ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শর্ত পূরণ দূরুহ : ২৮ জুনের মধ্যে ৮৫ ভাগ ট্যাক্স আদায়ের দাবি

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৬:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮
  • / ৪৩১ বার পড়া হয়েছে

চুয়াডাঙ্গা পৌরকর আদায়ে নাগরিকদের দ্বারে দ্বারে মেয়র-কাউন্সিলররা
নিজস্ব প্রতিবেদক: পৌরকর পৌরসভার রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস। পৌরকরের রাজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি, অফিস রক্ষনাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হয়ে থাকে এবং দাতা সংস্থা শর্তসাপেক্ষে পৌরসভার উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় দাতা সংস্থা কর্তৃক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। দাতা সংস্থার কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তি ও বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রাখতে আর্থিক সহায়তা দানকারী দাতা সংস্থা পৌরসভার রাজস্ব আয় নূন্যতম শতকরা ৮৫ ভাগ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধ্যতামূলক করেছে। তাই আগামী ২৮ জুনের মধ্যে বকেয়া পৌরকর পরিশোধে ১৫% বিশেষ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌর পরিষদ চত্বর থেকে মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর নেতৃত্বে ‘পৌরকর আদায়ের বিশেষ অভিযান’ শুরু করা হয়। পৌরকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিন চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার, নিচের বাজার ও ফেরীঘাট রোড এলাকার দোকানদার, নানা শ্রেণীর ব্যবসায়ী, দিনমজুর, ভ্যানচালক, অটোচালক, রিক্সা চালক, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় পৌর মেয়র জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পৌর এলাকার উন্নয়নে প্রধানত অর্থ সরবরাহ হয়ে থাকে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে। তাদের শর্ত না মানলে আর্থিক সহায়তা কোন কোন ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবারও উদাহরণ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম। পৌরসভার সম্মানিত নাগরিকগণের নিকট বিপুল অংকের পৌরকর অনাদায়ি থাকায় পৌরসভার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। ফলে দাতা সংস্থার শর্ত পূরণ দূরুহ হয়ে পড়েছে। আমরা বিভিন্ন মহল্লায়-মহল্লায় স্বশরীরে হাজির হয়ে পৌরকর পরিশোধের অনুরোধ করে আসছি। ইতোমধ্যে অনেক পৌরকরদাতা আমাদের এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং এখনও পর্যন্ত যে সকল সম্মানিত পৌরকরদাতা বকেয়াসহ চলতি সনের পৌরকর পরিশোধ করেননি তাদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, বকেয়া ও চলতি সনের পৌরকর পরিশোধ পূর্বক পৌরসভার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখাসহ আরো গতিশীল করতে সার্বিক সহযোগিতা করুন। পৌরকর আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ পৌরসভা সক্ষম হলে ভবিষ্যতে দাতা সংস্থার উন্নয়ন অনুদান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে যা পৌর উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং চুয়াডাঙ্গা মডেল পৌরসভা গঠনের লক্ষ্য পূরণ হবে। সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ উন্নয়নের সুফল ভোগ করবেন। আর যদি আমরা চলতি অর্থবছরে পৌরকর শতকরা ৮৫ ভাগ আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হই তাহলে দাতা সংস্থার উন্নয়ন সহায়তা অনুদান হারাবো। যা পৌরসভার উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে সম্মানিত নাগরিক কাংখিত পৌর সেবা হতে বঞ্চিত হবেন; যা আদৌও কাম্য নয়। বর্তমান অবস্থায় দাতা সংস্থার উন্নয়ন সহায়তা ব্যতিত পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমাদের প্রাণপ্রিয় সম্মানিত পৌরবাসীর কাছে বিশেষ অনুরোধসহ আহ্বান পৌরকর ও পানির বিল সময়মত পরিশোধ করে পৌরসভার উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা করুন। আসুন আমরা সকলে মিলে সুপরিকল্পিত নগর গড়ে তুলি।
পৌরকর আদায়ের বিশেষ অভিযানে অংশ নেন প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, রাসেদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিনা আক্তার, আবুল হোসেন, মুন্সী রেজাউল করিম, মোছা. নাজরিন পারভীন, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মোস্তফা মাস্তার, সুলতানারা রতœা ও শেফালী খাতুন।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শর্ত পূরণ দূরুহ : ২৮ জুনের মধ্যে ৮৫ ভাগ ট্যাক্স আদায়ের দাবি

