ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শনির বলয়জুড়ে আরও পাঁচটি ক্ষুদ্র চাঁদ, অবাক বিজ্ঞানীরা

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯
  • / ৩১০ বার পড়া হয়েছে

প্রযুক্তি ডেস্ক:
শনির মাটিতে হারিয়ে যাওয়ার পরও তথ্য দিল ক্যাসিনি। শনি গ্রহের বলয়ের কাছে রয়েছে আরও পাঁচটি ক্ষুদ্র চাঁদ বা উপগ্রহ। গত বৃহস্পতিবার ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ২০১৭ সালে শনির সব থেকে কাছ দিয়ে ফ্লাই বাই’র সময় বলয়ের কাছে থাকা ওই ছোট্ট চাঁদগুলির ছবি তুলেছিল নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনি। তথ্য বলছে, ওই ছোট চাঁদগুলি শনিবলয়ের একদম কাছে রয়েছে। চাঁদগুলির ব্যাস আট থেকে ১১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। কোনোটার গোলাকার, কোনওটা উড়ন্ত চাকির মতো তো কোনওটা আলুর আকারের। বিজ্ঞানীরা শনির নতুন আবিষ্কৃত চাঁদগুলির নাম দিয়েছেন প্যান, ডাফনিস, অ্যাটলাস, প্যান্ডোরা এবং প্রোমিথিউস। তার মধ্যে প্যান এবং ডাফনিস শনির খুব কাছে রয়েছে। ফলে শনির বলয়ের কণাগুলিতে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয় এই দুটি চাঁদ। বাকি তিনটি চাঁদ কিছুটা দূরে থাকায় বলয়ের কণার দ্বারা প্রভাবিত হলেও শনির অন্যতম বড় চাঁদ এনসেলেডাসের থেকে নির্গত বাষ্প এবং বরফকণার স্তরও পড়ে যাচ্ছে সেগুলির উপর। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ক্ষুদ্র চাঁদগুলি প্রচন্ডভাবে ফাঁপা। সেকারণেই শনির বলয় থেকে কণা এগুলির মধ্যে সহজে ঢুকে পড়তে পারছে। ক্যাসিনির ভিস্বিল অ্যান্ড ইনফ্রারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার বা ভিআইএমএস’র পাঠানো ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বলয়ের কাছাকাছি থাকা চাঁদগুলির রং, বলয়ের মতোই লালচে। সেভাবে এখনও জানা না গেলেও তাদের অনুমান, অরগ্যানিক এবং লোহার সংমিশ্রনেই ওই লালচে রং দেখা যাচ্ছে। অথচ বলয়ের বাইরের চাঁদগুলির রং ইনসেলেডাসের মতোই নীলচে রং’র। বলয় এবং গ্রহের মধ্যে থাকা ফাঁক এবং এই চাঁদগুলি দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা বিপুলায়তনের কোনও মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে শনির ধাক্কার ফলে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তার ফলেই বলয় এবং এই ক্ষুদ্র পাঁচটি চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে আরও বিশদে জানতে এব্যাপারে বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

শনির বলয়জুড়ে আরও পাঁচটি ক্ষুদ্র চাঁদ, অবাক বিজ্ঞানীরা

আপলোড টাইম : ০৯:৩৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১ এপ্রিল ২০১৯

প্রযুক্তি ডেস্ক:
শনির মাটিতে হারিয়ে যাওয়ার পরও তথ্য দিল ক্যাসিনি। শনি গ্রহের বলয়ের কাছে রয়েছে আরও পাঁচটি ক্ষুদ্র চাঁদ বা উপগ্রহ। গত বৃহস্পতিবার ‘সায়েন্স’ পত্রিকায় এই তথ্য প্রকাশ করেছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। ২০১৭ সালে শনির সব থেকে কাছ দিয়ে ফ্লাই বাই’র সময় বলয়ের কাছে থাকা ওই ছোট্ট চাঁদগুলির ছবি তুলেছিল নাসার মহাকাশযান ক্যাসিনি। তথ্য বলছে, ওই ছোট চাঁদগুলি শনিবলয়ের একদম কাছে রয়েছে। চাঁদগুলির ব্যাস আট থেকে ১১৬ কিলোমিটার পর্যন্ত। কোনোটার গোলাকার, কোনওটা উড়ন্ত চাকির মতো তো কোনওটা আলুর আকারের। বিজ্ঞানীরা শনির নতুন আবিষ্কৃত চাঁদগুলির নাম দিয়েছেন প্যান, ডাফনিস, অ্যাটলাস, প্যান্ডোরা এবং প্রোমিথিউস। তার মধ্যে প্যান এবং ডাফনিস শনির খুব কাছে রয়েছে। ফলে শনির বলয়ের কণাগুলিতে সব থেকে বেশি প্রভাবিত হয় এই দুটি চাঁদ। বাকি তিনটি চাঁদ কিছুটা দূরে থাকায় বলয়ের কণার দ্বারা প্রভাবিত হলেও শনির অন্যতম বড় চাঁদ এনসেলেডাসের থেকে নির্গত বাষ্প এবং বরফকণার স্তরও পড়ে যাচ্ছে সেগুলির উপর। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ক্ষুদ্র চাঁদগুলি প্রচন্ডভাবে ফাঁপা। সেকারণেই শনির বলয় থেকে কণা এগুলির মধ্যে সহজে ঢুকে পড়তে পারছে। ক্যাসিনির ভিস্বিল অ্যান্ড ইনফ্রারেড ম্যাপিং স্পেকট্রোমিটার বা ভিআইএমএস’র পাঠানো ছবি থেকে বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বলয়ের কাছাকাছি থাকা চাঁদগুলির রং, বলয়ের মতোই লালচে। সেভাবে এখনও জানা না গেলেও তাদের অনুমান, অরগ্যানিক এবং লোহার সংমিশ্রনেই ওই লালচে রং দেখা যাচ্ছে। অথচ বলয়ের বাইরের চাঁদগুলির রং ইনসেলেডাসের মতোই নীলচে রং’র। বলয় এবং গ্রহের মধ্যে থাকা ফাঁক এবং এই চাঁদগুলি দেখে বিজ্ঞানীদের ধারণা বিপুলায়তনের কোনও মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে শনির ধাক্কার ফলে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তার ফলেই বলয় এবং এই ক্ষুদ্র পাঁচটি চাঁদ সৃষ্টি হয়েছিল। তবে আরও বিশদে জানতে এব্যাপারে বিস্তারিত পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।