ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শালিসে বৃদ্ধকে মারধর অপমানে আত্মহত্যা!

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮
  • / ৪১৯ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইদহ অফিস: শালিসে মারধর করায় অপমান সইতে না পেরে ইয়ারত আলী মন্ডল (৬০) নামের এক বৃদ্ধ গলাই ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার বসন্তপুর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলী মন্ডলের ছেলে ইয়ারত আলী মন্ডলের জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তার বোনের সাথে বিরোধ চলছিলো। সমস্যা সমাধানে বসন্তপুর বাজারে মঙ্গলবার রাতে শালিস ডাকে ইউপি সদস্য লিয়াতক হোসেন। রাত সাড়ে ৮টায় শালিস কার্যক্রম শুরু হলে ইয়ারত আলী মন্ডল সেখানে উপস্থিত হন। এসময় শালিসদারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবু, ঐ গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে সাবু, স্থানীয় মাতব্বর আলাউদ্দিন ও সলিম মৃধাসহ স্থানীয় লোকজন। নিহতের কন্যা আন্না খাতুন অভিযোগ করেন, শালিসের এক পর্যায়ে একতরফা রায় ঘোষনা করলে তার বাবা ইয়ারত আলী মন্ডল তা মানতে পারেনি। শালিসের রায় অগ্রাহ্য করায় ইয়ারত আলী মন্ডলকে লোকজনের মধ্যেই মারধর করেন ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেন। এসময় শালিসে উপস্থিতরা বৃদ্ধ লোকটিকে মারধরসহ নানা ভাবে লাঞ্চিত করেন। অপমান সইতে না পেরে ঐ রাতেই ইয়ারত আলী মন্ডল নিরুদ্দেশ হন। এরপর বাড়ীর পাশের বাগানে গলাই রশি দেওয়া অবস্থায় লাশ দেখতে পায় তার স্বজনরা। শৈলকুপা থানা পুলিশকে খবর দিলে বাগান থেকে বৃদ্ধ’র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে বুধবার মর্গে পাঠায়। শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, এলাকার মেম্বর লিয়াকত হোসেন শালিস বৈঠকের মধ্যেই বৃদ্ধকে মারধর করে বলে শুনেছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃদ্ধর স্বজনদের অভিযোগ নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। অপরাধীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে ওসি জানান। এদিকে নিহতের কন্যা আন্না খাতুন অভিযোগ করেন, তার বাবাকে শালিসের নামে জুতা পেটা করে। ফলে সে ক্ষোভে অপমানে আত্মহত্যা করে।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শালিসে বৃদ্ধকে মারধর অপমানে আত্মহত্যা!

আপলোড টাইম : ০৯:৫৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৮

ঝিনাইদহ অফিস: শালিসে মারধর করায় অপমান সইতে না পেরে ইয়ারত আলী মন্ডল (৬০) নামের এক বৃদ্ধ গলাই ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামে। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, শৈলকুপার বসন্তপুর গ্রামের মৃত মাহমুদ আলী মন্ডলের ছেলে ইয়ারত আলী মন্ডলের জমিজমা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তার বোনের সাথে বিরোধ চলছিলো। সমস্যা সমাধানে বসন্তপুর বাজারে মঙ্গলবার রাতে শালিস ডাকে ইউপি সদস্য লিয়াতক হোসেন। রাত সাড়ে ৮টায় শালিস কার্যক্রম শুরু হলে ইয়ারত আলী মন্ডল সেখানে উপস্থিত হন। এসময় শালিসদারদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাবু, ঐ গ্রামের হোসেন মোল্লার ছেলে সাবু, স্থানীয় মাতব্বর আলাউদ্দিন ও সলিম মৃধাসহ স্থানীয় লোকজন। নিহতের কন্যা আন্না খাতুন অভিযোগ করেন, শালিসের এক পর্যায়ে একতরফা রায় ঘোষনা করলে তার বাবা ইয়ারত আলী মন্ডল তা মানতে পারেনি। শালিসের রায় অগ্রাহ্য করায় ইয়ারত আলী মন্ডলকে লোকজনের মধ্যেই মারধর করেন ইউপি সদস্য লিয়াকত হোসেন। এসময় শালিসে উপস্থিতরা বৃদ্ধ লোকটিকে মারধরসহ নানা ভাবে লাঞ্চিত করেন। অপমান সইতে না পেরে ঐ রাতেই ইয়ারত আলী মন্ডল নিরুদ্দেশ হন। এরপর বাড়ীর পাশের বাগানে গলাই রশি দেওয়া অবস্থায় লাশ দেখতে পায় তার স্বজনরা। শৈলকুপা থানা পুলিশকে খবর দিলে বাগান থেকে বৃদ্ধ’র ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে বুধবার মর্গে পাঠায়। শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন জানান, এলাকার মেম্বর লিয়াকত হোসেন শালিস বৈঠকের মধ্যেই বৃদ্ধকে মারধর করে বলে শুনেছি। বৃহস্পতিবার দুপুরে বৃদ্ধর স্বজনদের অভিযোগ নিয়ে থানায় আসতে বলেছি। অপরাধীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে ওসি জানান। এদিকে নিহতের কন্যা আন্না খাতুন অভিযোগ করেন, তার বাবাকে শালিসের নামে জুতা পেটা করে। ফলে সে ক্ষোভে অপমানে আত্মহত্যা করে।