ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের ‘কবরে শুয়ে থাকার’ পরামর্শ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
  • / ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ব প্রতিবেদন:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে অভিনব পরামর্শ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের র‌্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয়। নিজমেগেন শহরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ পদ্ধতি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চর্চার বিষয়। মানসিক চাপ কমাতে শিক্ষার্থীদেরকে ‘গ্রেভ থেরাপি’ বা কবরে শুয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা। কবরের মতো বড় গর্তে শুয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি পেজ রয়েছে। সেখানে এই পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জায়গায়টিকে ‘পিউরিফিকেশন গ্রেভ’ বা ‘শুদ্ধিকরণ’ কবর হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা এই কবরে শুয়ে শুয়ে তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। তবে শর্ত হচ্ছে, শুধু একটি মাদুর আর একটি বালিশ নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবে। নেওয়া যাবে না মোবাইল ফোন কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। সম্প্রতি ‘পিউরিফিকেশন গ্রেভে’র একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। অভিনব এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। বিষয়টা এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, শুদ্ধিকরণের এই কবরে থাকতে শিক্ষার্থীদের রীতিমতো সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। প্রজেক্টটির উদ্যোক্তা জন হ্যাকিং এ প্রসঙ্গে বলেন, জীবন শেষে মৃত্যু অনিবার্য। এই চিরন্তন সত্যটি ১৮, ১৯ ও ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের বোঝানো খুবই কঠিন। এই পিউরিফিকেশন কবর কিছুটা হলেও তাদের সময় সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিক্ষার্থীদের ‘কবরে শুয়ে থাকার’ পরামর্শ

আপলোড টাইম : ০৯:১৬:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯

বিশ্ব প্রতিবেদন:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে অভিনব পরামর্শ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের র‌্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয়। নিজমেগেন শহরের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ পদ্ধতি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চর্চার বিষয়। মানসিক চাপ কমাতে শিক্ষার্থীদেরকে ‘গ্রেভ থেরাপি’ বা কবরে শুয়ে থাকার পরামর্শ দিয়েছে তারা। কবরের মতো বড় গর্তে শুয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ বিষয়ে একটি পেজ রয়েছে। সেখানে এই পদ্ধতির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। কর্তৃপক্ষ জায়গায়টিকে ‘পিউরিফিকেশন গ্রেভ’ বা ‘শুদ্ধিকরণ’ কবর হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। ওয়েবসাইটে লেখা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা এই কবরে শুয়ে শুয়ে তাদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নিয়ে চিন্তা করতে পারেন। তবে শর্ত হচ্ছে, শুধু একটি মাদুর আর একটি বালিশ নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবে। নেওয়া যাবে না মোবাইল ফোন কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তিগত জিনিসপত্র। সম্প্রতি ‘পিউরিফিকেশন গ্রেভে’র একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। অভিনব এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। বিষয়টা এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, শুদ্ধিকরণের এই কবরে থাকতে শিক্ষার্থীদের রীতিমতো সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। প্রজেক্টটির উদ্যোক্তা জন হ্যাকিং এ প্রসঙ্গে বলেন, জীবন শেষে মৃত্যু অনিবার্য। এই চিরন্তন সত্যটি ১৮, ১৯ ও ২০ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের বোঝানো খুবই কঠিন। এই পিউরিফিকেশন কবর কিছুটা হলেও তাদের সময় সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করবে।