ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শান্তি ও ন্যায়ের উৎস

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০
  • / ২০৬ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম প্রতিবেদন
শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শিক্ষা হলো কোরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ, অনুকরণ। যে যত বেশি অনুসরণ করবে সে তত বেশি শান্তি অর্জন করবে। মনে রাখতে হবে, কোরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ বাদ দিয়ে কখনো সফলতা অর্জন করা যাবে না। শান্তি ও ন্যায়ের উৎস কোরআন ও সুন্নাহ। এ কারণেই তো রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দুটি বিষয় রেখে গেলাম তোমরা যদি তা দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ কর, তাহলে পথভ্রষ্ট হবে না। সে দুটো বিষয় হলো কোরআন আর সুন্নাহ।’ সুতরাং আসুন আমরা কোরআন ও সুন্নাহ এবং কোরআন ও সুন্নাহ থেকে উৎসারিত শরিয়তে মুতাহহারার আরও যেসব বিধান আছে সেসব বাস্তবায়নের ব্যাপারে যত্নবান হই। আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আজকে আমরা একদিকে যেমন শান্তি ও ন্যায়ের জন্য অস্থির হয়ে আছি, অন্যদিকে ন্যায়ের উৎস কোরআন ও সুন্নাহ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তাহলে চিন্তা করুন আমরা শান্তি অর্জন করব কীভাবে? ন্যায় প্রতিষ্ঠা করব কীভাবে? কারণ কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই শান্তি পাওয়া যাবে না। সুতরাং আসুন আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোরআন ও সুন্নাহর ওপর দৃঢ়তার সঙ্গে আমল করি এবং অশান্তির পথ পরিহার করি। অশান্তির পথ হলো গুনাহের পথ, অর্থাৎ যে কাজ করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন, যা বললে অসন্তুষ্ট হবেন, যেখানে গমন করলে অসন্তুষ্ট হবেন, যা খেলে অসন্তুষ্ট হবেন, সব বর্জন করতে হবে। এক কথায় মহান আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন এমন সবকিছু পরিহার করতে হবে এবং সেইসঙ্গে পারস্পরিক যত হক আছে, সবার হক আদায় করতে হবে। পরস্পরে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণে মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে যে কল্যাণ নিজের জন্য পছন্দ করে তার ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করে।’ বুখারি, মুসলিম। সুতরাং পরস্পরে ভ্রাতৃত্বে¡র বন্ধন রক্ষা করতে হবে। বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা করতে হবে, অসহায় দুর্বল মানুষদের ওপর দয়া করতে হবে। কারও ওপর জুলুম করা যাবে না। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে। দীনি শিক্ষা অর্জন ও তার প্রসার করতে হবে। সর্বোপরি শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে হবে। আর প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিজীবনে কিছু খারাপ অভ্যাস আছে, তা বিশেষভাবে পরিহার করতে হবে। যেমন হিংসা, ক্রোধ, পরনিন্দা, কূটনামি, মোনাফেকির মনমানসিকতা পরিহার করতে হবে। সবসময় নিজের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। সাহাবায়ে কিরাম নিজে না খেয়ে অন্যকে খাইয়েছেন সুতরাং আমরাও যদি এ কাজগুলো করতে শুরু করি ইনশা আল্লাহ আমরা নিজেরাও শান্তি পাব, শান্তিতে থাকতে পারব। সঙ্গে সঙ্গে সমাজেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শান্তি ও ন্যায়ের উৎস

আপলোড টাইম : ০৯:২৭:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ ২০২০

ধর্ম প্রতিবেদন
শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় ইসলামের শিক্ষা হলো কোরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ, অনুকরণ। যে যত বেশি অনুসরণ করবে সে তত বেশি শান্তি অর্জন করবে। মনে রাখতে হবে, কোরআন ও সুন্নাহর অনুসরণ বাদ দিয়ে কখনো সফলতা অর্জন করা যাবে না। শান্তি ও ন্যায়ের উৎস কোরআন ও সুন্নাহ। এ কারণেই তো রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের মাঝে দুটি বিষয় রেখে গেলাম তোমরা যদি তা দৃঢ়ভাবে বুকে ধারণ কর, তাহলে পথভ্রষ্ট হবে না। সে দুটো বিষয় হলো কোরআন আর সুন্নাহ।’ সুতরাং আসুন আমরা কোরআন ও সুন্নাহ এবং কোরআন ও সুন্নাহ থেকে উৎসারিত শরিয়তে মুতাহহারার আরও যেসব বিধান আছে সেসব বাস্তবায়নের ব্যাপারে যত্নবান হই। আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, আজকে আমরা একদিকে যেমন শান্তি ও ন্যায়ের জন্য অস্থির হয়ে আছি, অন্যদিকে ন্যায়ের উৎস কোরআন ও সুন্নাহ থেকে দূরে সরে যাচ্ছি। তাহলে চিন্তা করুন আমরা শান্তি অর্জন করব কীভাবে? ন্যায় প্রতিষ্ঠা করব কীভাবে? কারণ কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে গিয়ে কোনোভাবেই শান্তি পাওয়া যাবে না। সুতরাং আসুন আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠায় কোরআন ও সুন্নাহর ওপর দৃঢ়তার সঙ্গে আমল করি এবং অশান্তির পথ পরিহার করি। অশান্তির পথ হলো গুনাহের পথ, অর্থাৎ যে কাজ করলে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন, যা বললে অসন্তুষ্ট হবেন, যেখানে গমন করলে অসন্তুষ্ট হবেন, যা খেলে অসন্তুষ্ট হবেন, সব বর্জন করতে হবে। এক কথায় মহান আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবেন এমন সবকিছু পরিহার করতে হবে এবং সেইসঙ্গে পারস্পরিক যত হক আছে, সবার হক আদায় করতে হবে। পরস্পরে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ ততক্ষণে মুমিন হতে পারবে না, যতক্ষণ না সে যে কল্যাণ নিজের জন্য পছন্দ করে তার ভাইয়ের জন্যও তা পছন্দ করে।’ বুখারি, মুসলিম। সুতরাং পরস্পরে ভ্রাতৃত্বে¡র বন্ধন রক্ষা করতে হবে। বড়দের প্রতি শ্রদ্ধা করতে হবে, অসহায় দুর্বল মানুষদের ওপর দয়া করতে হবে। কারও ওপর জুলুম করা যাবে না। সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করতে হবে। দীনি শিক্ষা অর্জন ও তার প্রসার করতে হবে। সর্বোপরি শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করতে হবে। আর প্রতিটি মানুষের ব্যক্তিজীবনে কিছু খারাপ অভ্যাস আছে, তা বিশেষভাবে পরিহার করতে হবে। যেমন হিংসা, ক্রোধ, পরনিন্দা, কূটনামি, মোনাফেকির মনমানসিকতা পরিহার করতে হবে। সবসময় নিজের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দেওয়ার মানসিকতা সৃষ্টি করতে হবে। সাহাবায়ে কিরাম নিজে না খেয়ে অন্যকে খাইয়েছেন সুতরাং আমরাও যদি এ কাজগুলো করতে শুরু করি ইনশা আল্লাহ আমরা নিজেরাও শান্তি পাব, শান্তিতে থাকতে পারব। সঙ্গে সঙ্গে সমাজেও শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন।