ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৩:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • / ২৩৩ বার পড়া হয়েছে

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মেহেরপুর অফিস:
মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি’র বিরুদ্ধে জোর করে প্রাইভেট পড়ার চাপসহ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন একজন অভিভাবক। লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয় থেকে ৫ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওই অভিভাবক তার লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তার মেয়ে গত বছর মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দেন। কিন্তু তার কাছে প্রাইভেট না পড়ানোর কারণে তিনি দুটি বিষয়ে তার মেয়েকে ফেল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ইতোপূর্বে ২০১৪ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তঁর বড় মেয়েকে শারিরীক ও মানসিকভাবে উক্ত্যক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করতে চাইলে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়ে তার চাকরি রক্ষা করতে অনুরোধ করেন।
কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি এ ধরণের ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা দাবি করেছেন।
তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়। ওই অভিভাবকের মেয়ে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালের ঘটনাটিও অস্বীকার করেন মনিরুজ্জামান মনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা আক্তার বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি লিখিত আভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আনিসুজ্জামানকে প্রধান করে ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগকারী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়েছে তারা না আসাই তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

আপলোড টাইম : ০৩:০৭:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ
মেহেরপুর অফিস:
মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি’র বিরুদ্ধে জোর করে প্রাইভেট পড়ার চাপসহ ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি জেলা প্রশাসক ও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন একজন অভিভাবক। লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিদ্যালয় থেকে ৫ সদস্যর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ওই অভিভাবক তার লিখিত অভিযোগে বলেছেন, তার মেয়ে গত বছর মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি তার মেয়েকে প্রাইভেট পড়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দেন। কিন্তু তার কাছে প্রাইভেট না পড়ানোর কারণে তিনি দুটি বিষয়ে তার মেয়েকে ফেল করিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, ইতোপূর্বে ২০১৪ সালে নবম শ্রেণিতে পড়ার সময় তঁর বড় মেয়েকে শারিরীক ও মানসিকভাবে উক্ত্যক্ত করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রতিবাদ করতে চাইলে স্কুলের কয়েকজন শিক্ষক বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা চেয়ে তার চাকরি রক্ষা করতে অনুরোধ করেন।
কয়েকজন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনি এ ধরণের ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে মোটা অংকের অর্থ জরিমানা দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তারা দাবি করেছেন।
তবে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ সত্য নয়। ওই অভিভাবকের মেয়ে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি অভিযোগ করেছেন। ২০১৪ সালের ঘটনাটিও অস্বীকার করেন মনিরুজ্জামান মনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাসুদা আক্তার বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি লিখিত আভিযোগ পেয়েছি। বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক আনিসুজ্জামানকে প্রধান করে ৫ সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অভিযোগকারী অভিভাবক ও শিক্ষার্থীকে ডাকা হয়েছে তারা না আসাই তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন দিতে পারেনি কমিটি। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গণি বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।