ইপেপার । আজশুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত-চীনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়: প্রধানমন্ত্রী

সমীকরণ প্রতিবেদন
  • আপলোড টাইম : ০৯:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • / ২৯৬ বার পড়া হয়েছে

সমীকরণ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত ও চীন যা বলছে, তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, তাদের (ভারত ও চীন) কূটনীতিকেরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখেছেন এবং আমরা দেখেছি যে, রোহিঙ্গাদের প্রতি তাঁরা অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।’ গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মানবিক সহায়তা নিয়ে ভারত ও চীন এগিয়ে এসেছে এবং তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, শরণার্থীদের দুর্দশা দেখতে ঢাকায় অবস্থানরত সব কূটনীতিকেরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শিবিরে গিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের (রোহিঙ্গা) সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের আট লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার পর খাদ্য, বাসস্থান, জরুরি ত্রাণ এবং তাঁদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশকে জটিল সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (আন্তোনিও গুতেরেস) তাঁদের (রোহিঙ্গা) খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (জাতিসংঘের মহাসচিব) আরও বলেছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবকিছু করবেন।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

ট্যাগ :

নিউজটি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত-চীনের বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়: প্রধানমন্ত্রী

আপলোড টাইম : ০৯:১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

সমীকরণ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত ও চীন যা বলছে, তা বাংলাদেশের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, তাদের (ভারত ও চীন) কূটনীতিকেরা রোহিঙ্গাদের দুর্দশা দেখেছেন এবং আমরা দেখেছি যে, রোহিঙ্গাদের প্রতি তাঁরা অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।’ গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। মানবিক সহায়তা নিয়ে ভারত ও চীন এগিয়ে এসেছে এবং তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী পাঠাচ্ছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে।’ শেখ হাসিনা বলেন, শরণার্থীদের দুর্দশা দেখতে ঢাকায় অবস্থানরত সব কূটনীতিকেরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের শিবিরে গিয়েছেন। তাঁরা তাঁদের (রোহিঙ্গা) সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা সবাই রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের আট লাখ নাগরিককে আশ্রয় দেওয়ার পর খাদ্য, বাসস্থান, জরুরি ত্রাণ এবং তাঁদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশকে জটিল সংকট মোকাবিলা করতে হচ্ছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি (আন্তোনিও গুতেরেস) তাঁদের (রোহিঙ্গা) খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়ানোর জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (জাতিসংঘের মহাসচিব) আরও বলেছেন, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে তিনি তাঁর পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সবকিছু করবেন।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী ও জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।