথন সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং যে কোনো অভাবগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হলো আল্লাহকে সাহায্য-সহযোগিতা করার নামান্তর। চলছে শীতকাল। কোথাও কোথাও এরই মধ্যে জাঁকিয়ে বসেছে প্রচ- শীত। শীত এলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন সমাজের খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। ঠা-া থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো নূন্যতম ব্যবস্থাপনাও তাদের থাকে না। শীতার্ত এই মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা ইমানের দায়িত্ব। এটাও অন্যতম ইবাদত। হাশরের দিন আল্লাহ এটাও বলতে পারেন, আমি শীতার্ত ছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাকে শীত নিবারণের মতো কোনো বস্ত্র দাওনি। শীতার্ত গরিব-দুঃখী মানুষের সামান্য উষ্ণতার ব্যবস্থা করে দিলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই এর উপযুক্ত বদলা দেবেন। কারণ বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন। হাদিসে আছে, যিনি মানুষের ওপর দয়া করেন না, আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দয়া করবেন না। পক্ষান্তরে মানুষের ওপর দয়া করলে আল্লাহও এর প্রতিদান দয়ার মাধ্যমেই দেবেন। ধনী ও সামর্থ্যবানদের ওপর এমনিতেই গরিব-দুঃখীদের হক আছে। কেউ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও গরিব-অসহায় মানুষদের পাশে না দাঁড়ালে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সমাজের ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষ সবার করুণার পাত্র। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানো মানবিক দৃষ্টিতে যেমন জরুরি তেমনি ইসলামেরও দাবি। স্বাভাবিক দান-সদকা থেকে এর ফজিলত অনেক বেশি। সমাজের সামর্থ্যবান ও সম্পদশালীরা মানবিক বিবেচনায় এবং ইমানের তাগিদে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালে কেউ শীতে কষ্ট করার কথা নয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই দায়িত্বানুভূতির অভাব রয়েছে। সবার উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানো ইমানি দায়িত্ব

আপলোড টাইম : ১১:৪০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭

ধর্ম ডেস্ক: হাশরের দিন আল্লাহ মানুষকে বলবেন, আমি ক্ষুধার্ত হয়ে তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম। তুমি আমাকে খেতে দাওনি। আমি পিপাসার্ত ছিলাম, তুমি আমার পিপাসা নিবারণের ব্যবস্থা করনি। আমার পরার মতো কোনো কাপড় ছিল না, তোমার কাছে সাহায্য চেয়েছিলাম। কিন্তু তুমি দাওনি। বান্দারা বিস্মিত হবে, আল্লাহর ক্ষেত্রে এসব কিভাবে সম্ভব! পরে আল্লাহ তায়ালা নিজেই ব্যাখ্যা করে বুঝিয়ে দেবেন, আমার ক্ষুধার্ত, পিপাসার্ত ও বস্ত্রহীন বান্দারা তোমার কাছে গিয়েছিল। কিন্তু তোমরা তাদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসনি। সে সময় সাহায্য-সহযোগিতা করলে আজ আমি তোমাদের সহযোগিতা করতাম। হাদিসে কুদসিতে বর্ণিত আল্লাহ ও বান্দার মধ্যে এই কথোপকথন সুনির্দিষ্ট কয়েকটি বিষয়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং যে কোনো অভাবগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোই হলো আল্লাহকে সাহায্য-সহযোগিতা করার নামান্তর। চলছে শীতকাল। কোথাও কোথাও এরই মধ্যে জাঁকিয়ে বসেছে প্রচ- শীত। শীত এলে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েন সমাজের খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। ঠা-া থেকে রক্ষা পাওয়ার মতো নূন্যতম ব্যবস্থাপনাও তাদের থাকে না। শীতার্ত এই মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করা ইমানের দায়িত্ব। এটাও অন্যতম ইবাদত। হাশরের দিন আল্লাহ এটাও বলতে পারেন, আমি শীতার্ত ছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাকে শীত নিবারণের মতো কোনো বস্ত্র দাওনি। শীতার্ত গরিব-দুঃখী মানুষের সামান্য উষ্ণতার ব্যবস্থা করে দিলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই এর উপযুক্ত বদলা দেবেন। কারণ বান্দার দুঃখ-দুর্দশায় কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালে আল্লাহ তার প্রতি করুণার দৃষ্টি দেন। হাদিসে আছে, যিনি মানুষের ওপর দয়া করেন না, আল্লাহ তায়ালা তার প্রতি দয়া করবেন না। পক্ষান্তরে মানুষের ওপর দয়া করলে আল্লাহও এর প্রতিদান দয়ার মাধ্যমেই দেবেন। ধনী ও সামর্থ্যবানদের ওপর এমনিতেই গরিব-দুঃখীদের হক আছে। কেউ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও গরিব-অসহায় মানুষদের পাশে না দাঁড়ালে এর জন্য জবাবদিহি করতে হবে। সমাজের ছিন্নমূল শীতার্ত মানুষ সবার করুণার পাত্র। তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ানো মানবিক দৃষ্টিতে যেমন জরুরি তেমনি ইসলামেরও দাবি। স্বাভাবিক দান-সদকা থেকে এর ফজিলত অনেক বেশি। সমাজের সামর্থ্যবান ও সম্পদশালীরা মানবিক বিবেচনায় এবং ইমানের তাগিদে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ালে কেউ শীতে কষ্ট করার কথা নয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে সেই দায়িত্বানুভূতির অভাব রয়েছে। সবার উচিত নিজ নিজ অবস্থান থেকে শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানো।