ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিশুরা ফিরে পেল পিতার স্নেহ, ধন্যবাদ এসপি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / ৮৫ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় নুরনাহার বেগম (৩২) ফিরে পেল স্বামীর ঘর ও তিন শিশু ফিরে পেল পিতার স্নেহ। গতকাল রোববার নুরনাহার ও তাঁর স্বামী মিণ্টু মিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হলে এসপি জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মিণ্টু মিয়া তাঁর স্ত্রী নুরনাহার বেগমকে পুনরায় নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার যদুপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর মেয়ে নুরনাহার বেগমের সঙ্গে ১৪ বছর পূর্বে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের মৃত চৈতরের ছেলে মিণ্টুর সঙ্গে বিবাহ হয়। তাঁদের সংসার জীবনে তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে মিণ্টু মিয়া তাঁর স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরই মধ্যে মিন্টু মিয়া পিতৃহীনা নুরনাহারকে তালাক দিয়ে তার মায়ের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় এবং দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। প্রথম স্ত্রী নুরনাহার ও তার সন্তানদের খোঁজখবর নেওয়া ও ভরণ পোষণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, চলতি মাসের ৭ তারিখে নুরনাহার বেগম তাঁর অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসময় পুলিশ সুপার অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁর কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানীকে নির্দেশ দেন। গতকাল নুরনাহার বেগম ও তাঁর স্বামী মিন্টুকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করা হলে, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মিন্টু তার স্ত্রী নুরনাহার বেগমকে পুনঃরায় নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষণ দিতে সম্মত হয়। এ ঘটনায় মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত এসপি জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে সাধারণ মানুষ ধন্যবাদ জানান।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিশুরা ফিরে পেল পিতার স্নেহ, ধন্যবাদ এসপি

আপলোড টাইম : ০৮:৫৯:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

সমীকরণ প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের মধ্যস্থতায় নুরনাহার বেগম (৩২) ফিরে পেল স্বামীর ঘর ও তিন শিশু ফিরে পেল পিতার স্নেহ। গতকাল রোববার নুরনাহার ও তাঁর স্বামী মিণ্টু মিয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির হলে এসপি জাহিদুল ইসলামের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মিণ্টু মিয়া তাঁর স্ত্রী নুরনাহার বেগমকে পুনরায় নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষন দিতে সম্মত হয়।
জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানার যদুপুর গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর মেয়ে নুরনাহার বেগমের সঙ্গে ১৪ বছর পূর্বে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের মৃত চৈতরের ছেলে মিণ্টুর সঙ্গে বিবাহ হয়। তাঁদের সংসার জীবনে তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে। তবে বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে মিণ্টু মিয়া তাঁর স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। এরই মধ্যে মিন্টু মিয়া পিতৃহীনা নুরনাহারকে তালাক দিয়ে তার মায়ের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয় এবং দ্বিতীয় বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। প্রথম স্ত্রী নুরনাহার ও তার সন্তানদের খোঁজখবর নেওয়া ও ভরণ পোষণ দেওয়া বন্ধ করে দেয়। সংসারে চলমান বিরোধ এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, চলতি মাসের ৭ তারিখে নুরনাহার বেগম তাঁর অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি পেতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এসময় পুলিশ সুপার অভিযোগটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাঁর কার্যালয়ে অবস্থিত ‘উইমেন সাপোর্ট সেন্টার’ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই (নিরস্ত্র) মিতা রানীকে নির্দেশ দেন। গতকাল নুরনাহার বেগম ও তাঁর স্বামী মিন্টুকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হাজির করা হলে, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদের প্রত্যক্ষ মধ্যস্থতায় মিন্টু তার স্ত্রী নুরনাহার বেগমকে পুনঃরায় নিজ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে সংসার করতে ও সন্তানদের ভরণ পোষণ দিতে সম্মত হয়। এ ঘটনায় মানবিক পুলিশ সুপার খ্যাত এসপি জাহিদুল ইসলাম জাহিদকে সাধারণ মানুষ ধন্যবাদ জানান।