আপলোড টাইম : ০৬:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ মে ২০১৮

চুয়াডাঙ্গা পৌরকর আদায়ে নাগরিকদের দ্বারে দ্বারে মেয়র-কাউন্সিলররা
নিজস্ব প্রতিবেদক: পৌরকর পৌরসভার রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস। পৌরকরের রাজস্ব আয় দিয়ে কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি, অফিস রক্ষনাবেক্ষণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন হয়ে থাকে এবং দাতা সংস্থা শর্তসাপেক্ষে পৌরসভার উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভায় দাতা সংস্থা কর্তৃক উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। দাতা সংস্থার কোন উন্নয়নমূলক প্রকল্পে অন্তর্ভূক্তি ও বর্তমান উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রাখতে আর্থিক সহায়তা দানকারী দাতা সংস্থা পৌরসভার রাজস্ব আয় নূন্যতম শতকরা ৮৫ ভাগ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বাধ্যতামূলক করেছে। তাই আগামী ২৮ জুনের মধ্যে বকেয়া পৌরকর পরিশোধে ১৫% বিশেষ ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে পৌর পরিষদ চত্বর থেকে মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপুর নেতৃত্বে ‘পৌরকর আদায়ের বিশেষ অভিযান’ শুরু করা হয়। পৌরকর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলমান থাকবে বলে জানানো হয়েছে। অভিযানের প্রথম দিন চুয়াডাঙ্গা বড় বাজার, নিচের বাজার ও ফেরীঘাট রোড এলাকার দোকানদার, নানা শ্রেণীর ব্যবসায়ী, দিনমজুর, ভ্যানচালক, অটোচালক, রিক্সা চালক, পথচারী ও সাধারণ মানুষের হাতে হাতে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এ সময় পৌর মেয়র জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পৌর এলাকার উন্নয়নে প্রধানত অর্থ সরবরাহ হয়ে থাকে বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছ থেকে। তাদের শর্ত না মানলে আর্থিক সহায়তা কোন কোন ক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবারও উদাহরণ রয়েছে। সেক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থেকে যায় বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম। পৌরসভার সম্মানিত নাগরিকগণের নিকট বিপুল অংকের পৌরকর অনাদায়ি থাকায় পৌরসভার রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না। ফলে দাতা সংস্থার শর্ত পূরণ দূরুহ হয়ে পড়েছে। আমরা বিভিন্ন মহল্লায়-মহল্লায় স্বশরীরে হাজির হয়ে পৌরকর পরিশোধের অনুরোধ করে আসছি। ইতোমধ্যে অনেক পৌরকরদাতা আমাদের এই অনুরোধে সাড়া দিয়েছেন। আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং এখনও পর্যন্ত যে সকল সম্মানিত পৌরকরদাতা বকেয়াসহ চলতি সনের পৌরকর পরিশোধ করেননি তাদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি যে, বকেয়া ও চলতি সনের পৌরকর পরিশোধ পূর্বক পৌরসভার উন্নয়ন ধারা অব্যাহত রাখাসহ আরো গতিশীল করতে সার্বিক সহযোগিতা করুন। পৌরকর আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ পৌরসভা সক্ষম হলে ভবিষ্যতে দাতা সংস্থার উন্নয়ন অনুদান অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে যা পৌর উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং চুয়াডাঙ্গা মডেল পৌরসভা গঠনের লক্ষ্য পূরণ হবে। সম্মানিত নাগরিকবৃন্দ উন্নয়নের সুফল ভোগ করবেন। আর যদি আমরা চলতি অর্থবছরে পৌরকর শতকরা ৮৫ ভাগ আদায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হই তাহলে দাতা সংস্থার উন্নয়ন সহায়তা অনুদান হারাবো। যা পৌরসভার উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে সম্মানিত নাগরিক কাংখিত পৌর সেবা হতে বঞ্চিত হবেন; যা আদৌও কাম্য নয়। বর্তমান অবস্থায় দাতা সংস্থার উন্নয়ন সহায়তা ব্যতিত পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই আমাদের প্রাণপ্রিয় সম্মানিত পৌরবাসীর কাছে বিশেষ অনুরোধসহ আহ্বান পৌরকর ও পানির বিল সময়মত পরিশোধ করে পৌরসভার উন্নয়নে অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা করুন। আসুন আমরা সকলে মিলে সুপরিকল্পিত নগর গড়ে তুলি।
পৌরকর আদায়ের বিশেষ অভিযানে অংশ নেন প্যানেল মেয়র একরামুল হক মুক্তা, পৌর কাউন্সিলর সিরাজুল ইসলাম মনি, রাসেদুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, শাহিনা আক্তার, আবুল হোসেন, মুন্সী রেজাউল করিম, মোছা. নাজরিন পারভীন, জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মোস্তফা মাস্তার, সুলতানারা রতœা ও শেফালী খাতুন।