ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

লায়লাতুল ক্বদরের গুরুত্ব ও করণীয়

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ১১:২৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯
  • / ২৯০ বার পড়া হয়েছে

ধর্ম ডেস্ক:
ইবাদতের জগতে সিয়াম একটি ব্যতিক্রম ইবাদত। যা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ ও তাঁর বান্দার মাঝে গোপনীয় একটি বিষয়। এটি বান্দাকে তার রবের দিকে ঘনিষ্ট করে তোলে। ব্যতিক্রম ইবাদত হবার কারনে এই সিয়ামের প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন। তাই আমদেরকেও এই প্রতিদান করার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। রমজানের একটি বিশেষ সুযোগ লাইলাতুল ক্বদর। রমজানের শেষ দশকে আছে এই লায়লাতুল ক্বদর। রাসূল (স:) বলেছেন, “কেউ যদি লায়লাতুল ক্বদরের অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন রমজানের শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।(বুখারী/১০৮৪)
রাসূল (স:) আরো বলেছেন, তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকে শবে ক্বদর অনুসন্ধান করো বিজোড় রাতগুলোতে।(বুখারী/১৮৮৪)
রাসূল (স:) বলেন, যে ব্যাক্তি লয়লাতুল ক্বদরের সাওয়াবের আশায় ঈমানের সাথে রাত জাগবে তার অতীতের পাপ ক্ষমা করা হবে।(বুখারী/১৭১৫)
তাই এই রাতে আমরা কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, সালাত ও দোরার মাধ্যমে জাগ্রত থাকব। লায়লাতুল ক্বদরের ফজিলতপূর্ণ দোয়া হচ্ছে, আল্লাহুমা ইন্নাকা আফুউন তুহিকুল আফওয়া কা’ফু আন্নী। অর্থ: হে আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা পছন্দ কর। অতএব আমাকেও ক্ষমা কর। (ইবনে মাজাহ/৩৮৫০)। আসুন আমরা এই রমাজানে ক্ষমা নিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে রাইয়াম নামক জান্নাতের দরজায় প্রবেশ করি যা দিয়ে একমাত্র সিয়াম পালনকারী ছাড়া কেউ যেতে পারবেনা। মনে রাখতে হবে সিয়াম শুদ্ধ হবার জন্য ইফতার খুব জরুরি বিষয়। তাই আযান হবার সাথে নয়, সূর্য ডুবার সাথে সাথে ইফতার করতে হবে। এজন্য আমরা সময় সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যাপক ব্যবহার করবে পারি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সঠিক ভাবে এই রমজানের সাহরি, ইফতার, লায়লাতুল ক্বদর, ফিতরা আদায়ের মাদ্যমে আমাদেরকে সঠিকভাবে এই সিয়াম সাধনাকে কবুল করেজান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হিসেবে কুবল করুেক। আমীন।
লেখক

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

লায়লাতুল ক্বদরের গুরুত্ব ও করণীয়

আপলোড টাইম : ১১:২৬:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০১৯

ধর্ম ডেস্ক:
ইবাদতের জগতে সিয়াম একটি ব্যতিক্রম ইবাদত। যা শুধুমাত্র মহান আল্লাহ ও তাঁর বান্দার মাঝে গোপনীয় একটি বিষয়। এটি বান্দাকে তার রবের দিকে ঘনিষ্ট করে তোলে। ব্যতিক্রম ইবাদত হবার কারনে এই সিয়ামের প্রতিদান আল্লাহ নিজ হাতে প্রদান করবেন। তাই আমদেরকেও এই প্রতিদান করার জন্য জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। রমজানের একটি বিশেষ সুযোগ লাইলাতুল ক্বদর। রমজানের শেষ দশকে আছে এই লায়লাতুল ক্বদর। রাসূল (স:) বলেছেন, “কেউ যদি লায়লাতুল ক্বদরের অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন রমজানের শেষ দশকে অনুসন্ধান করে।(বুখারী/১০৮৪)
রাসূল (স:) আরো বলেছেন, তোমরা রমজান মাসের শেষ দশকে শবে ক্বদর অনুসন্ধান করো বিজোড় রাতগুলোতে।(বুখারী/১৮৮৪)
রাসূল (স:) বলেন, যে ব্যাক্তি লয়লাতুল ক্বদরের সাওয়াবের আশায় ঈমানের সাথে রাত জাগবে তার অতীতের পাপ ক্ষমা করা হবে।(বুখারী/১৭১৫)
তাই এই রাতে আমরা কুরআন তিলাওয়াত, জিকির, সালাত ও দোরার মাধ্যমে জাগ্রত থাকব। লায়লাতুল ক্বদরের ফজিলতপূর্ণ দোয়া হচ্ছে, আল্লাহুমা ইন্নাকা আফুউন তুহিকুল আফওয়া কা’ফু আন্নী। অর্থ: হে আল্লাহ তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা পছন্দ কর। অতএব আমাকেও ক্ষমা কর। (ইবনে মাজাহ/৩৮৫০)। আসুন আমরা এই রমাজানে ক্ষমা নিয়ে নিজেকে পরিশুদ্ধ করে রাইয়াম নামক জান্নাতের দরজায় প্রবেশ করি যা দিয়ে একমাত্র সিয়াম পালনকারী ছাড়া কেউ যেতে পারবেনা। মনে রাখতে হবে সিয়াম শুদ্ধ হবার জন্য ইফতার খুব জরুরি বিষয়। তাই আযান হবার সাথে নয়, সূর্য ডুবার সাথে সাথে ইফতার করতে হবে। এজন্য আমরা সময় সংক্রান্ত বিভিন্ন ব্যাপক ব্যবহার করবে পারি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে সঠিক ভাবে এই রমজানের সাহরি, ইফতার, লায়লাতুল ক্বদর, ফিতরা আদায়ের মাদ্যমে আমাদেরকে সঠিকভাবে এই সিয়াম সাধনাকে কবুল করেজান্নাতুল ফেরদৌসের বাসিন্দা হিসেবে কুবল করুেক। আমীন।
লেখক