ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শারীরিক অবস্থার অবনতি; মামলা, তিনজন আটক

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:১৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯
  • / ২৫৫ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব রিগানের ওপর হামলার ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা শোয়ের রিগানের ওপর হামলার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রিগানের পিতা আজম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ ঘটনার পর সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার তিনজন আসামিকে আটক করেছে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জ্বিনতলা মল্লিকপাড়ার বদরউদ্দিনের ছেলে ফিরোজ খান (৩২), বাগানপাড়ার আকুব্বারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫) ও জ্বিনতলা মল্লিকপাড়ার মৃত আজিজুর রহমান আরজুর ছেলে আতিকুর রহমান রাব্বি (৩৬)। গতকাল শুক্রবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থিত চায়ের দোকানের মালিক রাসুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানের অবস্থার অবনতি হয়েছে। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল রাতে অপারেশন থিয়েটারে রিগানের অস্ত্রোপচার চলছিল।
শোয়েব রিগানের পিতা আজম বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষকে হত্যা করা হলেও এত জঘন্যভাবে কেউ কাউকে কুপিয়ে হত্যা করেনি। রিগানকে এমন নির্মমভাবে কুপিয়েছে, যা দেখে আমি একজন হার্টের রোগী হয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামির বিচার চাই। গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ মে রিগানের মা অসুস্থজনিত কারণে মারা যান। দুই ভাইয়ের মধ্যে রিগান ছোট। বড় ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন জোয়ার্দ্দার অনিক বলেন, নামধারী সন্ত্রাসীরা যেভাবে রিগানকে কুপিয়েছে, তা খুবই জঘন্য। এমনকি রিগানের ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে চিকিৎসকেরাও ঘাবড়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা-কর্মীর ওপর বারবার জঘন্যভাবে হামলা চালাচ্ছে। মামলা হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর আগে থানা থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে ছাত্রলীগের কর্মী মিরাজকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের নেতা বিপুলকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তারা আজ কেউ পঙ্গু আর কেউ ক্ষত নিয়েই চলাফেরা করছে।’ অনিক জোয়ার্দ্দার আরও বলেন, ‘রিগামের মা বেঁচে নেই। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করেছে পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তিন আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ হামলা যে চায়ের দোকানের সামনে ঘটেছিল, সেই চায়ের দোকানি রাসুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শারীরিক অবস্থার অবনতি; মামলা, তিনজন আটক

আপলোড টাইম : ১১:১৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০১৯

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা শোয়েব রিগানের ওপর হামলার ঘটনা
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা শোয়ের রিগানের ওপর হামলার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে রিগানের পিতা আজম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। এ ঘটনার পর সদর থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার তিনজন আসামিকে আটক করেছে। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার জ্বিনতলা মল্লিকপাড়ার বদরউদ্দিনের ছেলে ফিরোজ খান (৩২), বাগানপাড়ার আকুব্বারের ছেলে নজরুল ইসলাম (৩৫) ও জ্বিনতলা মল্লিকপাড়ার মৃত আজিজুর রহমান আরজুর ছেলে আতিকুর রহমান রাব্বি (৩৬)। গতকাল শুক্রবার তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলের পাশে অবস্থিত চায়ের দোকানের মালিক রাসুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
এ দিকে ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানের অবস্থার অবনতি হয়েছে। ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গতকাল রাতে অপারেশন থিয়েটারে রিগানের অস্ত্রোপচার চলছিল।
শোয়েব রিগানের পিতা আজম বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনো মানুষকে হত্যা করা হলেও এত জঘন্যভাবে কেউ কাউকে কুপিয়ে হত্যা করেনি। রিগানকে এমন নির্মমভাবে কুপিয়েছে, যা দেখে আমি একজন হার্টের রোগী হয়ে নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়েছি। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেক আসামির বিচার চাই। গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলা করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের ১৩ মে রিগানের মা অসুস্থজনিত কারণে মারা যান। দুই ভাইয়ের মধ্যে রিগান ছোট। বড় ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ করছেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাইমেন জোয়ার্দ্দার অনিক বলেন, নামধারী সন্ত্রাসীরা যেভাবে রিগানকে কুপিয়েছে, তা খুবই জঘন্য। এমনকি রিগানের ক্ষতবিক্ষত শরীর দেখে চিকিৎসকেরাও ঘাবড়ে গেছেন। তিনি আরও বলেন, ‘এ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা-কর্মীর ওপর বারবার জঘন্যভাবে হামলা চালাচ্ছে। মামলা হলেও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর আগে থানা থেকে মাত্র কয়েক গজ দূরে ছাত্রলীগের কর্মী মিরাজকে কুপিয়ে পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের নেতা বিপুলকেও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। তারা আজ কেউ পঙ্গু আর কেউ ক্ষত নিয়েই চলাফেরা করছে।’ অনিক জোয়ার্দ্দার আরও বলেন, ‘রিগামের মা বেঁচে নেই। আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করছি। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। স্কয়ার হাসপাতালে রেফার্ড করেছে পঙ্গু হাসপাতালের চিকিৎসকেরা।’
চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ খান বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় তিন আসামিকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এ হামলা যে চায়ের দোকানের সামনে ঘটেছিল, সেই চায়ের দোকানি রাসুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ জুলাই বৃহস্পতিবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা শোয়েব রিগানকে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।