ইপেপার । আজমঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শরিয়তের মানদণ্ড কোরান

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬
  • / ৬০৯ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। একজন মানুষ পরিপূর্ণভাবে ইসলামি শরিয়ত মেনে চললেই পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারে। এখানে কাটছাঁটের কোনো সুযোগ নেই। আল্লাহ? তায়ালা বলেন, এটা (কোরান) মানুষের জন্য জ্ঞান, হিদায়াত (পথনির্দেশক) এবং রহমত। (সূরা জাসিয়া : ২০)। রাসুল (সা.) তোমাদের কাছে যা কিছু নিয়ে আসেন, তোমরা তা গ্রহণ কর আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক। (সূরা হাশর : ৭)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যতদিন তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট? হবে না। সে দুটি হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের (সা.) সুন্নাহ (মিশকাত ২২৪ পৃষ্ঠা)। শরিয়তের মানদণ্ড চারটি। ১. কোরানুল কারিম, ২. সুন্নাহ বা হাদিস, ৩. ইজমা এবং ৪. কিয়াস। শরিয়তের প্রথম ও প্রধান মানদণ্ড ও পবিত্র দলিল হচ্ছে পবিত্র কোরানুল কারিম। পবিত্র কোরান আল্লাহর বাণী। মানবজাতির হিদায়াতবর্তিকা। আসমানি কিতাবসমূহের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ। এটি হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর ওপর আরবি ভাষায় নাযিল হয়। কারণ মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর নিজের ভাষা এবং তাঁর কওমের ভাষা ছিল আরবি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য (সূরা ইবরাহিম : ৪)। লাওহে মাহফুজ থেকে কদর রাতে পৃথিবীর নিকটতম আসমান বায়তুল ইজ্জাহ নামক স্থানে সম্পূর্ণ কোরান একসঙ্গে নাযিল হয়। এরপর সেখান থেকে রমজান মাসে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মধ্যস্থতায় মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর কাছে সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাযিল হয়। তখন তিনি হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন। এরপর বেশ কিছুদিন কোরান নাযিল হওয়া বন্ধ থাকে। এরপর কোরান খণ্ডাকারে নাযিল হতে থাকে। কখনও পাঁচ আয়াত, কখনও দশ আয়াত, কখনও একটি আয়াতের অংশ বিশেষ এবং কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল হয়। এভাবে অবস্থা, প্রয়োজন ও বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তেইশ বছর নবুওয়তি জীবনে পবিত্র কোরান নাযিল হয়। আল্লাহ? তায়ালা বলেন, আর এ কোরানকে অল্প অল্প করে নাযিল করেছি, যেন আপনি তা ক্রমে ক্রমে লোকদের শোনান, আর তা যথাযথভাবে নাযিল করেছি (সূরা বনি ইসরাইল : ১০৬)। সুতরাং কোরানের বিধান লঙ্ঘনের কোনোই সুযোগ নেই।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শরিয়তের মানদণ্ড কোরান

আপলোড টাইম : ১১:৫৯:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০১৬

ধর্ম ডেস্ক: ইসলাম একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। একজন মানুষ পরিপূর্ণভাবে ইসলামি শরিয়ত মেনে চললেই পূর্ণাঙ্গ মুমিন হতে পারে। এখানে কাটছাঁটের কোনো সুযোগ নেই। আল্লাহ? তায়ালা বলেন, এটা (কোরান) মানুষের জন্য জ্ঞান, হিদায়াত (পথনির্দেশক) এবং রহমত। (সূরা জাসিয়া : ২০)। রাসুল (সা.) তোমাদের কাছে যা কিছু নিয়ে আসেন, তোমরা তা গ্রহণ কর আর যা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক। (সূরা হাশর : ৭)। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি তোমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, তোমরা যতদিন তা দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবে, ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট? হবে না। সে দুটি হলো আল্লাহর কিতাব ও রাসুলের (সা.) সুন্নাহ (মিশকাত ২২৪ পৃষ্ঠা)। শরিয়তের মানদণ্ড চারটি। ১. কোরানুল কারিম, ২. সুন্নাহ বা হাদিস, ৩. ইজমা এবং ৪. কিয়াস। শরিয়তের প্রথম ও প্রধান মানদণ্ড ও পবিত্র দলিল হচ্ছে পবিত্র কোরানুল কারিম। পবিত্র কোরান আল্লাহর বাণী। মানবজাতির হিদায়াতবর্তিকা। আসমানি কিতাবসমূহের মধ্যে সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ। এটি হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর ওপর আরবি ভাষায় নাযিল হয়। কারণ মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর নিজের ভাষা এবং তাঁর কওমের ভাষা ছিল আরবি। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, আমি প্রত্যেক রাসুলকেই তার স্বজাতির ভাষাভাষী করে পাঠিয়েছি, তাদের কাছে পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য (সূরা ইবরাহিম : ৪)। লাওহে মাহফুজ থেকে কদর রাতে পৃথিবীর নিকটতম আসমান বায়তুল ইজ্জাহ নামক স্থানে সম্পূর্ণ কোরান একসঙ্গে নাযিল হয়। এরপর সেখান থেকে রমজান মাসে হজরত জিবরাইল (আ.)-এর মধ্যস্থতায় মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা.)-এর কাছে সূরা আলাকের প্রথম পাঁচটি আয়াত নাযিল হয়। তখন তিনি হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন ছিলেন। এরপর বেশ কিছুদিন কোরান নাযিল হওয়া বন্ধ থাকে। এরপর কোরান খণ্ডাকারে নাযিল হতে থাকে। কখনও পাঁচ আয়াত, কখনও দশ আয়াত, কখনও একটি আয়াতের অংশ বিশেষ এবং কখনও একটি পূর্ণাঙ্গ সূরা নাযিল হয়। এভাবে অবস্থা, প্রয়োজন ও বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর তেইশ বছর নবুওয়তি জীবনে পবিত্র কোরান নাযিল হয়। আল্লাহ? তায়ালা বলেন, আর এ কোরানকে অল্প অল্প করে নাযিল করেছি, যেন আপনি তা ক্রমে ক্রমে লোকদের শোনান, আর তা যথাযথভাবে নাযিল করেছি (সূরা বনি ইসরাইল : ১০৬)। সুতরাং কোরানের বিধান লঙ্ঘনের কোনোই সুযোগ নেই।